• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

৩৫ বছর পর সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার রায় আজ


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ৮, ২০২৪, ১০:৩৩ এএম
৩৫ বছর পর সগিরা মোর্শেদ হত্যা মামলার রায় আজ
সগিরা মোর্শেদ। ছবি : সংগৃহীত

৩৫ বছর আগে রাজধানীর সিদ্ধেশ্বরীতে সগিরা মোর্শেদকে গুলি করে হত্যা করা হয়। চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার রায় ঘোষণা করা হবে আজ। বৃহস্পতিবার (৮ ফেব্রিুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালতের (বিশেষ দায়রা জজ) মো. আলী হোসাইন এ রায় ঘোষণা করবেন।

ওই আদালতের রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রফিকুল ইসলাম জানান, আজ রায় ঘোষণার জন্য দিন ধার্য আছে।

এর আগে গত ২৫ জানুয়ারি আসামি ও রাষ্ট্রপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে আদালত এই রায়ের তারিখ ধার্য করেন।

মামলার আসামিরা হলেন নিহত সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী চৌধুরী, তার স্ত্রী সায়েদাতুল মাহমুদা ওরফে শাহীন, হাসান আলীর শ্যালক আনাস মাহমুদ ওরফে রেজওয়ান এবং ভাড়াটে খুনি হিসেবে চিহ্নিত মারুফ রেজা।

ডা. হাসান ও তার স্ত্রী জামিনে আছেন। অন্য দুজন কারাগারে আছেন। বিচার চলাকালীন মামলায় মোট ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করা হয়।

২০২০ সালের ১৬ জানুয়ারি ঢাকার আদালতে সগিরার ভাসুরসহ চারজনকে আসামি করে অভিযোগপত্র দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইয়ের পরিদর্শক রফিকুল ইসলাম। এরপর একই বছরের ৯ মার্চ ঢাকা মহানগর দায়রা জজ কে এম ইমরুল কায়েশ পিবিআইয়ের দেওয়া অভিযোগপত্র গ্রহণ করেন।

২০২১ সালের ২ ডিসেম্বর সগিরা মোর্শেদের ভাসুরসহ চারজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন একই আদালত। এরমধ্য দিয়ে দীর্ঘ ৩১ বছর পর এ মামলার আনুষ্ঠানিক বিচার কাজ শুরু হয়।

১৯৮৯ সালের ২৫ জুলাই সিদ্ধেশ্বরীর ভিকারুননিসা নূন স্কুলের সামনে সগিরা মোর্শেদকে গুলি চালিয়ে হত্যা করা হয়। ওই ঘটনায় রমনা থানায় অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে মামলা করেন স্বামী সালাম চৌধুরী।

প্রত্যক্ষদর্শী রিকশাচালক ঘটনায় জড়িত দুজনের কথা বললেও মন্টু নামের একজনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। ১৯৯১ সালের ১৭ জানুয়ারি মন্টুর বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনও হয়েছিল।

এরপর হাইকোর্টের আদেশে মামলাটি দীর্ঘদিন ঝুলে ছিল। পরে হাইকোর্ট ৬০ দিনের মধ্যে মামলার অধিকতর তদন্ত করতে পিবিআইকে নির্দেশ দেন।

২০১৯ সালের ১৭ অগাস্ট এ মামলাটি তদন্ত শুরু করে পিবিআই। তদন্ত করতে গিয়ে দেখা যায় সগিরা মোর্শেদের ভাসুর ডা. হাসান আলী পরিবারের অন্য সদস্যদের যোগসাজশে পারিবারিক কলহের জেরে ভাড়াটিয়া খুনি দ্বারা এই খুনটা করান।

তদন্ত কর্মকর্তা অভিযোগপত্রে উল্লেখ করেন, সগিরা মোর্শেদের পরিবারের সঙ্গে আসামি শাহীনের বিভেদ তৈরি হয়েছিল। এছাড়া শাশুড়ি সগিরাকে অপছন্দ করতেন এবং শিক্ষাগত যোগ্যতা নিয়ে সগিরা-শাহীনের মধ্যে দ্বন্দ্ব ছিল। সম্বোধন করা নিয়েও ছিল পারিবারিক দ্বন্দ্ব।

অভিযোগপত্রে আরও বলা হয়, সগিরার কাজের মেয়েকে মারধর করেন আসামি ডা. হাসান আলী চৌধুরী। এ নিয়ে পারিবারিক বৈঠকে সগিরাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন শাহীন। আসামিরা নিজেদের বাসায় বসে সগিরাকে হত্যার পরিকল্পনা করেন। পরিকল্পনা অনুযায়ী ডা. হাসান আলী তার চেম্বারে অন্য আসামি মারুফ রেজার সঙ্গে ২৫ হাজার টাকায় হত্যার চুক্তি করেন। পরে তাকে গুলি করে হত্যা করা হয়

Link copied!