• ঢাকা
  • শনিবার, ১৮ মে, ২০২৪, ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩১, ৯ জ্বিলকদ ১৪৪৫

কেন দেশ ছাড়তে চাইছেন মিয়ানমারের তরুণেরা


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১৭, ২০২৪, ০১:৪৯ পিএম
কেন দেশ ছাড়তে চাইছেন মিয়ানমারের তরুণেরা
মিয়ানমারে বাধ্যতামূলকভাবে সামরিক বাহিনীতে যোগদানের আইন জারির পর ভিসার জন্য থাইল্যান্ড দূতাবাসের সামনে দেশটির মানুষের দীর্ঘ লাইন। ছবি: সংগৃহীত

মিয়ানমারে বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলোর সঙ্গে জোর লড়াই চলছে সামরিক জান্তার। বিদ্রোহীদের কাছে একের পর এক এলাকা হারাচ্ছে তারা। এরই মধ্যে জান্তা বাহিনী মিয়ানমারের নাগরিকদের সামরিক বাহিনীতে যোগদান বাধ্যতামূলক করেছে। এমন পরিস্থিতিতে মিয়ানমারের অনেক তরুণ প্রতিবেশী দেশ থাইল্যান্ডসহ অন্যান্য দেশে চলে যাওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

থাইল্যান্ডভিত্তিক প্রতিষ্ঠান ফাউন্ডেশন ফর এডুকেশন অ্যান্ড ডেভেলপমেন্টের নির্বাহী পরিচালক উ হতো চিত বলেন, “আমি শুনেছি, ১৮ বছরের বেশি বয়সী তরুণেরা যেকোনো উপায়ে মিয়ানমার ছাড়তে চাইছেন।”

মিয়ানমারে ২০২১ সালে গণতন্ত্রপন্থী অং সান সু চি সরকারকে অভ্যুত্থানের মাধ্যমে হটিয়ে ক্ষমতায় বসে জান্তা সরকার। এর পর থেকেই ভালো চাকরির খোঁজে দেশটি থেকে চলে গেছেন হাজার হাজার মানুষ। বেশির ভাগেরই গন্তব্য ছিল থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, জাপান ও দক্ষিণ কোরিয়া। ১০ ফেব্রুয়ারির আইনের পর আরও অনেকে বিদেশে যাওয়ার প্রক্রিয়া ও খরচা নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে খোঁজখবর নিচ্ছেন।

জানা গেছে, ১০ ফেব্রুয়ারি একটি আইন পাস করে জান্তা সরকার। ওই আইন অনুযায়ী, ১৮ থেকে ৩৫ বছর বয়সী পুরুষ ও ১৮ থেকে ২৭ বছর বয়সী নারীদের বাধ্যতামূলকভাবে সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে হবে। তাদের সর্বোচ্চ দুই বছর বাহিনীতে দায়িত্ব পালন করতে হবে। তবে রাষ্ট্রে জরুরি অবস্থার সময় এটি পাঁচ বছরও হতে পারে।

আইন অনুযায়ী সামরিক বাহিনীতে যোগ দিতে সক্ষম মিয়ানমারে এমন ১ কোটি ৪০ লাখ নাগরিক রয়েছেন। এরই মধ্যে নতুন আইনটি সঠিকভাবে বাস্তবায়ন করা হচ্ছে কি না, তা যাচাইয়ে গবৃহস্পতিবার ১৮ সদস্যের একটি জাতীয় কমিটি গঠন করা হয়েছে। পরিকল্পনা অনুযায়ী, আগামী এপ্রিলে প্রথম ধাপে পাঁচ হাজার সদস্যকে সেনাবাহিনীতে যুক্ত করা হবে। আর কেউ এই আইন লঙ্ঘন করে পালাতে চাইলে তাকে পাঁচ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ডের সাজা দেওয়া হতে পারে।
 

Link copied!