বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, “আন্তর্জাতিক পর্যায়ে দ্রব্যের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে আমাদের দেশে এর প্রভাব পড়েছে। দেশের বাজারেও পণ্যের দাম বাড়ছে। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণের চেষ্টাও করছি।"
রোববার (১৭ অক্টোবর) ঢাকা চেম্বার অডিটোরিয়ামে বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট ২০২১ উপলক্ষ্যে ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ডিসিসিআই) আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
মুজিব শতবর্ষ এবং স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উদযাপনের অংশ হিসেবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয় এবং ঢাকা চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ডিসিসিআই) আগামী ২৬ অক্টোবর থেকে যৌথভাবে সপ্তাহব্যাপী ‘বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট সামিট’ শীর্ষক একটি আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সম্মেলনের আয়োজন করবে। ভার্চুয়ালি অনুষ্ঠিত হবে ওই আয়োজন। এই আয়োজনের সব প্রস্তুতির বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয় এই সম্মেলনে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, “দ্রব্যের দাম নাগালের মধ্যে আমরা প্রতিনিয়ত মিটিং করছি। গরিব কিংবা স্বল্প আয়ের মানুষের জন্য টিসিবির মাধ্যমে কম দামে পণ্য বিক্রি করছি। ভারত থেকে এখন বেশি দামে পেঁয়াজ আমদানি করতে হচ্ছে। তাই বাজারে পেঁয়াজের দামও বেড়েছে। মিসরসহ অন্য দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করা সময়ের ব্যাপার।"
বাণিজ্যমন্ত্রী আরও বলেন, “রপ্তানিতে আমরা তৈরি পোশাক শিল্পের ওপর নির্ভরশীলতা কমাতে চাচ্ছি। এ খাত থেকে ৮৩-৮৪ শতাংশ রপ্তানি আয় আসে। আমরা চাই অন্যান্য পণ্যের রপ্তানি বাড়বে এবং একটা পণ্যের ওপর নির্ভরশীলতা কমবে।"
“চামড়া, পাট, প্রযুক্তি, লাইট ইঞ্জিনিয়ারিং, অটোমোবাইলস ও প্লাস্টিক ইত্যাদি খাতে বাংলাদেশ ভালো করছে। রপ্তানিতে চলতি বছরে ৫১ বিলিয়ন ডলারের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছি। আশা করছি আমরা সেই লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে পারব“ যোগ করেন মন্ত্রী।
দেশের উন্নয়নের কথা তুলে ধরে মন্ত্রী বলেন, “দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। বর্তমানে ৯৭ শতাংশ মানুষ বিদ্যুৎ সুবিধা ভোগ করছে। ১১ কোটি মানুষ ইন্টারনেট সুবিধা ভোগ করছে। ২০২৬ সালে মধ্যম আয়ের দেশ হিসেবে জাতিসংঘের স্বীকৃতি মিলবে আশা করছি।"