• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৩ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

ফ্রান্সে অবসরের বয়স বাড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ১৭, ২০২৩, ১১:০১ এএম
ফ্রান্সে অবসরের বয়স বাড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ-সংঘর্ষ

ফ্রান্স সরকার পার্লামেন্টে ভোট ছাড়াই ‘পেনশন সংস্কার (অবসরের বয়স বাড়ানো)’ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করায় প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করেছেন দেশটির নাগরিকরা। একপর্যায়ে রাজধানী প্যারিসের প্লেস দে লা কনকর্ডে বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ সময় অন্তত ১২০ জনকে আটক করা হয়।

শুক্রবার (১৭ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। পার্লামেন্টে ভোট ছাড়াই ফরাসি সরকার অবসরের বয়স ৬২ থেকে ৬৪-এ উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেয়। গত দুই মাসের উত্তপ্ত রাজনৈতিক বিতর্ক এবং ধর্মঘটের পর অবশেষে, ফরাসি প্রধানমন্ত্রী এলিজাবেথ বোর্ন বৃহস্পতিবার সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৯:৩ আহ্বান করেন।

বিতর্কিত ওই বিলটিতে সংসদ সদস্যদের ভোট দেওয়ার মাত্র কয়েক মিনিট আগে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। কারণ, সরকার বুঝতে পেরেছিল যে ভোট হলে সংখ্যাগরিষ্ঠতা পাওয়ার কোনো নিশ্চয়তা নেই।

এ পদক্ষেপ বিরোধী রাজনীতিবিদদের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। অনেকেই প্রধানমন্ত্রীকে ব্যঙ্গ করেছেন, পার্লামেন্টে প্রতিবাদের চিহ্ন তুলে ধরেছেন। প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব তোলা হবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন উগ্র ডানপন্থী বিরোধী নেতা মেরিন লে পেন।

বামপন্থী দল লা ফ্রান্স ইনসুমিসের (এলএফআই) নেতা ম্যাথিল্ড প্যানোটও কড়া সমালোচনা করেছে সরকারের। টুইটে তিনি বলেছেন, ম্যাক্রোঁ বৈধতা ছাড়াই দেশকে একটি বড় সংকটে ঠেলে দিচ্ছেন।

প্রতিবাদে হাজার হাজার মানুষ প্যারিস এবং অন্যান্য ফরাসি শহরের রাস্তায় নেমে পড়েন। জাতীয় সংগীত গেয়ে এবং ট্রেড ইউনিয়নের পতাকা নেড়ে তারা প্রতিবাদ জানায়। সন্ধ্যা নামার সঙ্গে সঙ্গে কিছু বিক্ষোভকারী পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্লেস দে লা কনকর্ডে জোড়ো হওয়া বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ লাঠিসোঁটাসহ টিয়ার গ্যাস ব্যাবহার করলে পরিস্থিতি সংঘাতময় হয়ে ওঠে।

প্যারিস পুলিশ বার্তা সংস্থা এএফপিকে জানিয়েছে, রাত নাগাদ ১২০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এসবের মাঝেও ইউনিয়নগুলো পেনশন পরিবর্তনের বিরুদ্ধে বিরোধিতা বজায় রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। কনফেডারেশন জেনারেল ডু ট্র্যাভেল (সিজিটি) বলছে, ২৩ মার্চ আরেকটি বিক্ষোভের পরিকল্পনা করা হচ্ছে।

নতুন বিলের অধীনে, ২০২৭ থেকে ফরাসি নাগরিকদের সম্পূর্ণ পেনশন পেতে ৪৩ বছর কাজ করতে হবে, যা বর্তমানে ৪২ বছর।

ফ্রান্সের শ্রম মন্ত্রণালয়ের অনুমান অনুসারে, অবসরের বয়স দুই বছর পিছিয়ে দেওয়া এবং পে-ইন পিরিয়ড বাড়ানো বার্ষিক পেনশন অবদানে অতিরিক্ত ১৭ দশমিক সাত বিলিয়ন ইউরো যোগ করবে। এই সংস্কারটি প্রয়োজনীয় ও ন্যায্য।

Link copied!