বিএনপি-জামায়াতের আগুনসন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সাংবাদিকদের কলম ধরার আহ্বান জানিয়েছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ। তিনি বলেছেন, “বিএনপির কর্মসূচির নামে গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো, আগুনসন্ত্রাস চালানো, মানুষের ওপর বোমা নিক্ষেপের কর্মসূচি ঘোষণা করা হচ্ছে। এগুলো কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি হতে পারে না। এর বিরুদ্ধে দয়া করে আপনারা কলম ধরুন, কথা বলুন।”
বৃহস্পতিবার (২৩ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্টের চেক বিতরণকালে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, “গত ২৮ অক্টোবর বিএনপির সমাবেশের নামে ৩২ জন সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। একজন সাংবাদিককে টানা-হেঁচড়া করে মাটিতে ফেলে তাকে পেটানো হয়েছে। এর মধ্যে ২০ জনের বেশি হচ্ছেন বিএনপি বিটের সাংবাদিক। তাদের তারা চেনেন, তারপরও মেরেছেন। বাংলাদেশে একদিনে এতো সাংবাদিককে আহত করা আগে কখনো হয়নি।”
তথ্যমন্ত্রী বলেন, “তারা (বিএনপি) যখন ক্ষমতায় ছিল, তখন খুলনার হুমায়ুন কবীর বালু, মানিক সাহা, যশোরের সাইফুল ইসলাম মুকুল, শামসুর রহমানসহ ৭ বছরে ১৪ জন সাংবাদিককে শুধু খুলনা-যশোর এলাকাতেই হত্যা করেছে।”
হাছান মাহমুদ বলেন, “বিএনপি বলেছিল, জোটের সমর্থন নিয়ে তারা দুর্বার আন্দোলনের চেষ্টা করছে, নির্বাচনটা ঠেকিয়ে দেবে। অথচ যারা তাদের বাতাস দিয়েছিল, তাদেরও বাতাস ফুরিয়ে গেছে। বুধবার (২২ নভেম্বর) তাদের ১২ দলীয় জোট থেকে ৩টা নিবন্ধিত দলসহ ৬টি দল বের হয়ে গেছে। জোটের শরিকরাও পালিয়ে নির্বাচনে অংশগ্রহণের ঘোষণা দিয়েছে।”
বিএনপি অফিস তালাবদ্ধ প্রসঙ্গে হাছান মাহমুদ বলেন, “এই তালা প্রশাসন দেয়নি, ওরাই তালা মেরে চলে গেছে। একটা তালা খোলার মানুষ নাই তাদের। একটা তালা খুলে ওখানে বসার সাহসটাও তারা হারিয়ে ফেলেছে। তারা কীভাবে রাজনীতি করে।”
যথাসময়ে উৎসাহ, উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে জনগণের ব্যাপক অংশগ্রহণে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “আসুন সবাই মিলে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাই। এই অগ্নিসন্ত্রাস-নৈরাজ্যের হাত থেকে দেশটাকে রক্ষা করি। আমাদের সরকার এই সন্ত্রাসী নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী, দেশবিরোধী অপশক্তিকে নির্মূল করতে বদ্ধপরিকর।”
সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট নিয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যে সাংবাদিকবান্ধব, এই ট্রাস্ট তার অনন্য দৃষ্টান্ত। আজ সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট সাংবাদিকদের একটি ভরসাস্থল হয়ে দাঁড়িয়েছে। করোনাকালে এককালীন সহায়তা হিসেবে ১০ হাজারের বেশি সাংবাদিককে ১০ হাজার টাকা করে অনুদান দেওয়া হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী এ জন্য ১০ কোটি টাকা বিশেষ বরাদ্দ দিয়েছেন।”
আপনার মতামত লিখুন :