চলতি বছরের শুরু থেকে ভয়াবহ বায়ুদূষণে নাকাল দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশ থাইল্যান্ড। দেশটিতে দূষণের মাত্রা এমন জায়গায় পৌঁছেছে যে, ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত দূষণজনিত অসুখ ও শারীরিক সমস্যায় আক্রান্ত হয়ে প্রায় ২৪ লাখ মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন। এর মধ্যে চলতি সপ্তাহেই হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য ভর্তি হয়েছেন ১ লাখ ৮৪ হাজার ৪৬৫ জন।
থাইল্যান্ডের জনস্বাস্থ্য বিভাগের স্থায়ী সচিব ডা. ওপাস কর্নকাওইনপন এএফপিকে এ তথ্য নিশ্চিত করে জানান, বায়ুদূষণের কারণে গত কয়েক মাসে হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের প্রায় সবার মধ্যেই শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা, চর্মরোগ, চোখে জ্বালাপোড়া, গলাব্যথা প্রভৃতি শারীরিক সমস্যা দেখা গেছে।
এদিকে বায়ুদূষণ থেকে স্বাস্থ্যগত সুরক্ষা নিশ্চিত করতে জনগণকে হাই কোয়ালিটি এন-৯৫ মাস্ক ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন থাইল্যান্ডের স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তরা। এ ছাড়া ঘরের দরজা-জানালা বন্ধ রাখার পাশাপাশি বাড়ির বাইরে যথাসম্ভব কম সময় কাটানোরও আহ্বান জানানো হয়েছে।
থাইল্যান্ডের পরিবেশবিদদের মতে, দেশের বিভিন্ন প্রান্তে দাবানল এবং কৃষকদের খড় পোড়ানোর কারণে বায়ুদূষণ দীর্ঘস্থায়ী হচ্ছে।
দেশটির সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতেও এই বায়ুদূষণ ও তার ফলে লোকজনের অসুস্থতার চিত্র পাওয়া গেছে। এক ফেসবুক ব্যবহারকারী লিখেছেন, “আজকের দিন খুব ধোঁয়াটে। আমার খুব কাশি হচ্ছে।”
আরেকজন লিখেছেন, “আমার খুব কাশি আর গলাব্যথা হচ্ছে। আমি কোভিড টেস্ট করেছিলাম, কিন্তু টেস্টের পর জানতে পারলাম আমার কোভিড হয়নি। সম্ভবত বায়ুদূষণের কারণেই এই সমস্যা হচ্ছে।”
৭ কোটির বেশি মানুষের থাইল্যান্ডে আগামী ১৪ মে জাতীয় নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে। সেই নির্বাচনে বায়ুদূষণ যে গুরুত্বপূর্ণ একটি ইস্যু হয়ে উঠবে, তার আভাস এখনই পাওয়া যাচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :