ইরানে হামলা ও সাম্প্রতিক সময়ে ইসরায়েলের বিভিন্ন কর্মকাণ্ডের সমালোচনা করেছেন রাশিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মারিয়া জাখারোভা। তিনি বলেছেন, “ইরানের শান্তিপূর্ণ পরমাণু কর্মসূচির অধিকার রয়েছে এবং এটি বৈধ।”
বুধবার (১৮ জুন) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে ইরনা নিউজ।
রুশ বার্তা সংস্থা তাসের বরাতে মারিয়া জাখারোভা বলেন, “মধ্যপ্রাচ্যে পারমাণবিক হুমকি কোনো কাল্পনিক বিষয় নয়, বরং এটি বাস্তব এবং কার্যকর ঝুঁকি তৈরি করছে গোটা অঞ্চল ও বিশ্বের জন্য। ইরানের পরমাণু স্থাপনার ওপর ইসরায়েলের সাম্প্রতিক হামলাগুলো কেবল উত্তেজনা বৃদ্ধি করছে না, বরং এগুলো ‘অঞ্চল ও বৈশ্বিক নিরাপত্তার জন্য সরাসরি হুমকি।”
রাশিয়ার পক্ষ থেকে জাতিসংঘে স্থায়ী প্রতিনিধি গেন্নাদি গাতিলভও ইসরাইলের হামলার বিরুদ্ধে কঠোর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। জেনেভায় এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, “ইসরায়েলের এ আগ্রাসী আচরণ আন্তর্জাতিকভাবে স্পষ্ট আইনি ও রাজনৈতিক শাস্তি দাবি করে।”
সতর্ক করে গেন্নাদি গাতিলভও বলেন, “যদিও রাশিয়া ও কিছু দেশ সংঘর্ষ থামাতে চেষ্টা করছে। তবে বাস্তবে সবচেয়ে নেতিবাচক ও অনিশ্চিত পরিস্থিতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছে অঞ্চলটি। এর প্রতিক্রিয়া শুধু মধ্যপ্রাচ্যে নয়, পুরো বিশ্বের জন্য বিপর্যয় বয়ে আনতে পারে।”
ইরনার প্রতিবেদনের তথ্যমতে, ১৩ জুন গভীর রাতে ইসরায়েল ইরানের অভ্যন্তরে অকারণে সামরিক হামলা চালায়, যেখানে আবাসিক ভবনসহ বিভিন্ন লক্ষ্যবস্তুতে বোমা বর্ষণ করা হয়। এতে শীর্ষস্থানীয় ইরানি সামরিক কর্মকর্তারা নিহত হন এবং সাধারণ নাগরিকদের ঘরবাড়ি ধ্বংস হয়। এর জবাবে ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ সাইয়্যেদ আলী খামেনি সেদিনই নতুন সামরিক কমান্ডার নিয়োগ দেন এবং ঘোষণা দেন, ইসরায়েলের জন্য অন্ধকার সময় আসছে।
পরে ইরানি সশস্ত্র বাহিনী প্রতিশোধ নেওয়ার ঘোষণা দিয়ে বলে, “আমরা জাহান্নামের দরজা খুলে দেবো।”
এরপরই তেলআবিব, জেরুজালেম ও হাইফাসহ ইসরায়েল অধিকৃত অঞ্চলগুলোর ওপর ব্যাপক ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন হামলা শুরু করে ইরান। যা এখন পর্যন্ত চলমান আছে।