কিশোর গ্যাং নিয়ে নতুন তথ্য দিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ। তিনি বলেছেন, “একসময় মনে করতাম ভাসমান ও নিম্ন আয়ের পরিবারের সন্তানরা কিশোর গ্যাং চক্রে জড়িত হচ্ছে। কিন্তু এখন দেখা যাচ্ছে উচ্চ মধ্যবিত্ত, ধনীদের আলালের ঘরে দুলালরাও কিশোর গ্যাং চক্রে জড়িয়ে যাচ্ছে। তাদের পোশাক, চুলের কাটিং চলাফেরা সবই ভীতিকর। এসব ধনীর সন্তানরা প্রথমে মাদকসেবন, পরে মাদক বিক্রিতেও জড়িয়ে যাচ্ছে। এছাড়া তারা এলাকায় স্থানীয় রাজনৈতিক বড় ভাই, কখনো কাউন্সিলরদের নিয়ন্ত্রণে থেকে তারা হত্যার মতো ঘটনায় ঘটাচ্ছে।”
বুধবার (৬ মার্চ) রাজধানীর মিন্টো রোডে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
কিশোর গ্যাংয়ের সদস্যদের জামিনের সুপারিশ করা হলে তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানিয়ে হারুন অর রশীদ বলেন, “গত দুই দিনে কিশোর গ্যাংয়ের ৭৫ সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের দৌরাত্ম্যের কারণে সমাজের শান্তিশৃঙ্খলা নষ্ট হচ্ছে। কিশোর গ্যাং সদস্যরা ছিনতাই, ইভটিজিং, হুমকি দেওয়া, স্কুলকলেজের ছাত্রীদের ভয় দেখানো ও বিভিন্ন সময়ে উত্তেজনা পরিস্থিতি সৃষ্টি করে। এ কাজগুলো তারা দলবদ্ধ হয়ে করে।”
ডিবি প্রধান বলেন, “রাজধানীর উত্তরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ইয়াং স্টার, বিগ বস, ডিস্কো বয়েজ, বন্ধুমহল, শীল বিষু গ্যাং, পারভেজ গ্রুপ, রুস্তম গ্রুপ, ইয়াং স্টার গ্রুপ, নাইনএমএম গ্রুপ, নাইন স্টার গ্রুপ ও রামপুরা এলাকায় অভিযান চালিয়ে উজ্জ্বল গ্রুপের সদস্যদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।”
ডিএমপি ডিবির অতিরিক্ত কমিশনার বলেন, “কিশোর গ্যাং গ্রুপগুলো মাদক, চাঁদাবাজিসহ নানা অপরাধ করে আসছে। তাদের কিছু বড় ভাইয়ের ছত্রছায়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করে আসছে। এমনকি তারা চুরি-ছিনতাই করে আসছে। এসব কিশোর গ্যাংয়ের হামলায় গত দুই বছরে ৩৪ জন কিশোর নিহত হয়েছে।”
হারুন অর রশীদ বলেন, ‘’বর্তমান ও সাবেক কাউন্সিলরদের ছত্রচ্ছায়ার অভিযোগ রয়েছে। যার পরিপ্রেক্ষিতে দু-দিন ৭৫ কিশোর গ্যাং সদস্যকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। সবাই কিশোর গ্যাং চক্রে জড়িত থাকার কথা আমাদের কাছে স্বীকার করেছে।”
আপনার মতামত লিখুন :