• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১, ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫
সুপ্রিম কোর্ট বার নির্বাচন

আ.লীগ ও বিএনপিপন্থীদের ধাক্কাধাক্কি, ভোট গ্রহণবন্ধ


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ১৫, ২০২৩, ০১:৫৮ পিএম

সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির এবারের (২০২৩-২৪) নির্বাচন পরিচালনাসংক্রান্ত কমিটি নিয়ে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-সমর্থিত আইনজীবীদের মধ্যে হইচই, হট্টগোল, ধাক্কাধাক্কির ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (১৫ মার্চ) সকাল ১০টার দিকে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির মিলনায়তনের (ভোটকেন্দ্র) ভেতরে এ ঘটনা ঘটে।

ঘোষিত তফসিল অনুসারে, সমিতির দুই দিনব্যাপী এ নির্বাচন আজ ও আগামীকাল বৃহস্পতিবার হওয়ার কথা। আজ সকাল ১০টায় ভোট গ্রহণ শুরুর কথা ছিল, কিন্তু নির্বাচন পরিচালনাসংক্রান্ত কমিটি নিয়ে সকাল থেকেই সমিতির মিলনায়তনের ভেতরে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তাপ ছড়ায়। আওয়ামী লীগ ও বিএনপি-সমর্থিত আইনজীবীদের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। ‘আগে চাই কমিশন, তারপরে নির্বাচন’ বলে এ সময় বিএনপিপন্থী আইনজীবীদের মিলনায়তনের ভেতরে স্লোগান দিতে দেখা যায়।

এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের আওয়ামী লীগপন্থী আইনজীবী এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক বলেন, সকালে ভোটগ্রহণ শুরু হলে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা আমাদের বাধা দেন। আপাতত ভোট গ্রহণ বন্ধ রয়েছে। তাদের দাবি নির্বাচন কমিশন ঠিক না হলে তারা ভোট হতে দেবেন না। নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশনের দাবিতে বিক্ষোভ করছেন তারা। এতে ভোটগ্রহণ বন্ধ রয়েছে।

এদিকে জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের সুপ্রিম কোর্ট ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট গাজী মো. কামরুল ইসলাম সজল বলেন, সাধারণ আইনজীবীদের চাপের মুখে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচনের ভোট গ্রহণ বন্ধ রয়েছে। আমাদের দাবি নিরপেক্ষ নির্বাচন কমিশন না হওয়া পর্যন্ত এ নির্বাচন হতে পারে না।

দুই পক্ষের অবস্থানের পরিপ্রেক্ষিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে বেলা ১১টার ৪০ মিনিটের দিকে সমিতির মিলনায়তনে পুলিশ প্রবেশ করে। এ সময় কয়েকজন সাংবাদিক ও আইনজীবী পুলিশের হাতে লাঞ্ছিত হন।

এর আগে সোমবার নির্বাচন পরিচালনাসংক্রান্ত উপকমিটির আহ্বায়ক সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মো. মনসুরুল হক চৌধুরী ‘ব্যক্তিগত’ কারণ দেখিয়ে পদত্যাগ করেন। এ প্রেক্ষাপটে ভোট হবে কি না, কে আহ্বায়ক হবেন, নাকি উপকমিটির অন্য সদস্যরা নির্বাচন পরিচালনা করবেন—তা নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার দিনভর আইনজীবীদের মধ্যে আলোচনা চলে।

গতকাল সন্ধ্যার পর সমিতি প্রাঙ্গণে আহ্বায়ক কমিটির প্রধান নিয়ে দুই পক্ষের মধ্যে উত্তাপ ছড়ায়। আওয়ামী লীগ-সমর্থিত আইনজীবীরা নির্বাচন পরিচালনা উপকমিটির আহ্বায়ক হিসেবে মো. মনিরুজ্জামানকে মনোনীত করেন। অন্যদিকে বিএনপি-সমর্থিত আইনজীবীরা এ এস এম মোকতার কবির খানকে আহ্বায়ক মনোনীত করেন।

প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক আইনজীবীর ভাষ্য, গতকাল সন্ধ্যা সাতটার দিকে আওয়ামী লীগ-সমর্থিত আইনজীবীরা মো. মনিরুজ্জামানকে আহ্বায়ক মনোনীত করার পর বিএনপি-সমর্থিত আইনজীবীরা মোকতার কবির খানকে আহ্বায়ক হিসেবে ঘোষণা দেন।

মনিরুজ্জামান নির্বাচনী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ব্যালট পেপারে সই করতে সমিতির তিনতলার সম্মেলনকক্ষে যান। এতে আপত্তি জানান বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। তারা কিছু ব্যালট পেপার ছিনিয়ে নেন। এ নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মিছিল, হইচই ও হট্টগোল হয়। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়।

Link copied!