• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

কথাসাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার আর নেই


সংবাদ প্রকাশ প্রতিবেদক
প্রকাশিত: মে ৮, ২০২৩, ০৭:০৫ পিএম
কথাসাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার আর নেই

প্রখ্যাত কথাসাহিত্যিক সমরেশ মজুমদার মারা গেছেন। সোমবার (৮ মে) স্থানীয় সময় বিকেল ৫টা ৪৫ মিনিটে পশ্চিমবঙ্গের কলকাতায় একটি হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৮১ বছর।

খবরটি নিশ্চিত করেছেন সমরেশ মজুমদারের বড় মেয়ে দোয়েল মজুমদার।

দোয়েল মজুমদার বলেন, ‌“বাবা আর নেই। বিকালে আমাদের ছেড়ে চলে গেছেন। গত দু-তিন দিন তার অবস্থার অনেকটা উন্নতি ঘটে। আমরাও খুব আশাবাদী ছিলাম। কিন্তু আজ তার একটি মেজর কার্ডিয়াক অ্যাটাক হয়। সেখান থেকে আর প্রত্যাবর্তন হয়নি।”

দোয়েল আরও বলেন, “বাবার মরদেহ কাল (মঙ্গলবার) সকালে কলকাতার শ্যামপুকুরের বাড়িতে কিছুক্ষণ রাখা হবে। এরপর সেখান থেকে বালিঘাটে নেওয়া হবে শেষকৃত্যের জন্য।” 

এর আগে, গত ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় দোয়েল মজুমদার জানান, গত দুই দিন কেবিনেই রাখা হয়েছিল তার বাবাকে। ওই দিন বিকেলে তাকে নিবিড় পর্যবেক্ষণে (আইসিইউতে) স্থানান্তরিত করা হয়।

সমরেশ মজুমদারের শ্বাসনানিতে গভীর সংক্রমণ ছিল। গত এক যুগ ধরেই ক্রনিক অবস্ট্রাক্টিভ পালমোনারি ডিজিজের (সিওপিডি) সমস্যায় ভুগছিলেন তিনি।

সমরেশ মজুমদার জন্মগ্রহণ করেন ১৯৪২ সালের ১০ মার্চ। কলকাতার স্কটিশ চার্চ কলেজ থেকে বাংলায় স্নাতক এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় মাস্টার্স সম্পন্ন করেন। কর্মজীবনে তিনি আনন্দবাজার পাবলিশার্স প্রাইভেট লিমিটেডের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গ্রুপ থিয়েটারের প্রতি তার প্রচণ্ড আসক্তি ছিল। তার প্রথম গল্প ‘অন্তর আত্মা’ লেখাই হয়েছিল মঞ্চনাটক হিসেবে, আর সেখান থেকেই তার লেখকজীবনের শুরু। তার গল্পটি ছাপা হয়েছিল ‍‍‍‍‘দেশ‍‍‍‍’ পত্রিকায় ১৯৬৭ সালে।

সমরেশ মজুমদারের প্রথম উপন্যাস ‘দৌড়’ ছাপা হয়েছিল দেশ পত্রিকায়, ১৯৭৫ সালে। তার উল্লেখযোগ্য উপন্যাসগুলোর মধ্যে সাতকাহন, গর্ভধারণী, তেরো পার্বণ, উজান গঙ্গা, আট কুঠুরি নয় দরজা, এই আমি রেণু, সিংহবাহিনী ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য। তার ট্রিলজি ‍‍‍‍‘উত্তরাধিকার‍‍’, ‍‍‘কালবেলা‍‍’, ‍‍‘কালপুরুষ‍‍‍‍’ বাংলা সাহিত্যজগতে তাকে বিশেষ খ্যাতির অধিকারী করেছে।

সমরেশ মজুমদার ১৯৮২ সালে আনন্দ পুরস্কার, ১৯৮৪ সালে সাহিত্য আকাদেমি পুরস্কার, বঙ্কিম পুরস্কার এবং আইআইএমএস পুরস্কার জয় করেছেন। চিত্রনাট্য লেখক হিসেবে জয় করেছেন বিএফজেএ দিশারি এবং চলচ্চিত্র প্রসার সমিতির অ্যাওয়ার্ড। তিনি পশ্চিমবঙ্গের পাশাপাশি বাংলাদেশেও বেশ জনপ্রিয়।

Link copied!