• ঢাকা
  • রবিবার, ০৫ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

কেটে ফেলা হলো পৃথিবীর শেষ লেগুমগাছটিও


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: জুলাই ১২, ২০২৩, ১২:৩৪ পিএম
কেটে ফেলা হলো পৃথিবীর শেষ লেগুমগাছটিও

শ্রীলঙ্কায় মহাসড়ক নির্মাণের জন্য বিশ্বের বিরল প্রজাতির ‘সর্বশেষ লেগুমগাছ’টি কেটে ফেলা হয়েছে। মঙ্গলবার দেশটির রাজধানী কলম্বোর উপকণ্ঠে থাকা গাছটি কেটে ফেলা হয়েছে। সেখানে চার লেনের মহাসড়ক (এক্সপ্রেসওয়ে) নির্মাণ করা হবে।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, গাছটির নাম ‘ক্রুদিয়া জেলানিকা’। ‘শ্রীলঙ্কা লেগুম’ নামেও এই ফুলগাছ অনেকের কাছে পরিচিত। ফাবাসে এন্ডেমিক গোত্রের অন্তর্গত গাছ এটি। এর আগে গাছটি সর্বশেষ দেখা গিয়েছিল ১৯১১ সালে।

২০১২ সালে গাছটিকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিলুপ্ত ঘোষণা করে শ্রীলঙ্কা সরকার। তবে এর ৭ বছরের মাথায় ২০১৯ সালে কলম্বোর উপকণ্ঠে একটি লেগুমগাছ খুঁজে পাওয়া যায়। ধারণা করা হয়, এটাই ছিল এই প্রজাতির ‘সর্বশেষ’ গাছ, যেটি গতকাল কাটা পড়ল। ৮ মিটার (২৬ ফুট) উচ্চতার গাছটি কেটে ফেলার তোড়জোড় শুরু হয়েছিল ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে। তখন সেখান দিয়ে একটি মহাসড়ক নির্মাণের কাজ শুরু হয়।

এ জন্য বিলুপ্তপ্রায় গাছটি কেটে ফেলার প্রয়োজনীয়তা দেখা দেয়। না কেটে বিকল্প উপায়ে মহাসড়ক নির্মাণের দাবি তোলেন অনেকেই। শ্রীলঙ্কায় পরিবেশবাদীদের পাশাপাশি বৌদ্ধভিক্ষুরাও বিলুপ্তপ্রায় গাছটি রক্ষায় সোচ্চার ছিলেন। কেননা, ভিক্ষুরা এই গাছকে ধর্মীয় দৃষ্টিকোণ থেকে পবিত্র বিবেচনা করতেন।

স্থানীয় এক বাসিন্দা সংবাদমাধ্যমকে জানান, কয়েকজন কর্মী ভারী যন্ত্রপাতি নিয়ে এসে শুরুতে গাছটির ডালপালা ছেঁটে ফেলেন। পরে পুরো গাছ উপড়ে নিয়ে চলে যান। ওই ব্যক্তি বলেন, ‘আমরা প্রতিক্রিয়া জানানোর আগেই তারা গাছটি কেটে নিয়ে চলে যান।’

এ বিষয়ে শ্রীলঙ্কার পরিবহনমন্ত্রী বান্দুলা গুণাবর্ধনে সাংবাদিকদের জানান, মন্ত্রিসভায় অনুমোদনের পর গাছটি কাটা হয়েছে। এই প্রজাতির আরও ৪০টি গাছ শ্রীলঙ্কায় রয়েছে। তবে এসব গাছ কোথায় রয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত কিছু বলেননি তিনি।

তিনি বলেন, “এটা সংশ্লিষ্ট প্রজাতির সর্বশেষ গাছ। মানুষের মধ্যে এমন একটি মিথ ছড়ানো হচ্ছে। উন্নয়নকাজে বাধা দিতে এমন ভ্রান্ত কথা ছড়ানো অপরাধ।”

গাছটি অক্ষত রেখে একটু ঘুরিয়ে মহাসড়কের নির্মাণকাজ চালিয়ে যাওয়া যেত—এমন প্রশ্নের বিপরীতে গুণাবর্ধনে বলেন, “এতে মহাসড়কটির নির্মাণকাজের ব্যয় বেড়ে যেত।”

Link copied!