• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ইরানে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জানুয়ারি ৪, ২০২৪, ০২:০৫ পিএম
ইরানে হামলার নিন্দা জানিয়েছেন জাতিসংঘ মহাসচিব
জাতিসংঘের মহাসচিব অ্যান্থনিও গুতেরেস। (ফাইল ছবি)

জাতিসংঘ মহাসচিব অ্যান্তোনিও গুতেরেস ইরানের বিপ্লবী গার্ড জেনারেল কাসেম সোলাইমানির মৃত্যুবার্ষিকী পালন উপলক্ষ্যে আয়োজিত এক স্মরণ সভায় ভয়াবহ জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনায় কঠোর নিন্দা জানিয়েছেন। চার বছর আগে ইরাকের একটি বিমান বন্দরে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় কাসেম সোলাইমানি নিহত হয়েছিলেন।

বুধবার (৩ জানুয়ারি) গুতেরেসের মুখপাত্র এ কথা জানিয়েছেন। খবর এএফপির।

মুখপাত্র বলেন, জাতিসংঘের মহাসচিব ইসলামি প্রজাতন্ত্র ইরানের কেরমান নগরীতে এক স্মরণ সভার অনুষ্ঠানে হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন। সেখানে চালানো হামলায় শতাধিক মানুষ নিহত ও আরও অনেকে আহত হয়েছেন।

প্রসঙ্গত, ইসরায়েল ও ফিলিস্তিনি সংঘাতের কঠিন এই সময়ে ইরানের বেসামরিক মানুষদের ওপর ভয়াবহ এই হামলার ঘটনায় মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে যুদ্ধ ছড়িয়ে পড়ার নতুন আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।

গাজায় বেসামরিক মানুষদের ওপর ইসরায়েলের বর্বরোচিত গণহত্যার ঘটনায় কঠোর সমালোচনা করে আসছে ইরান।

ফিলিস্তিনের স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাসকে ইরান পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে আসছে বলে অভিযোগ করে আসছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। একইসঙ্গে লেবাননের হিজবুল্লাহ, ইয়েমেনের হুতি বিদ্রোহীদের দিয়ে প্রক্সিযুদ্ধ করছে বলেও ইরানের বিরুদ্ধে তাদের অভিযোগ।

এদিকে গাজায় ফিলিস্তিনিদের ওপর বর্বরোচিত হামলার প্রতিবাদে লোহিত সাগরে ইয়েমেনের হুতিদের একের পর এক ইসরায়েল ঘনিষ্ঠ জাহাজে হামলা ও আটকের ঘটনায় পাল্টা ব্যবস্থা নিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরায়েল। লোহিত সাগরে হুতিদের একটি বোটে যুক্তরাষ্ট্রের ড্রোন হামলায় অন্তত ১০ হুতি বিদ্রোহী নিহত হয়। এর পরদিন লোহিত সাগরে যুদ্ধজাহাজ মোতায়েন করে ইরান। কাছাকাছি সময়ে লেবাননে ইসরায়েলের এক বিমান হামলায় নিহত হন হামাসের উপ-প্রধান অরোরিসহ আরও সাত হামাস নেতা।

এই ঘটনার ঠিক একদিন পরই ঘটলো ইরানে ভয়াবহ জোড়া বিস্ফোরণের ঘটনা। নিহত হয় শতাধিক বেসামরিক মানুষ। আহত হয় শত শত মানুষ। 

Link copied!