এক সময় বন্ধুত্ব এমন ছিল যে কেউ কাউকে দেখে থাকতে পারতেন না। কিন্তু অজানা কোনও একটি কারণে এখন সেই বন্ধুর সঙ্গে মুখ দেখাদেখি বন্ধ। সেই বন্ধুর কথা মনে পড়লেও নিজে থেকে নতুন করে কথা শুরু করার সাহস দেখাতে পারছেন না। রাস্তায় বা কোথাও দেখা হলেও পরস্পরকে এড়িয়ে চলছেন। অনেক বন্ধুত্বই দীর্ঘ পথ অতিক্রম করার পর কোথায় যেন হারিয়ে যায়। মনোবিদেরা বলছেন, এই হারানো বন্ধুত্ব ফিরে পাওয়ার জন্য কোনোরকম জোর করা যাবে না। ধৈর্য ধরে সঠিক সময়ের জন্য অপেক্ষা করতে হয়। তবে সময়ের জন্য একেবারে হাত-পা গুটিয়ে বসে থাকলেও যে বন্ধুত্ব ফিরে পাওয়া যাবেতা কিন্তু নয়। বন্ধুত্ব ফেরানোর কিছু টোটকা জেনে নিই চলুন-
মনের কথা লিখে জানান
অনেক দিন কথা না বললে প্রথমদিকে জড়তা কাজ করতে পারে মনে। কোন বিষয় নিয়ে কথা বলবেন, বা কে প্রথম কথা শুরু করবেন, বুঝতে পারেন না অনেকেই। তাই ফোনে বা মুখে না বলে পুরনো দিনের মতো নিজের মনের কথা লিখে জানাতে পারেন।
সামনাসামনি দেখা
ফোনে বা চিঠি দিয়ে কথা বললে ভুল বোঝাবুঝি অবসান না-ও হতে পারে। তাই সামনাসামনি দেখা করে কথা বলে নিজের আবেগ বা অনুভূতি প্রকাশ করুন।
সময় দিন
যেকোনো ক্ষত সারতে সময় লাগে। তাই কোনো কারণে দীর্ঘদিন কথা বন্ধ থাকার পর আবার কথা শুরু হলেও যে তা একেবারে আগের মতো হবে, এমনটা নয়। তাই সব কিছু ঠিক করতে গেলে সময় দিতে হবে।
উপহার
বন্ধুত্বের মূল্য আপনার কাছে কতখানি, তা মুখে বলে বোঝানোর প্রয়োজন নেই। তার চেয়ে বরং উল্টোদিকের মানুষটি যা পছন্দ করে, তেমন একটি উপহার দিতে পারেন।
সীমা
বন্ধু অনেক দিনের চেনা, পরিচিত। কিন্তু মাঝের দিনগুলোতে দুইটি মানুষের জীবনে কী কী পরিবর্তন এসেছে, তা দু`জনের কেউই জানেন না। তাই অতিরিক্ত সহজ, সাবলীল হয়ে কেউই নিজের সীমা অতিক্রম করবেন না।
স্মৃতি
পুরোনো দিনে কাটানো স্মৃতিগুলো পূণরায় স্মরণ করুন দু’জনে। এতে ভালো অনুভূতির জন্ম দেবে।
আপনার মতামত লিখুন :