ইউক্রেনের সুপ্রিম কোর্টে ব্যাপক দুর্নীতি হয়েছে বলে যৌথভাবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানিয়েছে দেশটির ন্যাশনাল অ্যান্টি করাপশন ব্যুরো (এনএবিইউ) এবং স্পেশালাইজড অ্যান্টি-করাপশন প্রসিকিউটর অফিস (এসএপি)। সংস্থা দুটি সুপ্রিম কোর্টে তল্লাশি চালিয়েছে।
পোস্টের সঙ্গে কয়েকটি ছবিও পোস্ট করা হয়েছে। সেখানে দেখা যাচ্ছে চেয়ারের উপর বান্ডিল বান্ডিল নোট। সুপ্রিম কোর্টের প্রেসিডেন্ট ঘুষকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েছিলেন। প্রায় তিন কোটি ডলার ঘুষ নিয়েছিলেন বলে অভিযোগ ওঠেছে।
এছাড়া আরও বেশ কয়েকজন বিচারপতিও সেই ঘটনায় জড়িত বলে অভিযোগ ওঠে। এতে কয়েক মিলিয়ন ডলারের দুর্নীতি হয়েছে স্থানীয় গণমাধ্যমগুলো দাবি করছে।
মঙ্গলবার (১৬ মে) জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়েচে ভেলে এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
তবে দুর্নীতির সঙ্গে কারা যুক্ত, কী দুর্নীতি হলো, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলা হয়নি। বরং বলা হয়েছে, ক্রমশ প্রকাশ্য। এদিকে স্থানীয় মিডিয়া জানিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের প্রেসিডেন্টকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এই ঘটনার পর মঙ্গলবারই একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক ডেকেছে সুপ্রিম কোর্ট। প্লেনামের সেই বৈঠকে সুপ্রিম কোর্টের পক্ষ থেকে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত জানানো হতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে।
দেশটির প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ক্ষমতায় আসার পর জানিয়েছিলেন, তিনি দুর্নীতিমুক্ত ইউক্রেন তৈরির চেষ্টা করবেন। বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু দেশের সর্বোচ্চ আদালত এবার সেই দুর্নীতির জালেই জড়িয়ে পড়ল। এমন এক সময় তা ঘটল, ইউক্রেনে যখন যুদ্ধ চলছে।
জেলেনস্কি চাইছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের অংশ হতে। তা হতে গেলে দুর্নীতির বিষয়টিকে যে কড়া হাতে দমন করা দরকার, জেলেনস্কি তা জানেন। এবং সে কারণেই বিষয়টির উপর এতটা জোর দিয়েছিলেন তিনি।
আপনার মতামত লিখুন :