• ঢাকা
  • শুক্রবার, ০৬ জুন, ২০২৫, ২২ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২, ০৯ জ্বিলহজ্জ ১৪৪৬

মুদ্রাস্ফীতি ৬০%, আর্জেন্টিনার অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ৩, ২০২২, ০৪:২৪ পিএম
মুদ্রাস্ফীতি ৬০%, আর্জেন্টিনার অর্থমন্ত্রীর পদত্যাগ

উল্লম্ফন মুদ্রাস্ফীতি, ঋণের বোঝা ও নানা অর্থনৈতিক সঙ্কটে আছে দক্ষিণ আমেরিকার দেশ আর্জেন্টিনা। অর্থনৈতিক সঙ্কট তীব্র থেকে তীব্রতর হওয়ায় দেশটির অর্থমন্ত্রী মার্টিন গুজমান পদত্যাগ করেছেন।

বিবিসি বলছে, ২০১৯ সালে আর্জেন্টিনার অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন মার্টিন গুজমান। এরপর থেকে দেশের ঋণ পুনর্গঠন নিয়ে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) সঙ্গে আলোচনার নেতৃত্ব দেন তিনি।

পদত্যাগের পর উত্তরসূরি নির্বাচনের জন্য "শাসক জোটের মধ্যে একটি রাজনৈতিক চুক্তি" করার আহ্বান জানিয়েছেন গুজমান।

আর্জেন্টিনার অর্থনীতি একেবারে বিপর্যস্ত অবস্থায় আছে। দেশটির বর্তমানে মুদ্রাস্ফীতির পরিমাণ ৬০ শতাংশ। বিশ্বে খাদ্য ও জ্বালানির মূল্য বাড়ার ফলে দেশটিতে সঙ্কট আরও প্রকট আকার ধারণ করেছে। এই চরম সঙ্কটের সঙ্গে টিকে থাকার লড়াই করছে দেশটি।

ডলারের বিপরীতে আর্জেন্টিনার মুদ্রা পেসোর দাম কমে যাওয়ায় এক সপ্তাহ অর্থনৈতিক অস্থিরতার পর গুজমান পদত্যাগ করেন। তার পদত্যাগে দেশটির অর্থনীতি অনিশ্চয়তার মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

দেশটির এমন সঙ্কটের জন্য প্রেসিডেন্ট আলবার্তো ফার্নান্দেজের কাছে পাঠানো একটি চিঠিতে সরকারের অভ্যন্তরীণ বিভাজনের ইঙ্গিত দিয়েছেন গুজমান। কিন্তু বিভাজনের বিষয়টি গোপন নয়। এ নিয়ে ইতোমধ্যে দেশের ডেপুটি প্রেসিডেন্ট ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ ডি কির্চনারের সঙ্গে আলোচনা করেছেন প্রেসিডেন্ট ফার্নান্দেজ। দেশের অর্থনৈতিক সমস্যা মোকাবেলায় দুজনের পরামর্শ করেছেন।

প্রকৃতপক্ষে গুজমানের পদত্যাগের ঘোষণা তখনই আসে যখন দেশের ডেপুটি প্রেসিডেন্ট নিজের সরকারের অর্থনৈতিক নীতির সমালোচনা করে একটি সভায় বক্তৃতা দিচ্ছিলেন। ক্রিস্টিনা ফার্নান্দেজ ২০০৭ থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত দেশের প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তিনি সাধারণত আর্জেন্টিনার আর্থিক বোঝা কমাতে সরকারের ব্যর্থতা হিসেবে যা দেখেন তার সমালোচনা করেন।

Link copied!