• ঢাকা
  • বুধবার, ০৮ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৮ শাওয়াল ১৪৪৫

প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ড সংকটের মধ্যে ধৈর্য হারান না : তথ্যমন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মে ৭, ২০২৩, ০৪:১০ পিএম
প্রধানমন্ত্রী প্রচণ্ড সংকটের মধ্যে ধৈর্য হারান না : তথ্যমন্ত্রী

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রচণ্ড সংকটের মধ্যে ধৈর্য হারান না বলে মন্তব্য করেছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, “বঙ্গবন্ধু যেমন অসীম সাহসী ছিলেন, তেমনি তার কন্যাও অসীম সাহসী।”

রোববার (৭ মে) সকালে জাতীয় প্রেস ক্লাবের আবদুস সালাম হলে  ‌‘বাঙলার স্থপতি’ গ্রন্থের লেখক অ্যালভীন দীলিপ বাগচীর সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। এই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে বাংলাদেশ খ্রিস্টান যুব কল্যাণ সমিতি।

ড. হাছান মাহমুদ বলেন, “আজকে আওয়ামী লীগ পরপর তিনবার রাষ্ট্র ক্ষমতায়, এটা যত না আওয়ামী লীগের জন্য, তার থেকে বেশি শেখ হাসিনার জন্য। আজকে তার দ্বিতীয়বার বিদেশ থেকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস। কারণ ১৯৮১ সালের ১৭ মে তিনি প্রথমবার আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দেশে পদার্পণ করেছেন।”

তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বাঙালি জাতিসত্তার উন্মেষ ঘটেছে পাঁচ হাজার বছর আগে। কিন্তু বাঙালি কখনো স্বাধীন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে পারেনি। ইতিহাসে আমরা দেখতে পাই, বাংলা ভাষাভাষী কিছু অঞ্চল নিয়ে কিছু স্বাধীন রাজা ছিল। কিন্তু পুরো বাংলা ভাষাভাষী নিয়ে কোনো স্বাধীন রাষ্ট্র কখনো প্রতিষ্ঠিত হয়নি।”

তিনি বলেন, “বাঙালিদের স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা ছিল। সেই আকাঙ্ক্ষা থেকে অনেকে স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছে, মৃত্যুও ঘটেছে। কিন্তু স্বাধীনতা আসেনি। বঙ্গবন্ধু রাজনৈতিক কবি ছিলেন। তিনি জানতেন, কখন কোন কথা জনগণের সামনে পেশ করতে হবে। তিনি বুঝতেন, কীভাবে স্বাধীনতার লক্ষ্যে জাতির মনন তৈরি করতে হবে।”

বঙ্গবন্ধুর কথা তুলে ধরে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “বঙ্গবন্ধু পাকিস্তান সৃষ্টির এক বছরের মাথায় অনুধাবন করতে পেরেছিলেন, পাকিস্তান রাষ্ট্র ব্যবস্থার মধ্যে বাঙালির মুক্তি নিহিত নেই। বঙ্গবন্ধু বাঙালির স্বাধীনতার পরিকল্পনা করেছিলেন পাকিস্তান সৃষ্টির পরপরই। বঙ্গবন্ধু সেই পরিকল্পনা নিয়ে এগিয়ে গেলেও, তা জনগণের সামনে পেশ করেননি। হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর মৃত্যুর পর ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু ৬ দফা ঘোষণা করেন। এই ৬ দফা ঘোষণা করেছিলেন স্বাধীনতা ও বাঙালির মনন তৈরি করার জন্য।”

তিনি বলেন, “১৯৭০ সালে নির্বাচনে জয়লাভ করার পর বঙ্গবন্ধুকে ৬ দফার সঙ্গে আপস করতে বলা হয়েছে। কয়েক দফা বাদ দিতে বলা হয়েছে। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তা বাদ দেননি। ৬ দফা যখন ঘোষণা করা হয়েছিল, তখন তা ছিল আওয়ামী লীগের দফা। কিন্তু ৬ দফার ভিত্তিতে ১৯৭০ এর নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এখন এটি আর আওয়ামী লীগের দফা নয়, এটি জনগণের দফা।”

তিনি আরও বলেন, “১৯৬৬ সালে আওয়ামী লীগের যখন সম্মেলন করা হয়, তখন সম্মেলন সঙ্গীত ছিল, ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’। আজকে এটিই আমাদের জাতীয় সঙ্গীত। বঙ্গবন্ধু যে স্বাধীনতার লক্ষ্য নিয়ে এগোচ্ছিলেন, এগুলোই হচ্ছে এর প্রমাণ। কিন্তু বঙ্গবন্ধু তা বলেননি।”

ইলারিশ আর. গমেজের সভাপতিত্বে সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য (ভিসি) আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) ড. ছাদেকুল আরেফিন মতিন, সাবেক সচিব মো. শহীদ উল্লাহ খন্দকার, সহকারী বিশপ থিওটনিয়াস গমেজ প্রমুখ।

‘বাঙলার স্থপতি’ গ্রন্থের লেখক অ্যালভীন দীলিপ বাগচী একজন কানাডা প্রবাসী। তার বাড়ি গোপালগঞ্জের কোটালীপাড়ার বুরুয়াবাড়ি। তিনি ‘বাঙলার স্থপতি’ গ্রন্থে ১-৭ খণ্ড গ্রন্থে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, মুক্তিসংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের আনুপূর্বিক বর্ণনাসহ জাতি সত্ত্বার প্রায় সব অমর গাঁথাকে সুনিপুণভাবে গ্রন্থিবদ্ধ করেছেন।

Link copied!