• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রী প্রধানমন্ত্রী, চালক আফিজা


সফিকুল ইসলাম
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ২৭, ২০২২, ০৯:৫৭ পিএম
মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রী প্রধানমন্ত্রী, চালক আফিজা

স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণের পর এবার বহুল কাঙ্ক্ষিত মেট্রোরেল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইতোমধ্যে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে মেট্রোরেল। মাত্র ১০ মিনিট ১০ সেকেন্ডে উত্তরা থেকে আগারগাঁও আসতে পারবেন যাত্রীরা। এই মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চালকের আসনে থাকবেন মরিয়ম আফিজা।

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) মেট্রোরেল উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী। উত্তরার ১৫ নম্বর সেক্টরের সি-১ ব্লকের খেলার মাঠে বেলা ১১টা থেকে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শুরু হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, প্রথমেই প্রধানমন্ত্রী ফলকের একটি প্রতিকৃতি উন্মোচন করবেন। এরপর শুরু হবে সুধী সমাবেশ। এতে অতিথিদের পাশাপাশি সরকারি দল আওয়ামী লীগও বিপুল জমায়েতের উদ্যোগ নিয়েছে। সেখানে প্রধানমন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট মন্ত্রী ও কর্মকর্তারা বক্তৃতা করবেন। স্মারক ডাকটিকিট ও নোট উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী। এরপর প্রধানমন্ত্রী স্থায়ী কার্ড কিনে ভাড়া পরিশোধ করে প্ল্যাটফর্মে যাবেন। সেখানে অপেক্ষমাণ ট্রেন সবুজ পতাকা নেড়ে চলাচলের সংকেত দেবেন। এরপর প্রধানমন্ত্রী মেট্রোরেলে চড়ে আগারগাঁওয়ে আসবেন। উদ্বোধনী যাত্রায় মেট্রোরেলে প্রায় ২০০ অতিথি থাকতে পারেন। এর মাধ্যমে প্রথমবারের মতো মেট্রোরেল যুগে প্রবেশ করবে দেশ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠান উত্তরার দিয়াবাড়ি মাঠে : 

মেট্রোরেল উদ্বোধনের পর দিন ২৯ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার থেকে যাত্রী চলাচল শুরু হবে। এ লক্ষ্যে এরই মধ্যে প্রায় সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল)। উত্তরার দিয়াবাড়ি মাঠে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান শেষে টিকিট কেটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রথম যাত্রী হিসেবে মেট্রোরেলে উঠবেন। এরপর মেট্রোরেলে চড়ে তিনি আগারগাঁওয়ে নামবেন।

যাতায়াতে লাগবে ১০ বছর মেয়াদি স্থায়ী কার্ড : 

মেট্রোরেলে যাতায়াত করতে হলে প্রথম দিকে স্থায়ী ও একক যাত্রার (সিঙ্গেল জার্নি) টিকিট বা কার্ড মেট্রোরেল স্টেশন থেকেই কিনতে হবে, যা বাইরে পাওয়া যাবে না। তবে ১০ বছর মেয়াদি স্থায়ী কার্ড কিনতে হবে ২০০ টাকা দিয়ে। এই কার্ডে যাতায়াতের জন্য টাকা ভরানো (রিচার্জ) যাবে। অন্যদিকে এক যাত্রার কার্ড নির্ধারিত ভাড়া পরিশোধ করে নিতে হবে। ট্রেন থেকে নামার সময় তা রেখে দেওয়া হবে। পরে পর্যায়ক্রমে স্টেশনের বাইরেও মেট্রোরেলের কার্ড বিক্রির জন্য কিছু প্রতিষ্ঠানকে নিয়োগ দেওয়া হবে।

নিরাপত্তা দেবে এমআরটি পুলিশ : 

মেট্রোরেলের নিরাপত্তা দেবে ম্যাস র‌্যাপিড ট্রানজিট বা এমআরটি পুলিশ। এই নামে পুলিশের বিশেষ একটি ইউনিট গঠনের কথা রয়েছে। তবে এখনো ইউনিটটি গঠিত হয়নি। খুব শিগগিরই এমআরটি পুলিশ গঠন করা হবে। যাত্রীদের অভ্যস্ত করাতে শুরুর দিকে মেট্রোরেল স্টেশনগুলোতে যাত্রীদের ওঠানামার জন্য ১০ মিনিট করে থামবে। ১৫ দিন পর পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। তবে পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে স্টেশনে ট্রেনগুলো ২ থেকে ৩ মিনিটের মতো সময় দেয় যাত্রীদের ওঠানামার জন্য। জনগণ অভ্যস্ত হয়ে গেলে বাংলাদেশে সেই একই রকম চর্চা চালু হবে। প্রথম কিছু দিন চালানোর জন্য ১২ সেট ট্রেন প্রস্তুত রাখা হয়েছে দিয়াবাড়ির ডিপোতে।

ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক এমএএন সিদ্দিক জানান, আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় সংশ্লিষ্টদের নিজ নিজ দায়িত্ব পালনের নির্দেশনা দেওয়া হয়। উদ্বোধন অনুষ্ঠানে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুতের ব্যবস্থা করার জন্য বিদ্যুৎ বিভাগকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সিকিউরিটি, ফায়ার সার্ভিস, অ্যাম্বুলেন্সের ব্যাপারে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।

সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এবিএম আমিন উল্লাহ নুরী জানান, মেট্রোরেল উদ্বোধনের ভেন্যু বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের পরিবর্তে উত্তরার দিয়াবাড়ি মাঠ নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগ্রহে স্থান পরিবর্তন করা হয়েছে। তিনি বলেন, “উদ্বোধনের দুটি স্পটের কথা আমরা প্রধানমন্ত্রীকে জানিয়েছিলাম। খোলা মাঠে অনুষ্ঠানের ব্যাপারে প্রধানমন্ত্রী আগ্রহ প্রকাশ করায় দিয়াবাড়ি মাঠকেই বেছে নেওয়া হয়েছে।”

উদ্বোধনে আকাশে হেলিকপ্টার, নিচে ডগ স্কোয়াড থাকবে : 

মেট্রোরেল উদ্বোধনকে ঘিরে অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‌্যাবের পক্ষ থেকে ব্যাপক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যেকোনো ধরনের পরিস্থিতি মোকাবিলায় র‌্যাবের স্পেশাল ফোর্স, হেলিকপ্টার, ডগ স্কোয়াড ও বোম্ব ডিস্পোজাল ইউনিট সার্বক্ষণিক প্রস্তুত থাকবে বলে জানিয়েছেন সংস্থাটির লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব তথ্য জানান খন্দকার আল মঈন।

১০ মিনিট ১০ সেকেন্ডে উত্তরা থেকে আগারগাঁও : 

বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল। কর্তৃপক্ষ জানায়, পৌনে ১২ কিলোমিটার এই পথ পাড়ি দিতে মেট্রোরেলের সময় লাগবে ১০ মিনিট ১০ সেকেন্ড। উদ্বোধনের পর দুই থেকে তিন মাস কম যাত্রী নিয়ে চলাচল করবে ট্রেনগুলো। প্রথম দিকে সকাল এবং বিকেলে কিছুক্ষণ ট্রেন চলবে। সব মিলিয়ে দিনে চলবে পাঁচটি ট্রেন। তবে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার পথে ৯টি স্টেশন রয়েছে। স্টেশনগুলোর মধ্যে রয়েছে উত্তরা উত্তর (দিয়াবাড়ি), উত্তরা সেন্টার, উত্তরা দক্ষিণ, পল্লবী, মিরপুর-১১, মিরপুর-১০, কাজীপাড়া, শেওড়াপাড়া ও আগারগাঁও। উদ্বোধনী দিনে শুরু ও শেষের স্টেশন খুলে দেওয়া হবে। স্টেশনে লিফট, এস্কেলেটর ও সিঁড়ি দিয়ে ওঠা যাবে। তিনতলা স্টেশন ভবনের দ্বিতীয় তলায় টিকিট কাউন্টার। তিন তলায় প্ল্যাটফর্ম। শুধু টিকিটধারী ব্যক্তিরা ওই তলায় যেতে পারবেন। মেট্রোরেলের প্রতিটি ট্রেনে থাকবে ছয়টি কোচ। এতে ৫৪ জন বসতে পারবেন। সব মিলিয়ে একটি ট্রেনে বসে যেতে পারবেন ৩০৬ জন। ২০১২ সালে মেট্রোরেল প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়। ২০১৭ সালে মূল কাজ শুরু হয়। এ প্রকল্প বাস্তবায়নে ৩৩ হাজার ৪৭২ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে।

মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রী প্রধানমন্ত্রী, চালক আফিজা : 

মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রী হবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়া মেট্রোরেলের প্রথম চালক হবেন মরিয়ম আফিজা। মেট্রোরেলের এ যাত্রায় সংযুক্ত রয়েছেন ৬ জন নারী চালক। তাদের মধ্যে মরিয়ম আফিজা উদ্বোধনী দিনই চালকের আসনে বসার প্রস্তুতি শেষ করেছেন। এসব তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এম এ এন সিদ্দিক। 

মরিয়ম আফিজা নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (নোবিপ্রবি) থেকে কেমিস্ট্রি অ্যান্ড কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং বিষয়ে স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেছেন। গত বছরের ২ নভেম্বর চালক হিসেবে নিয়োগ পান তিনি। টানা এক বছর প্রশিক্ষণ নিয়ে চালক হিসেবে নিজেকে তৈরি করেছেন বলে জানান তিনি।

২৬ মার্চ থেকে পুরোদমে চলবে মেট্রোরেল: 

আগামী ২৬ মার্চ থেকে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত অংশে পুরোদমে চলবে মেট্রোরেল। সেদিন থেকে সব স্টেশনে থেমে যাত্রীরা ওঠা-নামা করতে পারবেন। মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীতে আগারগাঁও মেট্রোরেল স্টেশন কনকোর্স লেভেলে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান এম এ এন ছিদ্দিক। এসময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি জানান, ২০২৩ সালের ডিসেম্বর মাসে উত্তরা থেকে মতিঝিল এবং ২০২৫ সালে মতিঝিল থেকে কমলাপুর পর্যন্ত চলবে মেট্রোরেল। সে ক্ষেত্রে পুরোটা চালু হলে উত্তরা থেকে মতিঝিলে যেতে ৩৮ মিনিট লাগবে। ঘণ্টায় ৬০ হাজার অর্থাৎ দিনে ৫ লাখ যাত্রী মেট্রোরেলে চলাচল করতে পারবেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, “মেট্রোরেলের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আতশবাজির কর্মসূচি ছিল। সেটা বাদ দেওয়া হয়েছে। পদ্মা সেতুর আদলে সুধী সমাবেশের মাধ্যমে এই কর্মসূচি উদ্বোধন করা হবে।”

নির্বাচনী ট্রাম্প কার্ড ‘মেট্রোরেল’: 

সবকিছু ঠিকঠাক থাকলে আগামী বছরের শেষের দিকে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তাই নির্বাচনের আগে আওয়ামী লীগ সরকার বেশ কয়েকটি মেগা প্রকল্পের উদ্বোধনের ঘোষণা দিয়েছে। তাছাড়া রাজধানীর ঢাকা মহানগরীতে ২০টি সংসদীয় আসন রয়েছে। নির্বাচনী এসব এলাকার মানুষের যাতায়াতের দ্রুততম ব্যবস্থা হবে মেট্রোরেল। রাজধানীবাসী মেট্রোরেলের সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন। এ কারণে রাজধানী ঢাকার ২০টি আসনের বিপুলসংখ্যক ভোটের ট্রাম্প কার্ড হবে মেট্রোরেল। দীর্ঘদিনের ভোগান্তি থেকে রক্ষা মেলায় ভোটাররা খুশি হয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট দেবেন মনে করছেন আওয়ামী লীগের সমর্থকরা। নির্বাচনী প্রচারণায়ও প্রাধান্য পাবে মেট্রোরেল। ইতোমধ্যে দক্ষিণাঞ্চলের কোটি মানুষের বহুকাঙ্ক্ষিত পদ্মা সেতুর উদ্বোধন করা হয়েছে, যা মানুষের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। বুধবার উদ্বোধরের পর শুরুতে উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত চলবে। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে মেট্রোরেলের আরও কয়েকটি লাইনের উদ্বোধন হতে পারে, যা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যাপক প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছেন সরকারি দলের নেতারা। শুধু মেট্রোরেলের উদ্বোধনের মাধ্যমে শুধু রাজধানীতে নয়, দেশজুড়ে ভোটের মাঠে অনেকটা এগিয়ে যাবে আওয়ামী লীগ। এমনটি বলছেন দলের সিনিয়র নেতারা।

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য কাজী জাফর উল্লাহ বলেন, “মেট্রোরেলের উদ্বোধন দেশের মানুষের জন্য এটা ভালো খবর। তবে যতটুকু হওয়ার কথা ছিল ততটুকু হচ্ছে না। আপাতত উত্তরা থেকে আগারগাঁও পর্যন্ত হবে। আমার মনে হয়, যারা দীর্ঘদিন পরিশ্রম করে, শহরের মধ্যে এ ধরনের উন্নয়নকাজ করা কঠিন। তারপরও যারা এটা করতে সক্ষম হয়েছেন, বিশেষ করে আমাদের সড়ক পরিবহনমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরসহ প্রত্যেকটা কর্মচারী ও অফিসারদের আমি স্বাগত জানাই। অভিনন্দন জানাই।” তিনি বলেন, “যানজটের নগরী ঢাকায় বাস কিংবা অন্য যানবাহনের চেয়ে এত দ্রুত যাতায়াত ঢাকাবাসীকে স্বস্তি দেবে, সড়ক যোগাযোগে উন্মোচিত হবে নতুন দিগন্তের।”

দলটিরর সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য আব্দুর রহমান বলেন, “এটা শেখ হাসিনার সরকারের উন্নয়নের মাইলফলক। মানুষের প্রতি শেখ হাসিনার রাজনৈতিক যে অঙ্গীকার, তার অভাবনীয় প্রতিফলন এটা। আগামী নির্বাচনের জন্য মেট্রোরেল ট্রাম্প কার্ড হবে কি না, তা প্রশ্ন নয়; প্রশ্ন হলো এটা মানুষের জন্য উপকারে আসবে কি না? নিশ্চয়ই এটা মানুষের উপকারে আসবে। যাতায়াতে নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে। মানুষ যদি উপকার পায়, তাহলে অবশ্যই রাজনীতিতে এর প্রভাব পড়বে।”

আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বি এম মোজাম্মেল হক বলেন, “বাঙালি জাতির চরম আকাঙ্ক্ষার একটা জায়গা হলো মেট্রোরেল। শেখ হাসিনার সুদক্ষ ও ভিশনারি লিডারশিপের কারণে বাংলাদেশের মানুষ একটা নতুন সুবিধা ভোগ করার সুযোগ পাচ্ছে। বাংলাদেশে মেট্রোরেল চালু হতে যাচ্ছে— এটা আমাদের বাঙালি জাতির জন্য অত্যন্ত গৌরব ও আনন্দের।” তিনি বলেন, “দেশের মানুষের কল্যাণে, দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির জন্য একটা সরকার কী কী কাজ করল, সেটা দেখেই মানুষ ভোট দেয়। সামগ্রিকভাবে দেশের মানুষ মেট্রোরেলের মাধ্যমে উপকৃত হবে। আমাদের ঢাকা শহরের যানজট কিছুটা লাঘব হবে।”

ভাগ্য বদলে নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে: 

মেট্রোরেলের উদ্বোধনে রাজধানীবাসীর ভাগ্য বদলে নতুন দিগন্তের উন্মোচন হবে। যোগাযোগের নতুন এ ব্যবস্থা ঘিরে নিজেদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ দেখতে পাচ্ছেন মিরপুর, আগারগাঁওসহ ঢাকার প্রতিটি ওয়ার্ডে মানুষ। ভুক্তভোগীরা বলছেন, মেট্রোরেল চালু হলে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশের সঙ্গে এ অঞ্চলের যোগাযোগ ব্যবস্থা আরও সহজ হবে। রাজধানীর আশপাশের জেলাগুলোতে ব্যবসা-বাণিজ্যের প্রসার ঘটবে। গড়ে উঠবে নতুন নতুন শিল্পকারখানা। এ বিষয়ে কথা হয় আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিবিষয়ক সম্পাদক প্রকৌশলী আবদুস সবুর এর সাথে। তিনি বলেন, “মেট্রোরেল উদ্বোধনের মাধ্যমে আধুনিক সিটি ঢাকার জন্য আরেকটা নতুন অধ্যায় রচনা হবে। বঙ্গবন্ধুকন্যা ও আওয়ামী লীগের সভাপতি যে স্মার্ট বাংলাদেশের কথা বলছেন, সেই স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে মেট্রোরেল ভূমিকা রাখবে।”

আবদুস সবুর আরও বলেন, “মেট্রোরেল হবে স্মার্ট বাংলাদেশের একটা ধারাবাহিকতা। ২০৪১ সালের যে উন্নত ও সমৃদ্ধ বাংলাদেশ, এটা নির্মাণে বিশাল ভূমিকা রাখবে মেট্রোরেল। আর এর উদ্বোধন হবে বিজয়ের মাসে, বাঙালি জাতির জন্য শেখ হাসিনার নতুন উপহার হবে এটি। বিজয়ের মাসে যেন আরেকটি বিজয়। আমি বিশ্বাস করি, মেট্রোরেলের কারণে ২০২৪ সালের নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য সুবিধাভোগী জনগণ একত্রিত হয়ে কাজ করবেন।”

Link copied!