ব্যস্ততার শহর রাজধানী ঢাকায় সবচেয়ে বড় সমস্যা যানজট। এতে একজন ব্যক্তিকে গন্তব্যে পৌঁছাতে যেমন বেগ পেতে হয়। একইরকমভাবে পোহাতে হয় ভোগান্তি। অবশেষে যানজট নিরসনে খুলে দেওয়া হয়েছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের বিমানবন্দর-ফার্মগেট অংশ। নগরবাসী বলছে, চলার পথে এতে কিছুটা স্বস্তি ফিরেছে।
বুধবার (৫ সেপ্টেম্বর) তেজগাঁও এলাকায় গিয়ে দেখা যায়, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে ওঠার দুইটি পথ রয়েছে। এই পথে অনেক গাড়ি নিজ নিজ গন্তব্যে চলে যাচ্ছে। এর মধ্যে অধিকাংশই চার চাকার গাড়ি। কিছু মোটরসাইকেল চালক ভুলে রাস্তায় ওঠার চেষ্টা করলে তাদের ফিরে দিচ্ছেন দায়িত্বরতরা।
জানা যায়, পুরো এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে বিমানবন্দর থেকে কুড়িল, বনানী, মহাখালী, তেঁজগাও, মগবাজার, কমলাপুর, সায়েদাবাদ, যাত্রাবাড়ী হয়ে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুতুবখালী এলাকায় শেষ হবে। এই পথের দৈর্ঘ্য ৪৬ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। বর্তমানে এক্সপ্রেসওয়ে খুলে দেওয়া বিমানবন্দর থেকে ফার্মগেট অংশ ১১ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এক্সপ্রেসওয়ে প্রতিদিনই যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে। রেললাইনের ওপর এই রাস্তা নির্মাণের কাজ অনেক কঠিন ছিল বলে জানিয়েছেন তারা।
লতিফা সুলতানা তৃপ্তি নামের এক প্রাইভেটকার চালক বলেন, “কখনই ভাবিনি এমন একটি রাস্তা আমাদের দেশে তৈরি হবে। সত্যি খুব ভালো লাগছে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে উঠে। যদিও এখনও পুরো রাস্তা খুলে দেওয়া হয়নি। আমি মনে করি, যানজট নিরসনে অনেকটা উপকারে আসবে এই রাস্তা। দ্রুত এই রাস্তা সম্পূর্ণ নির্মাণ কাজ শেষ হোক এটা প্রত্যাশা।”
এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে নগরবাসীর স্বস্তি ফেরাচ্ছে জানিয়ে জারিফ নামের এক ব্যক্তি বলেন, “দিন দিন যানবাহন বাড়ছে। ফলে রাস্তায় যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। এমন অবস্থায় এত বড় রাস্তা এ সময় নির্মাণ করা খুবই ভালো একটি উদ্যোগ বলে মনে হয়েছে। এই রাস্তা খুলে দেওয়ার পর কিছুটা হলেও যানজট কমেছে। সম্পূর্ণ রাস্তা নির্মাণ হলে দ্রুত সমস্যার সমাধান হবে।”
নিয়মতান্ত্রিক ব্যবস্থার কথা উল্লেখ করে সোহেল নামের একজন পথচারী বলেন, “অফিসে যেতে অনেক দেরি হয়। যানজট এই শহরের সবচেয়ে বড় সমস্যা। এই রাস্তায় গন্তব্যে পৌঁছাতে সহযোগিতা করবে। সকলেই ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিয়ম ভাঙে। এই রাস্তা নিয়মতান্ত্রিকতা বজায় রাখবে বলে প্রত্যাশা করি। তাহলে সকলের জন্য সুবিধা বয়ে আনবে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে।”
তেঁজগাও এলাকায় দায়িত্বরত সেফটি অফিসার মো. ইয়াহিয়া বলেন, “এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়েতে প্রতিদিনই যানবাহনের সংখ্যা বাড়ছে। সকালের দিকে চাপ একটু বেশি। এই রাস্তা নির্মাণ করা খুব কঠিন ছিল। অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় নির্মাণ করতে হয়েছে। অবশেষে সফলতা এসেছে। আমি সত্যি গর্বিত দেশের এমন উন্নয়নে অংশ নিতে পেরে।”