• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৫ শাওয়াল ১৪৪৫

মিনতি শ্রমিকদের ঈদপণ্য দিলো কিউএলএফ


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: এপ্রিল ৫, ২০২৪, ০৭:৩২ পিএম
মিনতি শ্রমিকদের ঈদপণ্য দিলো কিউএলএফ

“সাহেবদের ভালো-মন্দ জিনিসপত্র মাথায় করে নিয়ে যাই। কিন্তু নিজের ছেলেমেয়েদের জন্য কিনতে পারি না। ঈদের ছেলে মেয়েদের এখনো কোনো কিছু কিনে দিতে পারি নাই। ঈদ কীভাবে হবে জানি না।” আক্ষেপের এই কথাগুলো মিনতি শ্রমিক জাহাঙ্গিরের। তিনি রাজধানীর কারওয়ান বাজারের ক্রেতাদের মালামাল বহন করেন।

শুধু জাহাঙ্গির নয়, তার মতো অধিকাংশ শ্রমিকের কপালে চিন্তার ভাঁজ পড়েছে আসন্ন ঈদকে কেন্দ্র করে। কীভাবে ঈদে নিজেদের বাজার-সদাই করবেন? তাদের এমন দুশ্চিন্তার মধ্যে সুসংবাদ নিয়ে এসেছে কোয়ালিটি লাইফ ফাউন্ডেশন (কিউএলএফ) নামের একটি সংগঠন। ঈদের বাজার সদাই হিসেবে মিনতিদের হাতে তুলে দিয়েছে ৯টি পণ্য।

শুক্রবার (৫ এপ্রিল) বিকেলে কারওয়ান বাজারে প্রায় ৫১ জন মিনতি শ্রমিকের মাঝে ঈদের বাজার সদাই বিতরণের ব্যানারে প্রত্যেকে চাল, ডাল, চিনি, তেল, মুরগি, সেমাই, লবণ, আলু ও পেঁয়াজ দেওয়া হয়।

মিনতি শ্রমিকরা এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন। আয়োজকরা জানিয়েছেন, সমাজের সকল স্তরের ব্যক্তি নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী এসব শ্রমিকের পাশে দাঁড়ালে সবার ঘরে ছড়িয়ে পড়বে ঈদের অনাবিল আনন্দ।

ঈদের বাজার-সদাই পেয়ে জাহাঙ্গির বলেন, “অনেকটা উপকার হলো। এই বাজার দিয়ে এক সপ্তাহ চলা যাবে। ঈদের সেমাই চিনি কিনতে হলো না। বেঁচে যাওয়া টাকা দিয়ে অন্য খরচ করব। তাদের (কোয়ালিটি লাইফ ফাউন্ডেশন) জন্য দোয়া রইল।”

আশরাফ নামের আরেক শ্রমিক বলেন, “বাজারে সব জিনিসের দাম বেশি। টাকা গোছায় গোছায় বাড়িতে পাঠাতে হয়। সপ্তাহ অন্তর দেড় হাজার দুই হাজার টাকা বাড়িতে দেই। ওই টাকায় হয় না। ঈদের জামা কাপড় কেনার জন্য কিছু টাকা জমায় রাখছিলাম। বাজারে দামের কারণে কী দিয়ে কী করব জানি না। অনেক খুশি লাগছে আজকে এখানে এসব জিনিস পাইলাম।”

সামাত নামের আরেক শ্রমিক বলেন, “১০ বছর ধরে কারওয়ান বাজার কাজ করি। প্রতিদিন ৩ থেকে ৪ ০০ টাকা আয় করি। ছেলে মেয়েদের ঈদের জামা কাপড় কিনে দিতে এখনো পারি নাই। বাড়ি যাব সোমবার। যাওয়ার আগে পাইলাম। বউ খুশি হবে।”

কোয়ালিটি ফাউন্ডেশনের সমন্বায়ক ডা. দলিলুর রহমান বলেন, “এখানে ৫১ জনকে দেওয়া হচ্ছে আজকে। প্রত্যেকেই ৯টি করে পণ্য পাবে। এখানে ৫১ জনের অবস্থা খুবই খারাপ। তাদের পারিবারিক ভিটা হয়তো নদীগর্ভে বিলীন হয়েছে, আয় রোজগার নিজ এলাকায় হারিয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি সমাজের এসব মানুষের পাশে দাঁড়ালে তাদের ঘরে ঈদের আনন্দ আরও বাড়বে।”

Link copied!