পাকা আম শুধু খেতে মিষ্টি ও রসালো নয়, রূপচর্চার ক্ষেত্রেও এটি হতে পারে এক অতুলনীয় উপাদান। ভিটামিনসমৃদ্ধ ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর এই গ্রীষ্মকালীন ফলটি ত্বকের যত্নে ব্যবহার করলে মিলতে পারে উজ্জ্বল, মসৃণ ও কোমল ত্বক। বিশেষ করে গরমের এই সময়ে পাকা আমের প্যাক, স্ক্রাব ও মাস্ক ত্বকের জন্য হতে পারে দারুণ কার্যকর।
পাকা আমে থাকে ভিটামিন A, C, ও E, বিটা-ক্যারোটিন, ফ্ল্যাভনয়েডস এবং প্রাকৃতিক এনজাইম যা ত্বকের মৃত কোষ দূর করতে সাহায্য করে। এ ছাড়াও এতে রয়েছে পটাশিয়াম ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, যা ত্বককে আর্দ্র রাখে ও বার্ধক্যের ছাপ প্রতিরোধ করে।
পাকা আমের ফেস প্যাক
উজ্জ্বল ত্বকের জন্য
পাকা আমের এক টুকরো চটকে নিন। এর সঙ্গে এক চামচ মধু ও অর্ধ চামচ লেবুর রস মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে ১৫ মিনিট পর ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এটি ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ায় ও দাগছোপ হালকা করে।
শুষ্ক ত্বকের জন্য
পাকা আমের সঙ্গে এক চামচ দুধ ও এক চামচ ওটস মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেললে ত্বক হবে মসৃণ ও আর্দ্র। দুধ ত্বকে আর্দ্রতা যোগায় এবং ওটস প্রাকৃতিক স্ক্রাব হিসেবে কাজ করে।
ত্বক পরিষ্কারে
পাকা আমের টুকরো চটকে এর সঙ্গে চালের গুঁড়া মিশিয়ে স্ক্রাব তৈরি করুন। সপ্তাহে ২ বার এটি মুখে ম্যাসাজ করুন। এটি ত্বক থেকে মৃত কোষ দূর করে এবং রোমছিদ্র পরিষ্কার করে।
ব্রণ প্রতিরোধে
পাকা আমে থাকা ভিটামিন C ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান ত্বকে ব্রণ হওয়ার প্রবণতা কমায়। এক চামচ আমের পেস্টের সঙ্গে এক চিমটি হলুদের গুঁড়া মিশিয়ে ব্রণের ওপর লাগিয়ে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহার ব্রণ কমায় ও ত্বককে মসৃণ রাখে।
ত্বকের বার্ধক্য প্রতিরোধে
বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে ফাইন লাইন, বলিরেখা দেখা দেয়। পাকা আমে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ত্বকে কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা করে, যা ত্বককে টানটান রাখে। আমের পেস্টের সঙ্গে ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করুন। এটি মুখে লাগিয়ে শুকালে ঠাণ্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
ঠোঁটের যত্নে
শুষ্ক ও ফাটা ঠোঁটের জন্য পাকা আম কার্যকর। আমের টুকরো ঘষে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। চাইলে এক চিমটি চিনি ও নারকেল তেল মিশিয়ে ঠোঁটে স্ক্রাব হিসেবেও ব্যবহার করা যায়।