গত তিনদিন নগরে যানজটে তেমন ভোগান্তি না থাকলেও পবিত্র রমজান শুরুর পর প্রথম কর্মদিবসে রাজধানীর বিভিন্ন সড়ক ও অলিগলিতে নেমেই ভোগান্তিতে পড়েছেন নগরবাসী। শুধু তাই নয়, অনেকে এদিন নির্ধারিত সময়ে পৌঁছাতে পারেননি অফিস-আদালতে কিংবা ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে। এতে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন নগরের বসবাসরত কর্মজীবী মানুষ। তাদের আশঙ্কা ঈদের কেনাকাটা শুরু হলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যাবে।
সোমবার (২৭ মার্চ) সকাল থেকেই অফিস-আদালতগামী কর্মজীবী মানুষকে নাকাল হতে হয়েছে বিভিন্ন সড়কে যানজট ও দীর্ঘ ট্রাফিক সিগনালে।
সরজমিনে দেখা যায়, রাজধানীর প্রবেশমুখ ডেমরার স্টাফ কোয়াটার ও যাত্রাবাড়ী-সায়েদাবাদ, বাবুবাজার, খিলগাঁও, রামপুরা, কাওরানবাজার ও ধানমন্ডি রোড, বিজয় সরণি, ফার্মগেট, নাবিস্কো থেকে মহাখালী এবং বিমানবন্দর থেকে মহাখালী সড়ক পর্যন্ত গাড়ির চাপ ছিল বিগত দিনের তুলনায় অনেক বেশি।
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন আহমেদ ফয়সাল। মতিঝিলে অফিসের উদ্দেশে মহাখালী থেকে বাসে উঠে বিজয় সরণি সিগনাল পর্যন্ত আসতে সময় লেগেছে এক ঘণ্টার বেশি, যেখানে যানজট না থাকলে কয়েক মিনিটেই আসা যায়। ক্ষোভ প্রকাশ করে তিনি বলেন, অফিসে সময়মতো পৌঁছানো কোনোভাবেই সম্ভব নয়। এখনই এ অবস্থা। কিছুদিন পর যখন শপিং করার চাপ বাড়বে, তখন তো পরিস্থিতি আরও জটিল হবে।
মতিঝিলে একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন জাফর আহমেদ রানা। তার বাসা সাইনবোর্ডের ভূইঘড় এলাকায়। সকাল ৮টায় বাসা থেকে রওনা দিয়ে মতিঝিলের কর্মস্থলে পৌঁছাতে তার সময় লেগেছে প্রায় দেড় ঘণ্টা। তিনি বলেন, দেশের উন্নয়ন হলেও সরকার যানজট নিরসনে নজর দিচ্ছে না।
নিউমার্কেটে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে কর্মরত জুনায়েদ সিদ্দিক জানান, খিলক্ষেত থেকে বিজয় সরণি আসতে কয়েক ঘণ্টা সময় লেগে গেছে। সময়মতো অফিসে পৌঁছাতে না পারলে অনেক সমস্যা হয়।
এদিকে রমজানে সেহরি ও ইফতারের সময় বিবেচনা করে সোমবার থেকে সব সরকারি, আধা সরকারি এবং স্বায়ত্তশাসিত ও আধা স্বায়ত্তশাসিত অফিস শুরু হয়েছে নতুন সময়সূচি অনুযায়ী।
প্রথম রোজা থেকেই নতুন সময়সূচি চালু হওয়ার সিদ্ধান্ত হলেও রমজানের প্রথম দিন ছিল শুক্রবার (২৪ মার্চ), আর দ্বিতীয় দিন ছিল শনিবার (২৫ মার্চ)। দুদিনের সাপ্তাহিক ছুটি শেষে রোববার (২৬ মার্চ) ছিল মহান স্বাধীনতা দিবসের ছুটি। ফলে রমজানের তিনদিন পর সোমবার থেকে নতুন সময়সূচি অনুযায়ী চলছে ব্যাংক-অফিস।
-20240425151033.jpg)
আপনার মতামত লিখুন :