• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

তারেককে ধরে এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে : শেখ হাসিনা


গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩০, ২০২৩, ০১:১৩ পিএম
তারেককে ধরে এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে : শেখ হাসিনা
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত

আন্দোলনের নামে বিএনপি-জামায়াত সন্ত্রাস চালাচ্ছে বলে আবারও অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে এই সন্ত্রাসের হুকুমদাতা আখ্যায়িত করে আগামীতে নির্বাচিত হয়ে সরকার গঠন করতে পারলে লন্ডন থেকে ধরে এনে শাস্তি নিশ্চিত করা হবে বলে জানিয়েছেন সরকারপ্রধান।

শনিবার (৩০ ডিসেম্বর) দুপুরে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় আওয়ামী লীগ আয়োজিত নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

শেখ হাসিনা বলেন, “ওই লন্ডনে বসে হুকুম দেবে আর দেশের মানুষের ক্ষতি করবে, দেশের মানুষ মারবে সেটা হতে পারে না। আগামী নির্বাচনে জয়ী হয়ে আসতে পারলে দরকার হলে ওটাকে ওখান থেকে ধরে এনে শাস্তি দেওয়া হবে; ধরে এনে শাস্তি দেব।”

তিনি বলেন, তারেক জিয়া হুকুম দিচ্ছে, রোগী বহনকারী অ্যাম্বুলেন্সের ওপর হামলা হচ্ছে। সাংবাদিক, পুলিশের ওপর হামলা হচ্ছে। পুলিশকে পিটিয়ে হত্যা করা বাংলাদেশে এ সমস্ত দুর্বৃত্তায়ন চলবে না।

তারেক রহমানকে ‘লম্পট’ আখ্যায়িত করে আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, “ওই লম্পটের কথা শুনে বিএনপি নেতারা কেন আগুন দেয়, মানুষ মারে। তাদের কী লাভ। শাস্তি তো এদের হবে। বিচারের মুখে পড়বে তারা। আর আল্লাহর কাছেও তাদের জবাব দিতে হবে। তবু এটা তারা কেন ঘটায়, সেটাই আমার প্রশ্ন।”

বিএনপিকে সন্ত্রাসী এবং জামায়াতকে যুদ্ধাপরাধীর দল আখ্যায়িত করে শেখ হাসিনা বলেন, “আন্দোলনের নামে তারা অগ্নিসন্ত্রাসের মাধ্যমে মানুষ হত্যা করে। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে পুড়িয়ে মানুষ হত্যা করা, এটাই নাকি তাদের আন্দোলন। তাদের আন্দোলন মানুষ পোড়ানো। মানুষের ক্ষতি করা। দেশের সম্পদ নষ্ট করা। এদের মধ্যে কোনো মানবতাবোধ নেই।”

প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিএনপি-জামায়াতকে এখন আর মানুষ বিশ্বাস করে না। আর বিশ্বাস করে না বলেই তারা আন্দোলনে সফল হতে পারেনি এবং পারবেও না। তাদের কোনো জনসমর্থন নেই।

আওয়ামী লীগ সভাপতি আরও বলেন, “আমরা এটাই চাই এই নির্বাচন শান্তিপূর্ণ হতে হবে। আগামী নির্বাচন যাতে না হয়, তার জন্য যে চক্রান্ত চলছে, সে চক্রান্তের সমুচিত জবাব ৭ জানুয়ারি নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা দেব। বাংলাদেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে আর কেউ ছিনিমিনি খেলতে পারবে না।”

এবারের নির্বাচন নিয়ে দেশি-বিদেশি চক্রান্ত চলছে জানিয়ে সবাইকে এই চক্রান্তের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান প্রধানমন্ত্রী। ৭ জানুয়ারি সকাল সকাল কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিয়ে এই চক্রান্তের সমুচিত দেওয়া হবে বলে মনে করেন তিনি।

এ সময় তিনি নিজ নির্বাচনী এলাকা টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ার জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। তাদের ভোটে নির্বাচিত হন বলেই দেশের খেদমত করতে পারেন বলে জানান সরকারপ্রধান।

Link copied!