রাজধানীর বাজারগুলোতে বেড়েই চলছে পেঁয়াজের দাম। নিত্যপ্রয়োজনীয় এই সবজিটির দাম এরই মধ্যে ১১০ টাকা ছাড়িয়েছে।
শুক্রবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর কারওয়ান বাজারে পাইকারি দোকানে দেশি পাবনার পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ১১০ থেকে ১১২ টাকা এবং ফরিদপুরের পেঁয়াজ ১০৫ থেকে ১০৭ টাকায়। এছাড়া বাজারে সরবরাহ হওয়া কুষ্টিয়ার হাইব্রিড জাতের পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে প্রতি কেজি ৮০ টাকায়। যদিও হাইব্রিড পেঁয়াজের চাহিদা তুলনামূলক কম।
অপরদিকে, পাইকারি দোকানের তুলনায় প্রতি কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা পর্যন্ত বেশি দামে বিক্রি হচ্ছে খুচরা দোকানে।
ব্যবসায়ীদের দাবি, সরবরাহ স্বাভাবিক না থাকায় বাজারে পেঁয়াজের দামে পরিবর্তন এসেছে। দুই সপ্তাহের মধ্যে পেঁয়াজের দাম কমতে পারে বলে আশ্বাস ব্যবসায়ীদের।
সাইফুল্লাহ নামের একজন ক্রেতা এসেছেন পেঁয়াজ কিনতে। তিনি বলেন, “রমজানের আগে শুধু পেঁয়াজ নয়, ডাল, চিনি এসবের দামও বেড়েছে। বিশ্বের অন্যান্য দেশে রমজান মাসে বিশেষ ছাড়ে ব্যবসা হয়। কিন্তু আমাদের দেশে হয় বিপরীত। এটা রোজাদারদের জন্য অত্যন্ত দুঃখজনক। যা মোটেও কাম্য নয়।”
ওয়ালিওল্লাহ্ নামের আরেক ক্রেতা বলেন, “রমজানের আগে আগে পেঁয়াজের দাম কম হওয়ার কথা। তাই অপেক্ষা করে পেঁয়াজ বাজার যাচাই করতে এসেছি। এসে শুনি পেঁয়াজ দাম ১০০ টাকার ওপরে। আজকেই ৫ কেজি কিনে নিয়ে যাব।”
পেঁয়াজ ক্রেতা মোস্তফা কামাল বলেন, “অনেক অস্থির পেঁয়াজের দাম। গত বছর এই সময়টাতে পেঁয়াজ প্রতি ৫ কেজি ৩৫০ টাকায় কিনেছিলাম। আর এখন কিনতে হচ্ছে ৫০০ টাকারও ওপরে।”
পেঁয়াজ বিক্রেতা মানিক বলেন, “পেঁয়াজ মজুত করা যায় না। কৃষক পর্যায়ে প্রতি মণ ৪ হাজার থেকে ৪১০০ টাকা (প্রতি কেজি ১০০ থেকে ১০২ টাকা) পর্যন্ত কেনা পড়ে।”
কালাম শেখ নামের আরেক পেঁয়াজ বিক্রেতা বলেন, “হালি পেঁয়াজ (মজুত করে রাখার মতো পেঁয়াজ) বাজারে উঠতে আর দুই সপ্তাহ মতো লাগবে। ওই পেঁয়াজ বাজারে এলে দামটা কমে যাবে।”
আপনার মতামত লিখুন :