• ঢাকা
  • শনিবার, ২২ মার্চ, ২০২৫, ৭ চৈত্র ১৪৩০, ২১ রমজান ১৪৪৬

দুর্গাপূজার আগেই চড়া বাজার


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: অক্টোবর ৮, ২০২১, ০১:২৬ পিএম
দুর্গাপূজার আগেই চড়া বাজার

করোনা পরিস্থিতিতে লকডাউন কিংবা কোনো উৎসবকে সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য সব সময়ই চড়া থাকে। এবারও ব্যতিক্রম নয়। দুর্গাপূজাকে সামনে রেখে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দাম হু হু করে বাড়ছে।

কাঁচামরিচ থেকে শুরু করে মুরগির দামও এখন বেশ চড়া। সেই সঙ্গে পেঁয়াজের দামও দফায় দফায় বেড়েই চলেছে। প্রতি সপ্তাহেই দামের ঊর্ধ্বগতিতে বেশ হতাশা প্রকাশ করেছে ক্রেতারাও।

শুক্রবার (৮ অক্টোবর) রাজধানীর কারওয়ান বাজার এলাকা ঘুরে দেখা যায়, ব্রয়লার ও পাকিস্তানি কক বা সোনালি মুরগির দাম আরও বেড়েছে। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে ব্রয়লার মুরগির দাম বেড়েছে ১০ টাকা পর্যন্ত। বিক্রি হচ্ছে ১৭৫ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে, যা এক সপ্তাহ আগে ছিল ১৬৫ থেকে ১৭০ টাকা। সেপ্টেম্বরের শুরুতে ব্রয়লার মুরগির দাম ছিল ১২০ থেকে ১৩০ টাকা। মাসের ব্যবধানে কেজিতে ৬০ টাকা বেড়েছে।

আর সোনালি মুরগির দাম কেজিতে বেড়েছে ২০ টাকা। সেপ্টেম্বরের শুরুতে ২১০ থেকে ২৩০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে সোনালি মুরগি, যা কয়েক দফা বেড়ে এখন ৩২০ থেকে ৩৪০ টাকা কেজি বিক্রি হচ্ছে। এক সপ্তাহ আগে এর দাম ছিল কেজি প্রতি ৩০০ থেকে ৩২০ টাকা।

কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী মাসুদ পারভেজ বলেন, “ফার্ম মালিকরা মুরগির উৎপাদন কমিয়ে দিয়েছে। হোটেল-রেস্টুরেন্টসহ সব খুলে যাওয়ায় চাহিদা বেড়েছে। বিভিন্ন অনুষ্ঠানও এখন হচ্ছে। মুরগির চাহিদা বেড়ে যাওয়ায় দাম বেড়েছে।“

মোহাম্মদপুর থেকে আসা ক্রেতা আসলাম হোসেন জানান, “মুরগিসহ সবকিছুর দাম বেশি। এতদাম দিয়ে কীভাবে বাজার করবো। মাসের বাজার করতে আসি এখানে। এখন সপ্তাহের বাজার করারও টাকা থাকে না।“

পেঁয়াজের দামের রয়েছে ঊর্ধ্বগতি। পেঁয়াজ এখন ৭৫ থেকে ৮০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। গত সপ্তাহে এর দাম ছিল ৪৫ থেকে ৫০ টাকা। সপ্তাহের ব্যবধানে কেজিতে বেড়েছে ৩০ টাকা।

প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজ ৬৩ থেকে ৭০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। ভারতীয় পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ৬৫ টাকা দরে। মিয়ানমারের পেঁয়াজ বিক্রি হচ্ছিল ৫২-৫৩ টাকা দরে।

কারওয়ান বাজারের খুচরা দোকানে দেশি পেঁয়াজের কেজি ছিল ৭৫ থেকে ৮০ টাকা। ভারতীয় পেঁয়াজের দাম ছিল কেজিতে ৭০ থেকে ৭৫ টাকা।

কারওয়ান বাজারের ব্যবসায়ী মোকলেসুর বলেন, “পূজার কারণে ভারত থেকে পেঁয়াজ কম আসায় দাম বেড়েছে। ভারতের বাজারেও পেঁয়াজের দাম বেশি।”

সবজির মধ্যে চড়া দামে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা মরিচ। এর দাম কেজিতে ৭০ টাকা বেড়ে এখন বিক্রি হচ্ছে ২০০ টাকায়।

এছাড়া বেশি দামে বিক্রি করছেন গাজর। এক কেজি গাজর কিনতে ক্রেতাকে গুনতে হচ্ছে  ১০০ থেকে ১৬০ টাকা। টমেটোর কেজি ১০০ থেকে ১২০ টাকা।

এছাড়া বাজারে শীতের সবজির দেখা মিলেছে। তবে দাম বেশ চড়া। শিমের দাম কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৮০ থেকে ১০০ টাকা। ঝিঙে পাওয়া যাচ্ছে ৪০ থেকে ৫০ টাকায়। ফুলকপি ও বাঁধাকপির পিস বিক্রি হচ্ছে ৩০ থেকে ৫০ টাকায়। মুলার কেজি বিক্রি হচ্ছে ৫০ থেকে ৭০ টাকায়।

আরও রয়েছে চিচিঙ্গা, বরবটি, ঢেঁড়শ, পটল, করলা। এগুলো ৬০ থেকে ৮০ টাকা কেজিতে পাওয়া যাচ্ছে। লাল শাকের, মুলা শাক, কলমি শাকের আঁটি ৫ থেকে ১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

জাতীয় বিভাগের আরো খবর

Link copied!