• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৫ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ডিবি পরিচয়ে গাড়িতে উঠতে বললেই উঠবেন না: হারুন


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ২, ২০২৩, ০৭:৫২ পিএম
ডিবি পরিচয়ে গাড়িতে উঠতে বললেই উঠবেন না: হারুন

ডিবি পরিচয় দিলেই নগরবাসীকে কারো গাড়িতে না ওঠার পরামর্শ দিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখার (ডিবি) প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেন, “আপনারা যাচাই করবেন, প্রয়োজনে আশপাশের মানুষের সহযোগিতা নেবেন। আপনারা সচেতন হলেই অপ্রীতিকর সমস্যার সমাধান সম্ভব।”

সোমবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ভুয়া ডিবি পুলিশ পরিচয়দানকারী ছিনতাই চক্রের ৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার প্রসঙ্গে ব্রিফিংয়ে মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ এসব কথা বলেন।

এর আগে, রোববার (১ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর ঢাকেশ্বরী মন্দির এলাকা থেকে পাঁচজন ভুয়া ডিবি পুলিশ গ্রেপ্তার করা হয়। 
তারা হলেন পিযুষ সুর (২৭), মো. হারুন (৩৮), জোবায়ের হোসেন পারভেজ, আরিফ হোসেন (২৯) ও খোকন চন্দ্র দেবনাথ (৪২)।

এসময় তাদের কাছ থেকে দুটি কালো রঙের নোয়াহ মাইক্রোবাস, একটি সাদা রঙের প্রভোক্স প্রাইভেটকার, দুটি পুলিশের রিফ্লেক্টিং ভেস্ট ও একটি হ্যান্ডকাপ জব্দ করা হয়।

এ বিষয়ে হারুন অর রশীদ বলেন, “গত বছরের ১৩ ডিসেম্বর রাতে এক ভুক্তভোগী রিকশায় মতিঝিল সিটি সেন্টার পার হয়ে অলিম্পিয়া বেকারির দিকে যাওয়ার সময় একটি কালো রঙের নোয়াহ গাড়ি তার গতিরোধ করে। এরপর ডিবি পুলিশ পরিচয়ে তার কাছে অবৈধ মালামাল আছে বলে দুই হাতে হ্যান্ডকাপ পড়িয়ে তাকে গাড়িতে তোলা হয়। তার সঙ্গে থাকা ৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকা মূল্যের বিদেশি মুদ্রা ও মোবাইল ছিনিয়ে নেয় তারা।

পরে ওই ব্যক্তিকে রাজধানীর শাপলা চত্বর, ধোলাইপাড় টোলপ্লাজা, ধলেশ্বরী টোলপ্লাজা কুচিয়ামারা ব্রিজ ঘুরিয়ে ঢাকা-মাওয়া সড়কে পিডিএল ক্যাম্পের সামনে নামিয়ে দিয়ে মাওয়ার দিকে চলে যায় মাইক্রোবাসটি।

ডিবিপ্রধান আরও বলেন, “ভুক্তভোগী এ বিষয়ে মতিঝিল থানায় একটি মামলা করেন। পুলিশের পাশাপাশি ডিবিও তদন্ত শুরু করে। ঘটনাস্থল থেকে বেশ কিছু ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হয়। এরপর সেই নোয়াহ গাড়িটি উদ্ধার করা হয় ঢাকার পশ্চিম নাখালপাড়া থেকে। গাড়ির মালিক ও ড্রাইভারকে জিজ্ঞাসাবাদ এবং প্রযুক্তির ব্যবহার ও গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে গ্রেফতার করা হয় আসামিদের।”

এ চক্রটি পারস্পরিক যোগসাজশে প্রাইভেটকার নিয়ে ঢাকা মহানগর এলাকার বিভিন্ন ব্যাংকসহ আর্থিকপ্রতিষ্ঠানের আশপাশে ঘোরাফেরা করে জানিয়ে হারুন অর রশীদ বলেন, “ব্যাংকে টাকা জমা দিতে আসা, ব্যাংক থেকে টাকা উত্তোলন করে বের হওয়া এবং মানি এক্সচেঞ্জের ব্যক্তিদের টার্গেট করে চক্রটি। এরপর ওই ব্যক্তির পেছনে পেছনে গাড়ি নিয়ে সুবিধাজনক স্থানে গিয়ে ব্যারিকেড দেয়। তখন নিজেদের ডিবি পরিচয় দিয়ে জোরপূর্বক গাড়িতে তুলে নেয়।”

এরপর ভিকটিমের সঙ্গে থাকা টাকা ও মূল্যবান মালামাল কেড়ে নিয়ে সুবিধাজনক নির্জন স্থানে ফেলে যায়। এ চক্রটি দুটি গ্রুপে বিভক্ত হয়ে সাধারণ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করে আসছে। এ চক্রের প্রধান শহীদুল ইসলাম মাঝি। তার বিরুদ্ধে সারা দেশে ১৬টি মামলা রয়েছে বলেও জানান ডিবিপ্রধান। পলাতক শহীদুলকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।

Link copied!