• ঢাকা
  • সোমবার, ২৬ মে, ২০২৫, ১১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ২৭ জ্বিলকদ ১৪৪৬

অবহেলায় পড়ে থাকা ঘরের কর্নারটি হতে পারে ‍‍`সুখের ঠিকানা‍‍`


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মে ২৫, ২০২৫, ০৬:১৮ পিএম
অবহেলায় পড়ে থাকা ঘরের কর্নারটি হতে পারে ‍‍`সুখের ঠিকানা‍‍`
ছবি: সংগৃহীত

দৈনন্দিন জীবনের ব্যস্ততাকে এড়িয়ে, বাইরের দূষনীয় পরিবেশ থেকে একটু দূরে প্রশান্তির জায়গায় যেতে মাঝে মাঝেই মন চায়। স্বল্প সময়ের জন্য হলেও এমন একটি জায়গায় সময় কাটানোর  পরিকল্পনা করা হয়, যা নিমিষেই মন ভালো করে দিতে পারে। কিন্তু আশপাশে এমন পরিবেশ পাওয়া দায়। ভেবে দেখেছেন, মোহনীয় জায়গায় সময় কাটাতেও যেতে হয় অসহনীয় পরিবেশের মধ্য দিয়েই। ফলে নষ্ট হচ্ছে সময়, টাকা এবং সেই সঙ্গে আবারও মনের কোনায় চলে আসে অস্থিরতা। 

ভাবুন তো, যদি এমনটি হয় আপনার স্বল্পসময়ের বিনিয়োগ দীর্ঘসময়ের সুবিধা দেয়। এককালীন খরচেই তা দীর্ঘ সময়ের প্রশান্তি দেয়। ব্যাপারটি কিন্তু মন্দ হয় না। তবে, কোথায় হতে পারে সেই সুখের ঠিকানা? 
সেই সুখের ঠিকানা হতে পারে নিজের ঘরের একটি  কোনায়। হ্যা, সত্যিই তাই। সারাদিনের কর্মব্যস্ততা শেষ করে আপনার ঘরের একটি কোনায় আপনি প্রশান্তি খুঁজে পেতে পারেন। শুধু তাই নয়, ঘরের সেই কর্নারটি হতে পরে আপনার সুখবিলাস, বৃষ্টি বিলাস, এমনকি দুঃখ বিলাসও। 

অবহেলায় পড়ে থাকা আপনার ঘরের যেকোনো একটি কর্নারকে আপনি সুখের ঠিকানায় পরিণত করতে পারেন। চলুন এর কিছু ধারণা নেওয়া যাক এই আয়োজনে। 

১. বাড়ির ভেতরে এমন একটি জায়গা নির্ধারণ  করুন যেখানে একটি বড় জানালা রয়েছে। বাহিরের আলো বাতাস সেখানে সহজেই প্রবেশ করবে।

২. বসার জন্য নির্ধারণ করতে পারেন হেলান চেয়ার বা ফ্লোর ম্যাটরেস। চেয়ারের ক্ষেত্রে নির্বাচন করুন হালকা রং। সেই সঙ্গে আপনার দেয়ালের রংটিও যেন হালকাই হয়।

৩. জায়গাটিকে একটু রঙিন করে তুলতে ব্যবহার করতে পারেন রঙিন কুশন। আপনি কুশন অথবা ব্ল্যাংকেট রাখার মাধ্যমে একটি স্টেটমেন্ট কর্ণারও তৈরি করতে পারেন। এর পাশে কিছু সবুজ গাছ ও এক্সেসরিজ রাখলে আপনার কর্ণার হয়ে উঠবে আরও প্রাণবন্ত।

৪. পর্দা হিসেবে নির্বাচন করতে পারেন পাতলা এবং ভারী কাপড়ের মিশ্রনের পর্দা। রংও হতে পারে হালকা এবং গাঢ়-এর মিশ্রণ।

৫. স্মৃতি শব্দটি আপনাকে অনেক মুহূর্তই মনে করিয়ে দিবে। কিছু সময়ের জন্য ফিরে যাবেন  সেসব মুহূর্তে। তাই প্রিয় স্মৃতিকে একসঙ্গে রাখতে পারেন সেই কর্নারে। প্রিয়জনদের ছবি প্রিন্ট করে ফ্রেমে ঝুলিয়ে রাখতে পারেন দেয়ালজুড়ে।

৬. স্টোরেজ এমন একটি বিষয় যা কখনোই বাড়তি হয় না। আপনার ঘরের কর্নারটিকেও তাই রূপান্তর করতে পারেন কোনো স্টোরেজে। একটি শেলভ তৈরি করুন কিংবা কিছু র‍্যাক তৈরি করে ঘরের কর্ণারে আনতে পারেন বাড়তি স্টোরেজ। সেই স্টোরেজে থাকতে পারে বই এবং কিছু শো-পিছ।

৭. বাড়ির বিনোদনমূলক স্থান করে ফেলতে পারেন খালি পড়ে থাকা কর্নারটিকে। আপনি যদি কোনো বাদ্যযন্ত্র বাজাতে পারেন, তবে তা একসঙ্গে রাখতে  পারেন সেই কর্নারে। মুহূর্তেই মন ভালো করে দিবে প্রিয় বাদ্যযন্ত্রটি।

৮. ঘরের খালি কর্নারগুলোতে প্ল্যান্টস আনার মাধ্যমে সজীবতা ফিরিয়ে আনতে পারেন। বড় কোনো প্ল্যান্ট, অথবা ছোট অনেক প্ল্যান্টের সমাহারে সেজে উঠতে পারে। বোটানিক্যাল আপনার ঘরকে শুধু সুন্দর ও প্রাণবন্ত-ই করে না, এটি কাজ করে প্রাকৃতিক শান্তি হিসেবেও।

৯. আপনার বসার স্থানের ঠিক বিপরীত দেয়ালকে করে ফেলুন একদম সাদা রঙের। সেই দেয়ালে প্রজেক্টর ব্যবহার করে নিজের মোবাইলের ধারণ করা স্মৃতিগুলোর মন্থন যেমন হতে পারে, তেমনি হতে পারপ একটি মুভি ডেটও। 

এভাবেই, অবহেলায় পড়ে থাকা ঘরের কর্নারকে ব্যবহার করতে পারেন বিভিন্ন উপায়ে। এককালীন কিছু খরচে নিজের একান্ত সময়টা না হয় বাড়িতেই কাটুক। প্রয়োজনে বাইরে তো কত সময় কাটাতেই হয়। তবে প্রশান্তি আর সুখের ঠিকানা নিজের ঘর কেন নয়। যেখানে বসে বিকেলটা হতে পারে মনোমুগ্ধকর। হাতে এক কাপ চা এবং সঙ্গে রবীন্দ্রনাথ, জীবনানন্দ, সুকান্ত কিংবা হুমায়ুনের কালজয়ী বইগুলোতে ডুব দিয়ে পেতে পারেন নিজের সুখের ঠিকানা।

Link copied!