• ঢাকা
  • সোমবার, ০৯ ডিসেম্বর, ২০২৪, ২৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ৭ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

সবজির বাজারে বৃষ্টির প্রভাব


বিজন কুমার
প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৫, ২০২৩, ০৬:১৯ পিএম
সবজির বাজারে বৃষ্টির প্রভাব
কারওয়ান বাজারের সবজির দোকানে ক্রেতারা। ছবি-সংবাদ প্রকাশ

দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রবল বৃষ্টিপাতের প্রভাব পড়েছে রাজধানী ঢাকার কাঁচা বাজারে। এতে সরবরাহ কমে যাওয়ায় অনেক সবজির দাম বেড়েছে প্রায় দ্বিগুণ।

সোমবার (২৫ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর কারওয়ান বাজারের কাঁচা সবজির দোকান ঘুরে দেখা যায়, বেগুন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ৯০ টাকায়। একইভাবে, প্রতি কেজি ঢেঁড়শ, শসা, চিচিঙ্গা এবং লতি কচু বিক্রি হচ্ছে ৫০ টাকায়। পাশাপাশি কাঁচামরিচ বিক্রি হচ্ছে ১৫০ ও কচুর মোখা ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

এদিকে গত সপ্তাহে বেগুন প্রতি কেজির দাম ছিল ৩০ টাকা। একইভাবে ঢেঁড়শ, শসা, চিচিঙ্গা, এবং লতি ও কচু প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৩০ টাকাতেই। পাশপাশি কাঁচামরিচ বিক্রি হয়েছে ৬০ ও কচুমোখা ৭০ টাকায়।

অপরদিকে, প্রতি কেজিতে ১০ টাকা কমে গিয়ে পটল বিক্রি হচ্ছে ৪০ টাকা ও করলা ৫০ টাকা। আর পেঁপের দাম স্থিতিশীল থেকে বিক্রি হচ্ছে ২০ থেকে ২৫ টাকায়।

মূল্যবৃদ্ধির প্রতিযোগিতার বাজারে ক্রেতারা বলছেন, হিসাব কষে কিনতে হচ্ছে কাঁচা সবজি। আর বিক্রেতারা বলছেন, দাম বেড়ে যাওয়ার কারণে ক্রেতা ও বিক্রির পরিমাণ উভয় কমেছে তাদের দোকানে।

রাজধানীর নাখাল পাড়া এলাকার কামরুল ইসলাম বাজারে এসে ১ ঘণ্টা ধরে ঘুরছেন। কিন্তু পেঁপে ছাড়া কিছুই কিনতে পারেন নি। তিনি বলেন, “বাড়ি থেকে হিসাব কষে বাজার করতে আসলেও, এখন কিনতে পারছি না। যদি কিনতে চাই ২ কেজি, বাজারে এসে কিনতে হয় হাফ কেজি বা ৫০০ গ্রাম। বৃষ্টির কারণে কাঁচা সবজির দাম বেড়েছে। বাজার ঘুরেও কেনা যাচ্ছে না। পেঁপের দাম কম হওয়ার কারণে কিনতে পারলাম।”

পাশেই দাঁড়িয়ে থাকা অধির কুমার বলেন, “পেঁপে ছাড়া আর কিছু কিনবো না। দাম অনেক বেশি। বাড়িতে যা আছে ওটা দিয়ে কয়েকদিন চালাবো। তারপরে দেখা যাক।”

খুচরা বিক্রেতা রফিক বলেন, “কাঁচা সবজির মার্কেটে গেলে কিনতে পারি না। আনলে বেচতে পারি না। উভয় সংকটে পড়ে গেছি। কাঁচা সবজি তো একদিনের বেশি রাখা যায় না। দাম বেশি হওয়ার কারণে ক্রেতার সংখ্যা কম। তাই অনেক সময় কেনা দামে বিক্রি করতে হয়। আবার লোকসান করেও বেচতে হয় হয়।”

খুচরা বিক্রেতা মোশারফ হোসেন বলেন, “দেশের অনেক জায়গায় বৃষ্টি আর বন্যা হচ্ছে। এতে কাঁচা সবজি বাজারে তেমন আমদানি হচ্ছে না। তাই দাম এখন বেশি। ব্যবসা করেও তেমন শান্তি নেই।”  

Link copied!