• ঢাকা
  • রবিবার, ২৮ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ড. ইউনূসের সাজা চলবে, বিদেশ যেতে হলে যা করতে হবে


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মার্চ ১৮, ২০২৪, ০২:০৫ পিএম
ড. ইউনূসের সাজা চলবে, বিদেশ যেতে হলে যা করতে হবে
আদালত প্রাঙ্গণে ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ছবি : সংগৃহীত

শ্রম আইন লঙ্ঘন মামলায় নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ গ্রামীণ টেলিকমের চার শীর্ষ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ৬ মাসের সাজার রায় ও তা স্থগিতের আদেশ অবৈধ বলে বাতিল করেছেন হাইকোর্ট। ফলে ড. ইউনূসের ৬ মাসের সাজা চলমান থাকবে। সেই সঙ্গে ড. ইউনূসকে বিদেশ যেতে আদালতকে অবহিত করতে হবে।

সোমবার (১৮ মার্চ) বিচারপতি নজরুল ইসলাম তালুকদারের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।

আদালতে ইউনূসের পক্ষে শুনানি করেন আবদুল্লাহ আল মামুন। কলকারখানা অধিদপ্তরের পক্ষে শুনানি করেন খুরশীদ আলম খান।

শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড পাওয়া ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের দণ্ড স্থগিতের বৈধতা প্রশ্নে জারি করা রুলের ওপর ১৪ মার্চ শুনানি শেষে আদেশের জন্য আজকের দিন ধার্য করেন হাইকোর্ট।

এর আগে, তৃতীয় শ্রম আদালতের দেওয়া রায় ও আদেশের কার্যক্রম স্থগিত করেন শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল। ওই আদেশ কেন বাতিল হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন হাইকোর্ট।

একই সঙ্গে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলায় সাজার রায় থেকে অব্যাহতি পাওয়া গ্রামীণ টেলিকমের চেয়ারম্যান ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে বিদেশ গমনের ক্ষেত্রে আদালতের অনুমতি নিতে হবে। এ মামলার বাকি তিন আসামিকেও বিদেশযাত্রার ক্ষেত্রে একই আদেশ প্রতিপালন করতে হবে।

এ বিষয়ে করা রিভিশন আবেনের ওপর শুনানি নিয়ে গত ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্টের বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি কাজী ইবাদত হোসেনের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দিয়েছেন।

একই সঙ্গে ড. ইউনূসসহ চারজনের সাজার রায় স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া আদেশ কেন বাতিল করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন আদালত।

এদিন ড. ইউনূসের ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের রায়ের কার্যক্রম স্থগিত করে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালের দেওয়া আদেশের বিরুদ্ধে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদফতরের করা আবেদনের বিষয়ে শুনানি নিয়ে এ আদেশ দেন হাইকোর্ট।

গত ১ জানুয়ারি ঢাকার শ্রম আদালত-৩ এর বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা ড. ইউনূসসহ চারজনকে কারাদণ্ড দেন। শ্রম আইনের ৩০৩ (ঙ) ধারায় সর্বোচ্চ ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড ও পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয় তাদের। অপরদিকে ৩০৭ ধারায় ২৫ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১৫ দিনের কারাদণ্ড দেন আদালত।

এরপর আসামিপক্ষ আপিলের শর্তে জামিন আবেদন করেন। আদালত সে আবেদন মঞ্জুর করে পাঁচ হাজার টাকা বন্ডে এক মাসের জন্য জামিন দেন। সেই সময়সীমার মধ্যেই আপিল করেন দণ্ডপ্রাপ্তরা। ড. ইউনূস ছাড়া অন্য তিন বিবাদী হলেন গ্রামীণ টেলিকমের এমডি মো. আশরাফুল হাসান, পরিচালক নুরজাহান বেগম ও মো. শাহজাহান।

শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনাল গত ২৮ জানুয়ারি ড. ইউনূসসহ চারজনকে ৩ মার্চ পর্যন্ত জামিন দেন। আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ করে নথি তলব করেন। এছাড়া ৩ মার্চ পর্যন্ত দণ্ড স্থগিত করেন।

পরে কলকারখানা প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এ স্থগিতাদেশের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আবেদন করে। গত ৫ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট এ বিষয়ে রুল জারি করেন। এ ছাড়া দণ্ডিতদের বিদেশ যেতে হলে শ্রম আপিল ট্রাইব্যুনালকে অবহিত করে যেতে হবে বলে আদেশ দেন।

২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার তৃতীয় শ্রম আদালতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক আরিফুজ্জামান ড. ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলা করেন।

গত বছরের ৮ মে শ্রম আইন লঙ্ঘনের মামলা বাতিলের আবেদন খারিজের বিরুদ্ধে ইউনূসের লিভ টু আপিল খারিজ করে দেন আপিল বিভাগ। এরপর ৬ জুন আদালত তার বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মাধ্যমে বিচার শুরুর আদেশ দেন।

Link copied!