মাথার ত্বকে এক ধরণের পদার্থ তৈরি হয়। তাকে বলে সিবাম। সিবাম হলো প্রাকৃতিক তেল। যা নিজে থেকেই চুলের গোড়ায় তৈরি হয়। যা স্বাস্থ্যকর চকচকে চুলের জন্য অত্যাবশ্যক। এই প্রাকৃতিক তেল যদি আপনি নিয়মিতভাবে শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলেন তাহলে চুল নিস্তেজ এবং শুষ্ক হয়ে পড়বে। বেশীরভাগ মানুষের প্রতিদিন আসলে চুল ধোয়ার দরকার নেই। চলুন জেনে নেওয়া যাক কখন চুল ধোয়া উচিত-
তেল
চুলে তেল দিয়ে বাইরে গেলে তেলের কারণে ময়লা সহজেই আটকে যায়। আবার আপনার চুল যদি প্রাকৃতিকভাবেই খুব তৈলাক্ত হয় অর্থাৎ সিবাম বেশি পরিমাণে উপন্ন করে তাতেই চুলে ময়লা জমে যাবে। সিবাম কী পরিমানে উপন্ন হয় এটা আসলে নির্ভর করে বয়স, পরিবেশ, পুরুষ বা নারী এবং জেনিটিক্স এর ওপর। শিশু এবং বৃদ্ধদের খুব বেশি সিবাম তৈরি হয় না।
চুলের ধরন
কোঁকড়া বা ঢেউ খেলানো চুলের চেয়ে সোজা ও পাতলা চুল বেশি বার ধুতে হবে। সোজা চুল সহজেই সিবামে ভরে যায়। ফলে খুব দ্রুত চুল তেলতেলে হয়ে যায়। ঘন, ঢেউ খেলানো বা কোঁকড়া চুল শুষ্ক হওয়ার প্রবণতা থাকে কারণ তেল চুলকে সহজে আবৃত করে না। চুলের সিবাম কোঁকড়া চুল নরম থাকার জন্য খুব দরকারি। কোঁকড়া চুল যাদের তাদের প্রতি সপ্তাহে একবারের বেশি চুল ধোয়া উচিত নয়।
ঘাম
আপনার চুল কত ঘন ঘন ধোয়া উচিত তার একটি বড় কারণ হলো আপনি কতটা ঘামছেন। ঘাম সিবাম বা তেলকে চুলে ছড়িয়ে দিতে পারে। এতে আপনার চুলকে দেখতে খারাপ এবং নোংরা লাগতে পারে। এর ফলে আপনার চুল থেকে গন্ধ বের হতে পারে। ডার্মাটোলজিস্ট এলিজাবেথ হিউজ, ব্যায়াম করার পরে বা অতিরিক্ত ঘেমে গেলে শ্যাম্পু করার পরামর্শ দিয়েছেন।
ময়লা
সরাদিন যদি ধূলা বালির মধ্যে থাকেন বা কোনো কারণে ময়লা জমে যায় তাহলে বাসায় ফিরেই শ্যাম্পু করে নিতে পারেন।
চুলে প্রসাধনীর ব্যবহার
আমরা চুলে বিভিন্ন ধরনের প্রসাধনী লিাগিয়ে থাকি স্টাইলের জন্য। সেক্ষেত্রে কাজ শেষে চুল ধুয়ে ফেলতে হবে। এগুলো চুলে লেগে থাকলে চুলের ক্ষতি হতে পারে।
তবে চুল শ্যাম্পু করার ক্ষেত্রে কম ক্ষারযুক্ত শ্যাম্পু ব্যবহার করলে ভালো।
আপনার মতামত লিখুন :