সেই প্রাচীনকাল থেকেই আমাদের সংস্কৃতিতে মাটির তৈরি নানান জিনিসপত্র ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে কালের বিবর্তনে বিকল্প নানা জিনিসের ভিড়ে এটি প্রায় হারাতে বসলেও আবার ফিরে এসেছে বাঙালির চিরায়ত মাটির থালাবাসন থেকে শুরু করে শখের শোপিসও। বর্তমানে কম খরচে নান্দনিক এবং বাহারি ডিজাইনের মাটির তৈরি জিনিসগুলো বিভিন্ন জায়গাতেই পাওয়া যায়। চলুন আজ জেনে নিই পয়লা বৈশাখে কী কী জিনিস সংগ্রহ করতে পারেন।
ঘর সাজানোর মাটির জিনিসপত্র
- ঘর সাজাতে ছোট ছোট জিনিসগুলো আপনার ঘরের শোভা বাড়িয়ে তুলবে দ্বিগুণ। বিশেষ করে মোমদানি, কলমদানি, মাছ, ফুল, ফল, শোপিস হিসেবে খুব সহজেই পড়ার টেবিল, শোকেসে মানিয়ে যায়। এ ছাড়া বড় শোপিস হিসেবে মাটির তৈরি বিভিন্ন জীবজন্তু যেমন হাতি, বাঘ, ঘোড়া বা পাখি বহুকাল ধরেই ব্যবহৃত হয়ে আসছে। ঘরের দরজার কাছে বা ড্রয়িংরুমের কোনায় রাখতে পারেন এগুলো। এ ছাড়া ওয়াল হ্যাংগিংগুলোতেও ছোট ছোট মাটির শোপিস রাখতে পারেন।
- বর্তমানে হরেক ডিজাইনের মাটির থালা, মগ, গ্লাস, গামলা, লবণদানি ইত্যাদি পাওয়া যায়। একঘেয়ে কাচের জিনিসপত্র ব্যবহার না করে মাটির তৈরি বাসনপত্র ব্যবহার করতে পারেন। এগুলো দামে খুবই সস্তা আর দেখতেও বেশ আকর্ষণীয়। অতিথি আপ্যায়নে এগুলোর ব্যবহার আপনার রুচিশীল মনের পরিচয় তুলে ধরবে।
- খাবার পরিবেশন ছাড়াও খাবার টেবিলে শোপিস হিসেবেও মাটির বাসন রাখতে পারেন। মাটির ফুলদানিতে কয়েকটি তাজা ফুল রেখে দিন। এতে করে খাবার টেবিলের চেহারাই বদলে যাবে। পয়লা বৈশাখ, ঈদ কিংবা পূজা-পার্বণে মাটির হাঁড়িতে করে ভাত বা পোলাও পরিবেশন করতে পারেন।
যেসব জায়গায় পাওয়া যাবে
মাটির তৈরি এসব তৈজসপত্র ঢাকার আড়ং, বেস্ট বাই, মিরপুর ১০, মিরপুর বেনারসি পল্লী, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কার্জন হলের সামনে দোয়েল চত্বরে, কলাবাগান, সায়েন্স ল্যাব, ধানমন্ডি ল্যাবএইড হাসপাতালের বিপরীত পাশে, রায়েরবাজার, পালপাড়া, শাহবাগের আজিজ সুপার মার্কেট, মোহাম্মদপুর শিয়া মসজিদ, পুরান ঢাকার গোয়ালনগর, রায়সাহেব বাজারসহ ঢাকার বিভিন্ন স্থানে। এ ছাড়া এখন অনেক অনলাইন পেজেও বিক্রি হচ্ছে মাটির তৈরি এসব জিনিসপত্র। বাইরে গিয়ে ঘুরে ঘুরে কেনার সময় না থাকলে এসব পেজ থেকেও পছন্দের জিনিসটি সংগ্রহ করতে পারেন।