• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ১৯ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

স্থানীয়ভাবে ভোজ্যতেল উৎপাদন হবে: কৃষিমন্ত্রী


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৩১, ২০২২, ০৬:৪৪ পিএম
স্থানীয়ভাবে ভোজ্যতেল উৎপাদন হবে: কৃষিমন্ত্রী

স্থানীয়ভাবে ভোজ্যতেল উৎপাদন করা হবে বলে জানিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আবদুর রাজ্জাক। তিনি আরও বলেন, “আগামী তিন বছরের মধ্যে চাহিদার ৪০ থেকে ৫০ ভাগ ভোজ্যতেল দেশেই উৎপাদন হবে। মাঠপর্যায়ে আমাদের কর্মকর্তা ও টেকনিশিয়ানরা কৃষকদের উদ্বুদ্ধ করছেন।”

শনিবার (৩১ ডিসেম্বর) সকালে গাজীপুরের জয়দেবপুর বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে ব্রির বার্ষিক গবেষণা পর্যালোচনা কর্মশালায় কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।  

আবদুর রাজ্জাক বলেন, “আগে সবাই সরিষার তেল খেত। তখন সরিষার ভালো জাত ছিল না, উৎপাদন ছিল না। পরে সবাই ধান আবাদে চলে যায়। এরপর বিদেশ থেকে সয়াবিন ও পাম অয়েল সস্তায় আমদানি করে তেলের চাহিদা মেটানো হতো। কিন্তু এখন এমন অবস্থা হয়েছে আমরা পুরোপুরি তেল আমদানি নির্ভর হয়ে গেছি।”

এ সমস্যা সমাধানে দুটি সফলতা এসেছে জানিয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, “বারি ও বিনার বিজ্ঞানীরা অনেক ভালো সরিষার জাত উদ্ভাবন করেছেন। আগে বিঘায় দেড় থেকে দুই মণ সরিষা হতো এখন সেটা ৬-৭ মণ হচ্ছে। আগে সরিষা ছিল ছোট ছোট কিন্তু এখন আকারেও বড় হয়েছে।”

আবদুর রাজ্জাক আরও বলেন, “সাধারণত আমন ধান হয় ১৪০ বা ১৬০ দিনে। এ কারণে সময় বেশি লাগায় কৃষক পরে আর সরিষা লাগাতে চায় না। কিন্তু আমাদের বিজ্ঞানীরা এমন জাত উদ্ভাবন করেছেন যেটা ১১০ বা ১১৫ দিনেই হয়। কাজেই আমন ও বোরো ধানের মধ্যে যে সময়টা সেই সময়ের মধ্যে সরিষা আবাদ করা সম্ভব। ৮০ থেকে ৮৫ দিনের মধ্যে সরিষা এসে যায়। এতে সরিষা তুলে বোরো আবাদ করতে পারেন চাষিরা। কৃষক এ সরিষা থেকে ৩০ বা ৪০ হাজার টাকা আয় করতে পারেন।”

কর্মশালায় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. শাহজাহান কবীর, পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী ড. শামসুল আলম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব ওয়াহিদা আক্তার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বেনজির আলমসহ আরও অনেকে। 

Link copied!