• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৩ মে, ২০২৪, ২০ বৈশাখ ১৪৩১, ২৩ শাওয়াল ১৪৪৫

মেট্রোরেলের ডিপোর ভূমি উন্নয়নে চুক্তি স্বাক্ষর


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ২৩, ২০২২, ১২:৪৯ পিএম
মেট্রোরেলের ডিপোর ভূমি উন্নয়নে চুক্তি স্বাক্ষর

মেট্রোরেলের (এমআরটি লাইন-১) ডিপো এলাকার ভূমি উন্নয়নে ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর করেছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান টোকিও কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেড (জাপান) ও ম্যাক্স ইনফ্রাস্ট্রাকচার লিমিটেড (বাংলাদেশ)।

বুধবার (২৩ নভেম্বর) সকালে রাজধানীর একটি হোটেলে ডিএমটিসিএলের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ডিএমটিসিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এম এ এন সিদ্দিক। ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের পক্ষে চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন টোকিও কনস্ট্রাকশন কোম্পানি লিমিটেডের (জাপান) নির্বাহী কর্মকর্তা ও বিভাগীয় ব্যবস্থাপক মাসাকাজু কনিশী।

কন্ট্রাক্ট প্যাকেজ-১ এর আওতায় নারায়ণগঞ্জ জেলার রূপগঞ্জ উপজেলার পিতলগঞ্জ মৌজায় ৮৮.৭১ একর এলাকার ভূমি উন্নয়ন করা হবে। এই চুক্তি মূল্যের পরিমাণ ৬০৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা।

এই কাজের সাফল্য কামনা করে সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের সচিব এ বি এম আমিন উল্লাহ নুরী বলেন, “এটা অনেক বড় প্রকল্প। এর মোট ব্যয় ৫২ হাজার ৫৬১ কোটি টাকা। বুধবার থেকে প্রথম ফেইজের কাজ শুরু হতে যাচ্ছে। এর মাধ্যমে পিতলগঞ্জ এলাকায় মেট্রোরেলের ডিপো ভূমি উন্নয়নের কাজ শুরু হবে।”

বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি বলেন, “এই চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে আসতে পেরে আমি আনন্দিত। এর মাধ্যমে নারায়ণগঞ্জের পিতলগঞ্জ এলাকায় মেট্রোরেল ভূমি উন্নয়নের কাজ শুরু হবে। বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতীম দেশ জাপান।”

জানা গেছে, ভূমি উন্নয়ন কাজের পদ্ধতি ও বাস্তবায়নকালের ওপর ভিত্তি করে পুরো এলাকাকে মোট ছয়টি জোনে বিভক্ত করা হবে। এই কাজে স্ট্যাটিক সেন্ড কম্প্যাকশন পাইল, ডায়নামিক সেন্ড কম্প্যাকশন পাইল, প্রিফেব্রিকেটেড ভার্টিক্যাল ড্রেইনের মতো আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে। ডিপোর ভূমি উন্নয়নের কাজ সম্পন্ন হওয়ার পর এই এলাকায় কন্ট্রাক্ট প্যাকেজ ২ এর আওতায় ডিপোর প্রয়োজনীয় অবকাঠামো নির্মাণ এবং ইলেক্ট্রিক্যাল ও ম্যাকানিক্যাল সিস্টেম স্থাপন করা হবে। এমআরটি লাইন-১ এর বিমানবন্দর রুট ও পূর্বাচল রুটে চলাচলকারী সব মেট্রো ট্রেন এই ডিপোর সুবিধাগুলো ব্যবহার করবে।

৬০৭ কোটি ৬৫ লাখ টাকা চুক্তি মূল্যের মধ্যে ৮১ কোটি ৮৩ লাখ টাকা বাংলাদেশ সরকার এবং ৫২৫ কোটি ৮২ লাখ টাকা প্রকল্প সহায়ক প্রতিষ্ঠান জাপান ইন্টারন্যাশনাল কো-অপারেশন এজেন্সি (জাইকা) থেকে নেওয়া হচ্ছে। চুক্তি অনুযায়ী আগামী ৯১০ দিনের মধ্যে এটি বাস্তবায়ন করতে হবে।

Link copied!