• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

পুরোনো কৃষি পদ্ধতি বদলানোর বিকল্প নেই : কৃষিমন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২৭, ২০২৩, ০৩:১০ পিএম
পুরোনো কৃষি পদ্ধতি বদলানোর বিকল্প নেই : কৃষিমন্ত্রী
কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক (ফাইল ছবি)

পুরোনো কৃষিপদ্ধতি বদলানোর বিকল্প নেই বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক। তিনি বলেন, “শিল্পায়নের কারণে প্রতিবছর ১ শতাংশ করে ভূমি কমছে। কাজেই দেশের পুরোনো কৃষিপদ্ধতি বদলানোর কোনো বিকল্প নেই।”

শুক্রবার (২৭ জানুয়ারি) ইন্দো-বাংলাদেশ অ্যাগ্রি মেকানিসেশন সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। 

রাজধানীর বসুন্ধরা আন্তর্জাতিক কনভেনশন সেন্টারে (আইসিসিবি) তিন দিনব্যাপী এ সামিট চলছে। অনুষ্ঠানে অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন এফবিসিসিআই সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন।

এফবিসিসিআই, সিআইআই, ট্রাক্টর অ্যান্ড মেকানাইসেশন অ্যাসোসিয়েশন (টিএমএ) এবং ভারতীয় হাইকমিশনের অংশীদারত্বে আয়োজিত এক্সপো চলবে ২৯ জানুয়ারি পর্যন্ত। এই প্রদর্শনীতে বাংলাদেশ ও ভারতের শতাধিক স্টল রয়েছে। সকাল ৯টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত প্রদর্শনী ক্রেতা-দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত থাকবে।

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “বাংলাদেশ বর্তমানে ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কের শীর্ষে আছে। ভারতে রপ্তানি আরও বাড়াতে চায় বাংলাদেশ। শুধু দুই দেশের আধুনিক প্রযুক্তি উন্নয়নে নয়, খাদ্য নিরাপত্তা ও টেকসই উন্নয়নে এ সামিট ভূমিকা রাখবে।”

কৃষিমন্ত্রী আরও বলেন, “১৯৭৩ সালে জাতির পিতার যুগান্তকারী উদ্যোগে ৪০ হাজার বিদ্যুৎ চালিত পাম্প, ২ হাজার ৯০০ গভীর নলকূপ ও ৩ হাজার যান্ত্রিক টিউবওয়েল কৃষকদের বিতরণ করা হয় খুবই কম মূল্যে। এটা ছিল আধুনিক কৃষির শুরু। আমরা বলি, সেটাই ছিল বাংলাদেশে আধুনিক কৃষির শুরু।”

আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “বাংলাদেশে কৃষি শ্রমিকের স্বল্পতা আছে। বিশেষ করে চাষের সময়ে এটা আরও প্রবল হয়। বাংলাদেশ প্রাকৃতিগতভাবেই দুর্যোগপ্রবণ দেশ। তাই উৎপাদন ঠিক রাখতে হাওরের ৭০ শতাংশ এলাকায় কৃষিতে আমরা ভর্তুকি দিয়েছি। আর উৎপাদন ঠিক রাখার জন্য আমাদের আধুনিক ও কৃষির যান্ত্রিকীকরণ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।”

বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মা বলেন, “আমি মনে করে এটি একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ। এর মাধ্যমে দুই দেশের কৃষি এগিয়ে যাবে। দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য সম্প্রসারণে এটি আরও কাজ করবে বলে বিশ্বাস করি।”

Link copied!