• ঢাকা
  • শনিবার, ০৪ মে, ২০২৪, ২২ বৈশাখ ১৪৩১, ২৪ শাওয়াল ১৪৪৫

ছুটির দিনে বাজেটের মধ্যে রেস্তোরাঁয় কীভাবে খাবেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ৮, ২০২৩, ১১:৫৬ এএম
ছুটির দিনে বাজেটের মধ্যে রেস্তোরাঁয় কীভাবে খাবেন
ছুটির দিনে রেস্তোরাঁয় খেতে ভালো লাগে। ছবি : সংগৃহীত

সপ্তাহ শেষে ছুটির দিনে বাইরে গিয়ে খেতে ইচ্ছা হয় মাঝে মাঝে। সেটি হতে পারে বন্ধুদের নিয়ে অথবা পরিবারের সবার সঙ্গে। কিন্তু আনন্দ করে খেতে গেলেই তো হবে না। তার সঙ্গে চিন্তা থাকে কম  বাজেটের ভেতর হবে তো! কারণ বেশিরভাগ রেস্টুরেন্টেই তো খাবারের দাম থাকে চড়া। 

কিন্তু তাই বলে কী সপ্তাহের একটি দিন সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে খাওয়ার শখ বাদ দিতে হবে? একদমই না, কিছু কৌশল মেনে চললেই কিন্তু আপনার ধার্য করা বাজেটের মধ্যে সেরে নিতে পারবেন রেস্তোরাঁর উপভোগ্য খাওয়া। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো কী-

ব্যবসার সুবিধার্থে আজকাল রেস্তোরাঁগুলোতে নানান মার্কেটিং পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন। বিভিন্ন ভালো কিছু অফার দিয়ে কাস্টমার ঘাটতি দূর করার প্রয়াসে এমন পদ্ধতি নিয়ে থাকেন। আর সেসব থাকে সীমিত সময়ের জন্য। 

আপনি চাইলেই লুফে নিতে নিতে পারেন এই সুযোগ। যখনই খেতে যাবেন, খাবার অর্ডারের জন্য কিছু সময় নিন। ওয়েটার এসে দাঁড়িয়ে থাকলেও অস্বস্তিতে অর্ডার করে ফেলবেন না। তাকে বলুন কিছুক্ষণ পর অর্ডার করবেন। এই সময়ের মধ্যে আপনি মেনুলিস্ট দেখে ভালোভাবে বুঝে নিন আপনার বাজেটের ভেতর কী কী অর্ডার দেওয়া যাবে।

অনেক সময় কিছু রেস্টুরেন্ট পানির সঙ্গে বাড়তি বিল যোগ করে। অন্যদিকে শেক বা অন্য পানীয় নিলেও বাড়তি খরচ হয়ে যায়। তাই প্রয়োজনের অতিরিক্ত পানি না নেওয়াই ভালো। এটিতে খরচ অনেকটা কম হয়। ডেজার্ট আইটেমে বেশি খরচ হয়ে যায়। পুরো ডেজার্ট খাওয়াও হয় না, অপচয় হয়ে যায়। 

রেস্টুরেন্টে ডেজার্ট না খেয়ে বাইরের কোনও মিষ্টির দোকান বাছাই করে সেখানে খেতে পারেন। এতে আলাদা একটি বৈচিত্রতা যোগ হবে। তাছাড়া রেস্টুরেন্টেই নিজের সবকিছু বিনিয়োগ করার কোনও মানে নেই। 

আরও একটি কাজ করতে পারেন তা হলো বন্ধুরা দলবেঁধে গেলে প্রথমে পরিকল্পনা করুন। সবাই মিলে যদি অর্থ ভাগ করে নেন তাহলেও বাজেট মেইনটেইন করা সম্ভব হবে। বার্গার, সাব বা অন্য কোনও খাবারের সঙ্গে অতিরিক্ত প্যাটি, চিজ নেওয়ার সুযোগ থাকে। 

এই কাজটি না করাই ভালো। অতিরিক্ত নেওয়া মানেই বাড়তি টাকা যোগ হওয়া। এটি এড়িয়ে চলুন। অনেক নতুন রেস্তোরাঁয় কুপন বিলি করে। অনেকে লজ্জায় সেই কুপন দিয়ে পেমেন্ট করতে চান না। এটি আসলে বুদ্ধিমানের কাজ নয়। উন্নত বিশ্বে গর্বের সঙ্গে কুপন বিক্রি করে। এবং ক্রেতারাও সেটি নেন আনন্দের সঙ্গে। কারণ এসব তো কাস্টমারের জন্যই। 

যদি কোনো রেস্তোরাঁয় কুপনের সুযোগ থাকে তাহলে অবশ্যই তা ব্যবহার করুন। এছাড়া অনেক ব্যাংক নানা রেস্তোরাঁগুলোর সঙ্গে চুক্তি করে থাকে। সচরাচর ক্রেডিট কার্ডে চুক্তিবদ্ধ ডিসকাউন্ট থাকে। তবে ডেবিট কার্ডেও এই সুবিধা অনেক ব্যাংক চালু করেছে। 

যদি একটু খোঁজ নেন তাহলে এই অফারগুলো জানতে পারবেন। আর এই সুবিধা নিলে আপনার জন্যেই ভালো। অনেক সময় বাই ওয়ান গেট ওয়ান ফ্রি অফারও পেয়ে যেতে পারেন।

আরও একটি কাজ করতে পারেন তা হলো, ছুটির দিনে বাইরে গিয়ে খাওয়াকে মাথায় রেখে প্রতিদিন ২০ টাকা করে বা আপনার সাধ্যমতো সামান্য কিছু টাকা মাটির ব্যাংকে ফেলে দিতে পারেন। এতে একটা সময় গিয়ে দেখবেন এই জমানো অর্থ দিয়েই আপনার রেস্তোরাঁয় খাওয়ার বাজেট হয়ে গেছে।

 এইভাবেই বাজেটের মধ্যে সেরে নিতে পারেন আপনার ছুটির দিনে রেস্তোরাঁয় খাওয়াদাওয়া।

Link copied!