• ঢাকা
  • শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০, ১৮ রমজান ১৪৪৫

হামলায় সাত অস্ত্রের তিনটি ব্যবহার, লুকিয়ে রেখেছিল বাড়িতে


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ২৯, ২০২৩, ১১:১৭ এএম
হামলায় সাত অস্ত্রের তিনটি ব্যবহার, লুকিয়ে রেখেছিল বাড়িতে

যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের একটি স্কুলে সাবেক ছাত্রীর গুলিতে তিন শিশুসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় সোমবার (২৭ মার্চ) সকালে ন্যাশভিল শহরের দ্য কভেনেন্ট স্কুলের এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় দেশজুড়ে। বারবার স্কুলগুলোতে বন্দুক হামলা ভীতি ছড়াচ্ছে অভিভাবকদের মধ্যে।

হামলাকারী অড্রে হেল হামলায় যেসব অস্ত্র ব্যবহার করেছেন সেগুলোসহ মোট ৭টি অস্ত্র বৈধভাবে ৫টি পৃথক দোকান থেকে কিনে বাবা-মায়ের বাড়িতে লুকিয়ে রেখেছিলেন। হামলার সময় তিনি তিনটি ব্যবহার করেছিলেন বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ।

বুধবার (২৯ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। তদন্তকারী কর্মকর্তারা বলছেন, তার বাবা-মা বুঝতে পারেনি যে বন্দুকগুলো তাদের বাড়িতে লুকিয়ে রাখা হয়েছে।

হামলাকারীর বাবা-মা জানিয়েছেন, তারা ভেবেছিলেন তাদের সন্তানের কাছে শুধুমাত্র একটি অস্ত্র ছিল। কিন্তু সেটিও বিক্রি করে দেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাদের অগোচরে সে আসলে বাড়িতে আরও অস্ত্র কিনে সেগুলো জড়ো করছিল।

পুলিশ জানিয়েছে, হামলাকারীর নাম অড্রে হেল তৃতীয় লিঙ্গের মানুষ ছিলেন। বয়স ছিল ২৮। টেনেসি অঙ্গরাজ্যের নাশভিলের কোভনেন্ট স্কুলে ছয়জনকে গুলি করে হত্যা করেন হেল। পরে পুলিশের গুলিতে নিহত হন তিনি। এছাড়া তিনি ‘ইমোশন ডিজঅর্ডার’ বা হতাশায় ভুগছিলেন। তিনি হতাশা থেকে মুক্তি পেতে ডাক্তারের শরণাপন্নও হয়েছিলেন।  

পুলিশ আরও জানিয়েছে, খুবই পরিকল্পিতভাবে এ হামলা চালানো হয়েছে। হামলাকারী স্কুলের ম্যাপ তৈরিসহ নজরদারি চালিয়েছিলেন এবং হামলার ব্যাপারে লিখেছিলেন। যেটিকে পুলিশ ‘ঘোষণাপত্র’ হিসেবে অভিহিত করেছে। হামলাকারী বেশ ভালো প্রস্তুতি নিয়ে এসেছিলেন। তিনি দোতলার এমন জায়গায় অবস্থান নেন, যেখানে তাকে পুলিশ সহজেই গুলি করতে পারছিল না। এ কারণে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভেতরে ঢুকে অড্রে হেলকে গুলি করে হত্যা করেন আইন-শৃঙ্খলারক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা।

এদিকে টেনেসি রাজ্যে প্রাপ্ত বয়স্ক যে কেউ চাইলেই অস্ত্র কিনতে পারেন। এমনকি যদি কেউ হামলা চালাবেন এমন কোনো ইঙ্গিতও পাওয়া যায়, তাহলে তার কাছ থেকে অস্ত্র ছিনিয়ে নেওয়া যাবে না। যদিও পুলিশ বলেছে, যদি হামলা হবে এমন আলামত পাওয়া যেত তাহলে অবশ্যই অস্ত্রগুলো বাজেয়াপ্ত করা হতো।

মেট্রো ন্যাশভিল পুলিশ বিভাগের প্রধান জন ড্রেক বলেন, “অস্ত্রগুলো স্থানীয় পাঁচটি বন্দুকের দোকান থেকে কেনা হয়েছিল বৈধভাবেই।”

এদিকে রয়টার্স জানিয়েছে, ড্রেক এবং অন্যান্য পুলিশ কর্মকর্তারা বারবার হামলাকারীকে নারী হিসেবে চিহ্নিত করে আসছিল। যদিও হেল লিঙ্কডইন পেজে পুরুষ সর্বনাম ব্যবহার করেছেন।

স্কুলটি একটি প্রাইভেট খ্রিস্টান স্কুল। যেখানে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানো হয়। স্কুলটিতে ২০০ জনের মতো শিক্ষার্থী রয়েছে, যাদের বয়স ১১ বা ১২ বছরের মধ্যে।

প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ ঘটনাকে ‘পরিবারের সবচেয়ে খারাপ দুঃস্বপ্ন’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, “বন্দুক সহিংসতা বন্ধ করতে আমাদের আরও কিছু করতে হবে।”

Link copied!