• ঢাকা
  • শনিবার, ২৭ জুলাই, ২০২৪, ১২ শ্রাবণ ১৪৩১, ২০ মুহররম ১৪৪৫
রোববার বর্ধিত সভা

তৃণমূল নেতাদের কথা শুনবেন শেখ হাসিনা


সফিকুল ইসলাম
প্রকাশিত: আগস্ট ৫, ২০২৩, ০৯:১৩ পিএম
তৃণমূল নেতাদের কথা শুনবেন শেখ হাসিনা

আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে সারা দেশের তৃণমূল পর্যায়ের নেতাদের নিয়ে বৈঠকে বসবেন দলীয়প্রধান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (৬ আগস্ট) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে তৃণমূল নেতাদের সুখ-দুঃখ ও মান-অভিমানের কথা শুনবেন শেখ হাসিনা। পরবর্তীতে নির্বাচনকে সামনে রেখে কিভাবে জয়লাভ করা যায়, সে বিষয়ে বিশেষ দিক-নির্দেশনা দেবেন তিনি। এছাড়া ওই বৈঠকে একগুচ্ছ নির্বাচনী বিশেষ দিক-নির্দেশনা দেবেন শেখ হাসিনা। তার মধ্যে রয়েছে আগামী নির্বাচনে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ানো, বিরোধপূর্ণ ১০০ আসনে বিজয় নিশ্চিত করা, সরকারবিরোধীদের আন্দোলন কৌশলে প্রতিহত করাসহ বেশ কিছু নির্দেশনা।

ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ানোর উদ্যোগ: 
আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে জনগনকে ভোটে ফেরাতে চায় আওয়ামী লীগ। টানা তিন মেয়াদে ক্ষমতায় আওয়ামী লীগ। প্রথম মেয়াদে নবম নির্বাচন প্রতিযোগীতাপূর্ণ হলেও পরবর্তীতে দশম ও একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে হঠাৎ করেই ভোটে মানুষের আগ্রহ কমে গেছে। এতে গত দুটি নির্বাচনে ভোটের হার ছিল হতাশাজনক। এছাড়াও সাম্প্রতিক সময়ে যে পৌর ও উপজেলা নির্বাচনগুলো অনুষ্ঠিত হয়েছে, সেখানেও ভোটারদের মধ্যে তেমন উৎসাহ নেই বলে আওয়ামী লীগ নেতাদের কাছে খবর এসেছে। এই উপজেলা নির্বাচন বিএনপি বর্জন করার প্রেক্ষিতে বিভিন্ন উপজেলায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় প্রার্থী নির্বাচনেরও খবর পাওয়া গেছে।

আওয়ামী লীগ মনে করছে, ভোটাররা যদি নির্বাচন বিমুখ হয়, তাতে এটা প্রমাণ হবে বিএনপি ছাড়া অর্থবহ নির্বাচন হয় না। আওয়ামী লীগ এই পরিস্থিতিটা পাল্টে দিতে চায়। আওয়ামী লীগ দেশে এমন একটি রাজনৈতিক পরিস্থিতি তৈরি করতে চায়, যেখানে বোঝা যাবে আওয়ামী লীগ কিংবা বিএনপি বড় বিষয় নয়, যারাই ভোটে দাঁড়াবেন তাদের জন্যই তারা ভোটাধিকার প্রয়োগ করবে। আগামী দ্বাদশ নির্বাচনে ভোটাররা যেন ভোট দিতে যায়, সেজন্য এখন থেকেই স্থানীয় পর্যায়ে তৎপরতা গ্রহণ। ভোটারদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশগ্রহণ করার ওপর নির্দেশনা দেওয়া হতে পারে বৈঠকে।

আওয়ামী লীগের নীতি নির্ধারণী পর্যায়ের নেতারা বলছেন, আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদই নয়, প্রত্যেকটা নির্বাচনই যেন উৎসবমুখর হয় সেজন্য একটি অবাধ-নিরপেক্ষ নির্বাচন উপহার দিতে সবধরনের সহযোগীতা করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে একটি উদাহারনও সৃষ্টি করতে চান প্রধানমন্ত্রী। তবে বিএনপিসহ অন্য দলের প্রার্থীকে কোনো রকম প্রলোভন বা ভয়ভীতি দেখিয়ে বসিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলেই কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। 

রোববার (৬ আগস্ট) কার্যনির্বাহীর বৈঠকে আলোচনা হতে পারে প্রতিদ্বন্দ্বিতার মাধ্যমে জনগণের পছন্দের প্রার্থীকে বিজয়ী করার ব্যাপারেও। আওয়ামী লীগই জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করেছিল কাজেই জনগণ যেন উৎসব মুখর পরিবেশে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে নির্বাচিত করতে পারে সে ব্যাপারে আওয়ামী লীগকে আরও দায়িত্বশীল হওয়ার নির্দেশনা আসতে পারে। ভবিষ্যতে ভোটারদের উপস্থিতি বাড়ানোর জন্যই আওয়ামী লীগকে কাজ করতে হবে এবং বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণ করলে যেভাবে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করত, ভোটারদের বাড়ি বাড়ি যেত, ঠিক একই কায়দায় ভোটারদের বারি বাড়ি গিয়ে ভোটারদেরকে কেন্দ্রে গিয়ে ভোটদানে অংশগ্রহণ করাতে হবে। ভোটারবিমুখ রাজনৈতিক পরিবেশ বদলে দেওয়ার বিষয়ে নির্দেশনা দেবেন আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনা।

বিরোধপূর্ণ ১০০ আসন নিয়ে মাথাব্যথা আ.লীগের: 
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রায় সাড়ে চার মাস আগেই বিরোধপূর্ণ ১০০ আসন নিয়ে চরম দুচিন্তায় পড়েছে আওয়ামী লীগ। তাই নির্বাচনের আগেই ৬ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির বর্ধিত সভায় এসব বিষয়ে আলোচনা হতে পারে। এছাড়াও বর্ধিত সভায় আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নির্বাচনের একটি রোডম্যাপ ঘোষণা করবেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। এই নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট রূপরেখা ঘোষণার পাশাপাশি দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখা এবং একজন প্রার্থীর বিরোধীতা না করার নির্দেশনা দিতে পারেন প্রধানমন্ত্রী। দলের দায়িত্বশীল সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

ইতোমধ্যে আওয়ামী লীগ সারা দেশে একাধিক মাঠ পর্যায়ের জরিপেও বিরোধপূর্ণ বিষয়গুলো উঠে এসেছে। ওইসব জরিপে দেখা গেছে, অন্তত ১০০টি আসন আছে যেখানে আওয়ামী লীগ অন্তঃকলহে জর্জরিত। দলের মধ্যে বিভক্তি তীব্র। এ রকম ১০০টি আসনে একাধিক প্রার্থী রয়েছে এবং প্রায় সবগুলো আসনে অন্তত দুজন করে প্রার্থী রয়েছেন যারা নির্বাচনে একে অন্যের মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছেন। কোনো অবস্থাতেই তারা হাল ছাড়তে রাজি নন। এই আসনগুলোই এখন আওয়ামী লীগের জন্য মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।

সূত্রগুলো বলছে, বিভিন্ন জরিপ থেকে পাওয়া গেছে যে প্রায় ১০০ আসনে আওয়ামী লীগের দুই থেকে পাঁচজন পর্যন্ত প্রার্থী সক্রিয় রয়েছে এবং তারা মনোনয়ন পাবেন বলে আশা করছেন। পাশাপাশি মনোনয়নের জন্য দেনদরবার-লবিং করছেন। এদের মধ্যে অন্তত দুজন করে প্রার্থী আছেন যারা প্রার্থী হলে বিজয়ী হতে পারবেন। আর এদের কারণে ওই সমস্ত এলাকায় মারামারি, সহিংসতা ও অন্তঃকলহ প্রকাশ্য রূপ পাচ্ছে। শুধু তাই নয়, জরিপ পর্যালোচনায় ৬৭টি আসন পাওয়া গেছে যেখানে আওয়ামী লীগের দুইজন প্রার্থী সমান জনপ্রিয় এবং দুজনের যে কাউকে মনোনয়ন দিলে তিনি ভালো করবেন। তবে এই দুইজনকে ঘিরে আওয়ামী লীগই বিভক্ত। আওয়ামী লীগের স্থানীয় নেতাকর্মীরা পরস্পর বিরোধী অবস্থান গ্রহণ করেছে। এর মধ্যে মাদারীপুরে দুটি আসনে আওয়ামী লীগই আওয়ামী লীগের মুখোমুখি অবস্থানে রয়েছে।

একইভাবে কিশোরগঞ্জের অন্তত দুইটি আসনে আওয়ামী লীগের মধ্যে অন্তর্দ্বন্দ্ব এখন প্রকাশ্য রূপ ধারণ করেছে। এছাড়াও সিলেট, রাজশাহী, বগুড়াসহ দেশের ২২টি জেলার বিভিন্ন আসনে আওয়ামী লীগের মধ্যে প্রকাশ্য বিরোধ ও বিভক্তি দেখা দিচ্ছে। সর্বশেষ আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকদের প্রণীত রিপোর্ট পর্যালোচনা করে দেখা যায়, গত এক বছরে আওয়ামী লীগের বিভিন্ন স্থানে অন্তর্দ্বন্দ্বে প্রায় ৮২টি সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে। আর সহিংসতার ঘটনাগুলো ঘটার প্রধান কারণ হলো নির্বাচনকেন্দ্রিক।

আগামী নির্বাচনের আগে মনোনয়ন নিশ্চিত করার জন্য, এলাকায় আধিপত্য বিস্তারের জন্য এই সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে বলে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদকরা মনে করছেন। আর তাই এখন প্রশ্ন উঠেছে এই আসনগুলোতে শেষ পর্যন্ত আওয়ামী কি লীগ অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটাতে পারবে? মনোনয়ন পাবেন একজন কিন্তু বাকি যারা মনোনয়ন প্রত্যাশী মাঠে আছেন, কর্মীদের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন, বিভিন্ন স্থানীয় পর্যায়ের নেতারা তাদের পক্ষে আছেন, এমনকি কেন্দ্রীয় নেতারাও কেউ কেউ তাদেরকে সমর্থন দিচ্ছেন। তারা মনোনয়ন না পেলে কি চুপচাপ করে বসে থাকবেন? এটাই আওয়ামী লীগের জন্য এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। তবে দলের নেতারা বলছেন, এই অন্তর্দ্বন্দ্ব মেটাতে না পারলে এই ১০০ আসন আওয়ামী লীগের জন্য সবচেয়ে বড় মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে।

অস্থিতিশীল পরিস্থিতি প্রতিহত করবে আ.লীগ: 
সরকারবিরোধী দল বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর চলমান আন্দোলনে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি কৌশলে প্রতিহত করবে এবং জাতীয় নির্বাচনের প্রচারও চালাবে আওয়ামী লীগ। এরই মধ্যে এই দুটি বিষয়কে প্রাধান্য দিয়ে কেন্দ্র থেকে সারা দেশে তৃণমূল পর্যন্ত দলের সর্বস্তরের নেতাকর্মীকে মাঠে রাখার ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে দলটি। আওয়ামী লীগের বেশ কয়েকজন নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, শেখ হাসিনা সরকারের পতন ঘটানোর এক দফা দাবি নিয়ে বিএনপি মাঠে নেমেছে। কিন্তু তাদের উদ্দেশ্য সফল হবে না। আর এই উদ্দেশ্য সফল না হলে তারা আগামী নির্বাচনও বানচাল করার চেষ্টা চালাবে, এটি স্পষ্ট। সেই উদ্দেশ্য নিয়ে দলটি মাঠে নেমেছে, যা তাদের নেতারাও বলছেন। তারা বলছেন, এ অবস্থায় পাল্টা শক্ত অবস্থান নিয়ে চাপে রেখেই বিএনপির আন্দোলন ব্যর্থ করতে চায় আওয়ামী লীগ। আর এটি করতে হলে বিএনপি যাতে মাঠ দখল করতে না পারে, সেজন্য এখন থেকেই প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে। শুরু থেকেই প্রতিরোধের মাধ্যমে চাপে রাখতে না পারলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে পারে বলে ধারণা আওয়ামী লীগের। তারা বলছেন, গত ২৯ জুলাই ঢাকার প্রবেশমুখে বিএনপি অবস্থান নিয়ে ঢাকাকে সারা দেশ থেকে বিচ্ছিন্ন করার পরিকল্পনা করেছিল। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর কঠোর অবস্থানের কারণে সেটি তারা করতে পারেনি। পুলিশের পাশাপাশি আওয়ামী লীগের কর্মীরাও মাঠে ছিলেন। আওয়ামী লীগ দলীয়ভাবে ওই দিনের কর্মসূচি প্রত্যাহার করলেও দলের কর্মীরা বিভিন্ন স্থানে সতর্ক অবস্থান নেন। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সতর্কতার মধ্যেও বিএনপির কর্মীরা সন্ত্রাসী তৎপরতা চালান, যানবাহনে আগুন দেন এবং পুলিশের ওপর হামলা করেন। এ অবস্থায় আগামী দিনে বিএনপি আরও মারমুখী ও বেপরোয়া হয়ে উঠবে বলেও আওয়ামী লীগের নীতিনির্ধারকরা মনে করছেন।

এ বিষয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য অ্যাডভোকেট কামরুল ইসলাম বলেন, “সরকার তাদের সভা সমাবেশে এতদিন বাধা দেয়নি। তারা এই সময় মহড়া দিয়েছে। গত কয়েক দিন আগে তারা আসল চেহারায় ফিরে এসেছে। এদের প্রতিহত করতে আমরা মাঠে থাকব।”

আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “বিএনপি আন্দোলন করে সরকার পতনের যে হুমকি দিচ্ছে, সেটি সম্ভব হবে না। আওয়ামী লীগ যেকোনো পরিস্থিতি রাজনৈতিকভাবেই মোকাবিলা করবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার না হলে তারা নির্বাচনে যাবে না, তারা আন্দোলন করে সরকারের পতন ঘটাবে? একটা নির্বাচিত সরকারকে তারা আন্দোলন করে পতন ঘটাতে পারবে না। আওয়ামী লীগ এত হালকা কোনো দল না।”

তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ সরকারকে আন্দোলন সংগ্রাম করে কোনোদিন কেউ পতন ঘটাতে পারে নাই। কাজেই মাঠ কীভাবে দখল করতে হয়, মাঠ কীভাবে নিয়ন্ত্রণ করতে হয়-সেটা আমরা ভালোই জানি। সময় হলেই দেখবেন।”

আওয়ামী লীগের এই নেতা আরও বলেন, “আমরা প্রস্তুত। আমরা যেকোনো পরিস্থিতি মোকাবিলার জন্য আগেও লড়াই সংগ্রাম করেছি। আগামী দিনেও ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য দেশ ও মানুষের কল্যাণ মঙ্গলকে নিশ্চিত করার জন্য অবশ্যই আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা সর্বোচ্চ ত্যাগের জন্য প্রস্তুত রয়েছে।”

রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় গণভবনে আওয়ামী লীগের বিশেষ বর্ধিত সভা হবে। এতে সভাপতিত্ব করবেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে উপস্থিত থাকবেন আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটি, কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ, উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, জেলা/মহানগর ও উপজেলা/থানা/পৌর (জেলা সদরে অবস্থিত পৌরসভা) আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক, জাতীয় সংসদের দলীয় সংসদ সদস্য, জেলা পরিষদ ও উপজেলা পরিষদের দলীয় চেয়ারম্যান, সিটি করপোরেশন ও পৌরসভার দলীয় মেয়র এবং সহযোগী সংগঠনগুলোর কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকরা।

এরই মধ্যে দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সভায় সংশ্লিষ্ট সবাইকে যথাসময়ে উপস্থিত থাকার অনুরোধ জানিয়েছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। এ ছাড়া বিশেষ বর্ধিত সভা উপলক্ষে ঢাকা মহানগরের যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক রাখতে বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)। ডিএমপির নির্দেশনা অনুযায়ী, গণভবনে অনুষ্ঠেয় বিশেষ বর্ধিত সভায় আমন্ত্রিত নেতারা বিজয় সরণি দিয়ে জাতীয় সংসদের লেক রোড হয়ে ১ নম্বর গেট দিয়ে প্রবেশ করবেন। সভায় অংশগ্রহণকারীদের ব্যক্তিগত গাড়ি ডিএমপি পুলিশের নির্দেশনা অনুযায়ী নির্ধারিত স্থানে (বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র সংলগ্ন মাঠ) পার্কিং করতে হবে। ডিএমপির নির্দেশনা মেনে চলার জন্য আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করেছেন।

Link copied!