সাবেক প্রধান বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহাসহ (এস কে সিনহা) ১১ জনের বিরুদ্ধে অর্থ আত্মসাতের মামলার রায় পড়া শুরু করেছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৯ নভেম্বর) ১১টা ৫ মিনিটে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলমের আদালত সাত আসামির উপস্থিতিতে রায় পড়া শুরু করেন।
এর আগে ৫ অক্টোবর রায় ঘোষণার দিন ধার্য ছিল। কিন্তু বিচারক ছুটিতে থাকায় তারিখ পিছিয়ে রায় ঘোষণার জন্য ২১ অক্টোবর দিন ধার্য করা হয়। এরপর ২১ অক্টোবরও রায় প্রস্তুত না থাকায় বিচারক নতুন তারিখ ধার্য করেন বলে জানান রাষ্ট্রপক্ষে দুদকের আইনজীবী।
গত ২৯ আগস্ট আত্মপক্ষ সমর্থনে নিজেদের নির্দোষ দাবি করে আদালতের কাছে ন্যায়বিচার প্রত্যাশা করেন মামলায় অভিযুক্ত ৭ আসামি।
তারা হলেন ফারমার্স ব্যাংক লিমিটেডের অডিট কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান মো. মাহবুবুল হক চিশতী (বাবুল চিশতী), ফারমার্স ব্যাংকের সাবেক এমডি এ কে এম শামীম, ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট স্বপন কুমার রায়, ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. লুৎফুল হক, সাবেক এসইভিপি গাজী সালাহউদ্দিন, টাঙ্গাইলের মো. শাহজাহান ও একই এলাকার নিরঞ্জন চন্দ্র সাহা। আসামিদের মধ্যে কারাগারে রয়েছেন মাহবুবুল হক চিশতী। বাকি ৬ জন জামিনে রয়েছেন।
অন্যদিকে সুরেন্দ্র কুমার সিনহা, ফারমার্স ব্যাংকের ফার্স্ট ভাইস প্রেসিডেন্ট সফিউদ্দিন আসকারী আহমেদ, রণজিৎ চন্দ্র সাহা ও তার স্ত্রী সান্ত্রী রায় পলাতক। এ মামলায় সাক্ষী দিয়েছেন ২১ জন।
২০১৯ সালের ১০ জুলাই এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয়, ঢাকা-১-এ মামলা করা হয়। মামলার বাদী দুদকের পরিচালক সৈয়দ ইকবাল হোসেন। আসামিদের বিরুদ্ধে ঋণ জালিয়াতি ও চার কোটি টাকা আত্মসাতে জড়িত থাকার অভিযোগ আনা হয়।
ওই বছরের ১০ ডিসেম্বর আদালতে এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা দুদকের পরিচালক বেনজীর আহমেদ।
২০২০ সালের ১৩ আগস্ট ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৪-এর বিচারক শেখ নাজমুল আলম এস কে সিনহাসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন।