মধ্যপ্রাচ্য

বড় কিছু কি ঘটতে যাচ্ছে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুন ১৮, ২০২৫, ১২:৩৯ পিএম
বড় কিছু কি ঘটতে যাচ্ছে
ছবি : সংগৃহীত

শুক্রবার থেকেই অশান্ত মধ্যপ্রাচ্য। ইরান-ইসরায়েল পাল্টাপাল্টি হামলা চলছে। ইরানের পারমাণবিক সমৃদ্ধি ঠেকাতে এবং সরকার পরিবর্তনের লক্ষ্যে হামলা করেছে ইসরায়েল। এমনটাই মনে করেন বিশ্লেষকেরা। তারা বলছেন, ইসরায়েলকে যুক্তরাষ্ট্র মদদ দিলেও ইরানের পাশে কেউ নেই। বিশেষজ্ঞদের মতে, ইরান পরাস্ত হলে মধ্যপ্রাচ্য ও উপসাগীয় অঞ্চলের ভূরাজনীতির দৃশ্যপট পাল্টে যাবে। হয়ে উঠবে অস্থিতিশীল।

গবেষকরা বলছেন, ইসরায়েলের চেয়ে ইরানের জন্য যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়া বেশি কঠিন। এ যুদ্ধের ওপর নির্ভর করবে মধ্যপ্রাচ্য ও উপসাগীয় অঞ্চলের ভূরাজনীতির ভবিষ্যৎ। তাদের মতে, দিন গেলে আরও স্পষ্ট হবে ইরানের পাশে কে দাঁড়ায়, কে তাদের বন্ধু।


এদিকে কানাডায় চলমান জি-৭ সম্মেলন শেষ না করেই দেশে ফিরছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। একই পথ অবলম্বন করেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও। ট্রাম্পের দ্রুত দেশে ফেরা নিয়ে জল্পনা শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার (১৭ জুন) বিবিসির লাইভ প্রতিবেদনে এই তথ্য জানানো হয়েছে। 

বিবিসি বলছে, ট্রাম্পের তড়িঘড়ি করে কানাডা থেকে দেশে ফেরার বিষয় এখনো স্পষ্ট নয়। তবে ট্রাম্পের প্রেস সেক্রেটারি বলেছেন, জি-৭ সম্মেলন শেষ হওয়ার আগেই যুক্তরাষ্ট্র ফিরে আসার কারণ হচ্ছে মধ্যপাচ্যে চলমান ঘটনা। ট্রাম্প বলেছেন, ওয়াশিংটনে ফেরাটা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।  


তবে দেশে ফেরার আগে সোমবার ট্রাম্প তার নিজের ট্রুথ সোশ্যালে বলেছেন, অবিলম্বে তেহরানের বাসিন্দাদের শহরটি ছাড়তে হবে। তবে তিনি কেন এই সতর্কবার্তা দিয়েছেন, তা স্পষ্ট করেননি। 

ট্রাম্পের কানাডা ত্যাগের পর জি-৭ নেতারা একটি বিবৃতি প্রকাশ করেছেন। বিবৃতিতে তারা ইরান-ইসরায়েলের যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানাননি উল্টো ইসরায়েলের পক্ষ নিয়েছেন।


এদিকে ট্রাম্প বলেছেন, তেহরানের আকাশ তাদের পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে। এর ২৪ ঘণ্টা পর ইরান জানাল তেল আবিবের আকাশ তাদের নিয়ন্ত্রণে। ইরান এরই মধ্যে হাইপারসনিক ক্ষেপণাস্ত্র ছুড়েছে ইসরায়েলে।

ট্রাম্প ইঙ্গিত দিয়েছেন যে অনেক বড় কিছু হতে যাচ্ছে। তবে তিনি স্পষ্ট করেননি কিছুই। 

আল জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ট্রাম্পের দ্রুত দেশে ফেরার একটি কারণ হতে পারে যে ইসরায়েলের সঙ্গে সম্মিলিতভাবে যুক্তরাষ্ট্র ইরানে হামলা চালাতে পারে।

Link copied!