• ঢাকা
  • সোমবার, ২৯ এপ্রিল, ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১, ১৯ শাওয়াল ১৪৪৫

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মানে কাউকে হয়রানি নয় : কাদের


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: এপ্রিল ১২, ২০২৩, ০৫:৪৭ পিএম
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন মানে কাউকে হয়রানি নয় : কাদের

ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সংরক্ষিত তথ্যের নিরাপত্তার পাশাপাশি অপরাধ দমনে ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন) প্রণয়ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, “কাউকে হয়রানি করা এই আইনের লক্ষ্য নয়।”

বুধবার (১২ এপ্রিল) বিকেলে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ অন্য নেতাদের বক্তব্যের নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে দলের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত এক বিবৃতিতে তিনি এসব কথা বলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, “বাংলাদেশ একটি উদার গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থা সুসংহত হয়েছে। বর্তমান সরকার দেশের সংবিধান ও আইন মেনে জনগণের শাসন প্রতিষ্ঠায় কাজ করে যাচ্ছে। জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে ধারণ করেই পরিচালিত হয়ে আসছে সরকারের সব কার্যক্রম।”

তিনি বলেন, “অবৈধ ও অসাংবিধানিকপন্থায় বন্দুকের নলের মুখে ক্ষমতা দখলকারী স্বৈরাচার জিয়াউর রহমানের হাতে জন্ম নেওয়া বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ক্ষমতার মোহে অন্ধ হয়ে গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থা আর রাজতন্ত্রকে গুলিয়ে ফেলেছেন। রাজতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক সরকারব্যবস্থার পার্থক্য অনুধাবনের ন্যূনতম কাণ্ডজ্ঞানও তার লোপ পেয়েছে। খুনি তারেকের নিকট নতজানু ফখরুল সাহেবরা গোষ্ঠীতন্ত্রের কাছে জিম্মি হয়ে অবচেতন মনে রাজতন্ত্রের মন্ত্র জপছেন। তারা নিজেদের অসহায়ত্ব ও পরাধীনতাকে জনগণের পর চাপিয়ে দিতে অপচেষ্টা চালাচ্ছেন।”

আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, “মির্জা ফখরুল ইসলাম তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা নিয়ে প্রতিনিয়ত তাদের ভাঙা রেকর্ড বাজিয়ে চলেছেন। আওয়ামী লীগ যখন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবি তুলেছিল, তখন তা গণদাবি এবং সময়ের দাবি ছিল। গণদাবির পরিপ্রেক্ষিতেই তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। কিন্তু পরে বিএনপি জোরজবরদস্তি করে ক্ষমতা দখলের পাঁয়তারায় তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থাকে হাতিয়ার হিসেবে অপব্যবহারের মাধ্যমে তা বিতর্কিত ও কলঙ্কিত করেছিল। তাদের সেসব অপতৎপরতা বিচার-বিশ্লেষণ করেই আদালত তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থা বাতিল করেন।”

তিনি বলেন, “বাংলাদেশের সংবিধান ও আইন অনুযায়ী তত্ত্বাবধায়ক সরকারব্যবস্থায় ফিরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশের জনগণকে ডিজিটাল বাংলাদেশের যে স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন আজ তা দৃশ্যমান বাস্তবতা। বঙ্গবন্ধুকন্যার ভিশনারি নেতৃত্বে ডিজিটাল বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে সংরক্ষিত তথ্যের নিরাপত্তা বিধানের পাশাপাশি সংঘটিত অপরাধসমূহ দমনে ডিজিটাল সিকিউরিটি (নিরাপত্তা) নিশ্চিতকরণে দেশে দেশে ডিজিটাল আইন প্রণীত হয়েছে। তার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশেও ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট (ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন) প্রণয়ন করা হয়েছে।”

তিনি আরও বলেন, “কাউকে হয়রানি কিংবা ভিন্ন মত দমন এই আইনের লক্ষ্য নয়। বিএনপি যেহেতু ডিজিটাল প্ল্যাটফর্ম ব্যবহার করে রাষ্ট্র ও জনগণের স্বার্থবিরোধী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, সেহেতু তারা রাজনৈতিকভাবে এই আইনের বিরোধিতা করে আসছে।”

Link copied!