• ঢাকা
  • শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩০, ২১ রমজান ১৪৪৬

নব্য জেএমবির সামরিক শাখার সদস্য গ্রেপ্তার


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২১, ০৭:৪২ পিএম
নব্য জেএমবির সামরিক শাখার সদস্য গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তার নব্য জেএমবির সামরিক শাখার সদস্য আবদুল্লাহ আল নোমান ওরফে আবু বাছির/ছবি:সংগৃহীত

রাজধানীর পল্টনে পুলিশ চেকপোস্টের সামনে বোমা হামলার ঘটনায় আবদুল্লাহ আল নোমান ওরফে আবু বাছির নামে নব্য জেএমবির সামরিক শাখার এক সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেররিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিট।

বুধবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় রাজধানীর দারুসসালাম এলাকার মিরপুর মাজার রোড থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বৃহস্পতিবার (০৪ নভেম্বর) ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (সিটিটিসি) মো. আসাদুজ্জামান এসব তথ্য জানান।

সিসিটিসির প্রধান আসাদুজ্জামান বলেন, “নব্য জেএমবির আমির মাহাদী হাসান ওরফে জন এর নির্দেশে গ্রেপ্তার হওয়া আব্দুল্লাহ আল নোমান সামরিক শাখায় কাজ করতো। ২০১৭ সালে ফেসবুকের মাধ্যমে দাওয়াত পেয়ে সে নব্য জেএমবিতে যোগ দেয় এবং ফেসবুকে সদস্য সংগ্রহসহ উগ্রবাদী কার্যক্রম পরিচালনা করা শুরু করে। টেলিগ্রাম চ্যানেল ও বটের মাধ্যমে নব্য জেএমবি’র অন্য সদস্যদের সঙ্গে যোগাযোগ রাখা ছিলো তার দায়িত্ব। এছাড়া গ্রেপ্তার আব্দুল্লাহ আল নোমান নব্য জেএমবির সামরিক শাখার একজন দায়িত্বশীল সক্রিয় সদস্য। আব্দুল্লাহ আল নোমান ওরফে আবু বাছির ২০১৮ সালে কাউন্টার টেরোরিজম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম ইউনিটের হাতে গ্রেপ্তার হয়েছিল। এক বছর ৬ মাস পরে জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও নব্য জেএমবি’র সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত হয়।”

আসাদুজ্জামান আরো বলেন, “বাছির প্রথমে রাজধানীর তোপখানা রোডে একটি বাসায় ভাড়া থাকতেন। পরে মাহাদী ও আবু মোহাম্মদ তাকে সেই বাসাটি ছেড়ে একা বাসা নেওয়ার জন্য নির্দেশনা দেন। সেই নির্দেশনা অনুযায়ী তিনি রাজধানীর মান্ডা এলাকায় একটি বাসা ভাড়া নেন। সেই বাসা থেকে বাছির হামলার জন্য বোমা বানাতেন। পরে সুবিধাজনক স্থান হিসেবে গত বছরের ২৪ জুলাই রাতে পুরান পল্টনের পুলিশ চেকপোস্টে বোমাটি রাখেন। পরে তাকে দেওয়া নির্দেশনা অনুযায়ী সে বোমা রাখার একটি নিরাপদ স্থান বেঁছে নেয়, যেখানে কোনো সিসি ক্যামেরা নেই। ঢাকা শহরে যতগুলো এ ধরনের ঘটনা ঘটেছিল, সবগুলোর সিসি ক্যামেরা ফুটেজ পাওয়া গেলেও পল্টনের ঘটনাটির কোনো সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পাওয়া যায়নি।”

গ্রেপ্তার নোমান জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আমরা আদালতের কাছে ১০ দিনের রিমান্ডের আবেদন করবো বলে জানান সিসিটিসির প্রধান এই কর্মকর্তা।
 

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!