• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৪ বৈশাখ ১৪৩১, ১৮ শাওয়াল ১৪৪৫

রোজার ৮ পণ্য আমদানিতে ন্যূনতম এলসি মার্জিন রাখার নির্দেশ


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ১৮, ২০২৪, ০৮:১৯ এএম
রোজার ৮ পণ্য আমদানিতে ন্যূনতম এলসি মার্জিন রাখার নির্দেশ
ছবি : সংগৃহীত

আসন্ন রমজানে পেঁয়াজ, ভোজ্যতেল, ছোলা ও খেজুরসহ আট ধরনের খাদ্যপণ্য আমদানিতে ঋণপত্র (এলসি) খোলার ক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোকে ন্যূনতম পর্যায়ে নগদ মার্জিন রাখতে বলেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। অভ্যন্তরীণ বাজারে এসব পণ্যের সরবরাহ নিশ্চিত করতে আমদানির ঋণপত্র খোলায় অগ্রাধিকার দিতে বলা হয়েছে নির্দেশনায়।

বুধবার (১৭ জানুয়ারি) এক নির্দেশনায় বাংলাদেশ ব্যাংক বলেছে, ২০২২ সালের ডিসেম্বরের মতো ব্যাংক-গ্রাহকের সম্পর্কের ভিত্তিতে নগদ এ মার্জিনের হার নির্ধারণ করতে হবে। এই নির্দেশনা অবিলম্বে কার্যকর হবে এবং তা আগামী ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের ব্যাংকিং প্রবিধি ও নীতি বিভাগ থেকে এসংক্রান্ত একটি নির্দেশনা জারি করে দেশে কার্যরত সব তফসিলি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠানো হয়েছে।

চাঁদ দেখা সাপেক্ষে আগামী মার্চের মাঝামাঝি সময়ে রমজান মাস শুরু হতে পারে। এই সময়ে ইফতারের জন্য বিভিন্ন পদের খাবার তৈরিতে বিভিন্ন খাদ্যপণ্যের চাহিদা বছরের অন্য সময়ের তুলনায় কয়েক গুণ বৃদ্ধি পায়। এ মাসের চাহিদা পূরণে এর আগে গত ১১ জানুয়ারি আরেক সার্কুলারে বাংলাদেশ ব্যাংক এই আট পণ্য বাকিতে আনারও সুযোগ দেয়।

বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ চাপে থাকায় ২০২২ সালের জুলাই থেকে ডলার সাশ্রয়ের অংশ হিসেবে বাংলাদেশ ব্যাংক পণ্য আমদানিতে কড়াকড়ি করছে। বিলাসদ্রব্যসহ তুলনামূলক কম প্রয়োজনীয় পণ্যের আমদানি নিয়ন্ত্রণে নগদ মার্জিন বাড়িয়ে শতভাগ করা হয় তখন।

পাশাপাশি আবশ্যকীয় ও বিলাসী পণ্য ছাড়া অন্যান্য সব পণ্যের আমদানি ঋণপত্র খুলতে ন্যূনতম ৭৫ শতাংশ নগদ মার্জিন সংরক্ষণের নির্দেশ জারি হয়।

কেন্দ্রীয় ব্যাংক বলেছে, ১০০ শতাংশ ও ৭৫ শতাংশ নগদ মার্জিনে পণ্য আমদানিতে ঋণপত্র খোলার বিপরীতে প্রয়োজনীয় মার্জিন গ্রাহকের নিজস্ব উৎস থেকে গ্রহণ করতে হবে। অর্থাৎ এসব পণ্য আমদানিতে ব্যাংক কোনোভাবে অর্থায়ন করতে পারবে না।

তবে শিশুখাদ্যসহ অত্যাবশ্যকীয় খাদ্যপণ্য, জ্বালানি, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর স্বীকৃত জীবন রক্ষাকারী ওষুধ ও সরঞ্জামসহ আরও কিছু পণ্য আমদানিকে এর বাইরে রাখা হয়।

Link copied!