• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

‘নির্বাচনের আগে অযাচিত চাপ তৈরি করছে পশ্চিমারা’


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২৩, ০৬:৫৩ পিএম
‘নির্বাচনের আগে অযাচিত চাপ তৈরি করছে পশ্চিমারা’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। ফাইল ছবি

বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ঘিরে সরকার বিভিন্ন মহল থেকে ‘অযাচিত ও অযৌক্তিক’ রাজনৈতিক চাপের মুখোমুখি হচ্ছে- অভিযোগ তুলে জাতিসংঘকে চিঠি দিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আবদুল মোমেন। এমতাবস্থায় বাংলাদেশের রাজনৈতিক উন্নয়নে গঠনমূলক ভূমিকা রাখতে জাতিসংঘকে আহ্বান জানানো হয়েছে চিঠিতে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন জানান, জাতিসংঘের শীর্ষ পর্যায়ের এক বন্ধুকে তিনি ওই চিঠি লিখেছেন। তবে এটি গণমাধ্যমে চলে আসাটা দুঃখজনক।

চিঠিতে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর বিএনপি সমাবেশ চলাকালে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা ও পুলিশ সদস্যকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনা ঘটে। পরে বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে সংঘর্ষ হয় পুলিশের।

বিষয়টি নিয়ে পশ্চিমা দেশগুলোর পাশাপাশি বিবৃতি দেয় জাতিসংঘ। পয়লা নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে চিঠি লেখেন সংস্থাটির মানবাধিকার কমিশনার। দুই পাতার চিঠিতে শান্তিপূর্ণ সমাবেশ ও আইন মেনে মতপ্রকাশের স্বাধীনতার পরামর্শ দেওয়া হয়। বিদেশে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও রাজনৈতিক সংলাপ-সমঝোতার তাগিদ দেওয়া হয়।

এ নিয়ে নভেম্বরের শুরুতেই জাতিসংঘ সদরদপ্তরে বাংলাদেশ আবাসিক প্রতিনিধির নামে মৌখিক অভিযোগ করে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। আর নভেম্বরের শেষদিকে দুই পাতার চিঠির দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী একে আব্দুল মোমেন। তিনি বলেন, “অযৌক্তিকভাবে নির্বাচনের আগে চাপ তৈরি করছে পশ্চিমা বিশ্ব। যাতে অংশগ্রহণ রয়েছে জাতিসংঘেরও।”

পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, মানবাধিকার সমুন্নত রাখতে কাজ করছে সরকার। গেল ১৫ বছরে একাধিক নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হয়েছে। আসছে নির্বাচনও সুষ্ঠু করার জন্য সব ধরনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে, এর বিরুদ্ধে সরকারি-বেসরকারি সম্পত্তি পোড়াচ্ছে ও মানুষ মারছে বিরোধী দল।

মোমেন বলেন, “জাতিসংঘে তো অনেক পশ্চিমারাই চাকরি করেন। তাদের তো একটা রিফ্লেকশন হয়। তারা টাকা দেয় জাতিসংঘে বেশি, তাই জাতিসংঘে অধিকাংশই জব তাদের। আমাদের তো খুঁজে পাওয়া যায় না বাঙালি একটা চাকরি করে। তাদের বিবৃতিটা তথ্য নির্ভর ছিল না, ফার্টিজান ছিল।”

তবে, চিঠির বিষয়ে জানতে চাইলে গণমাধ্যমের ওপর ক্ষোভ ঝাড়েন ড. মোমেন। তিনি বলেন, “এটা দুঃখজনক যে একটা প্রাইভেট লেটার ছাপাইয়া দিয়েছেন। এই হলো বাংলাদেশ, এদের দেশ মাতৃকা কোন ধরণের, দেশের প্রতি মমত্ববোধ নাই।” 

Link copied!