• ঢাকা
  • শনিবার, ২৫ মার্চ, ২০২৩, ১০ চৈত্র ১৪২৯, ২ রমজান, ১৪৪৪

ফ্রান্সে পেনশন সংস্কার আইনের প্রতিবাদে পুলিশ-জনতা সংঘর্ষ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ১৮, ২০২৩, ০৩:৩৮ পিএম
ফ্রান্সে পেনশন সংস্কার আইনের প্রতিবাদে পুলিশ-জনতা সংঘর্ষ

ফ্রান্স সরকারের ‘পেনশন সংস্কার (অবসরের বয়স বাড়ানো)’ আইনের প্রতিবাদে রাজধানী প্যারিসের কেন্দ্রস্থলে আবারও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে প্রতিবাদকারীরা। শুক্রবার (১৭ মার্চ) রাতে কয়েক হাজার বিক্ষোভকারী আগুন ধরিয়ে ও পুলিশের প্রতি আতশবাজি ছুড়ে তাদের প্রতিবাদ জানায়। পুলিশ এ সময় বিক্ষোভ দমনে টিয়ার গ্যাস ব্যবহার করে।

শনিবার (১৮ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার বিক্ষোভ ও সংঘর্ষের ঘটনায় অন্তত ১২০ জনকে আটক করেছিল পুলিশ। শুক্রবার রাজধানী ছাড়াও দেশটির বোর্দো, তৌলন ও স্ট্রাসবার্গ শহরে বিক্ষোভ চলছে। এ সময় হাজার হাজার বিক্ষোভকারী আগুন জ্বালিয়ে পুলিশকে উদ্দেশ করে ইটপাটকেল ও আতশবাজি ছোড়ে। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করলে সংঘর্ষ বেধে যায়। পার্লামেন্ট ভবনের কাছেই প্লেস ডি লা কনকর্ড এলাকার ওই বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ থেকে কয়েক ডজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

সম্প্রতি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ কোনোরকম ভোটাভুটি ছাড়াই ডিক্রি জারির মাধ্যমে অবসরের বয়স ৬২ থেকে বাড়িয়ে ৬৪ বছর করে। বিতর্কিত এই পেনশন সংস্কার আইন নিষ্পত্তির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এ বিষয়টি নিয়েই বিক্ষোভ করছেন দেশটির হাজার হাজার নাগরিক।

পার্লামেন্টের বিরোধী দলগুলো ও কয়েকটি ট্রেড ইউনিয়নও সরকারের এই প্রস্তাব নিয়ে একমত হতে পারেনি। গত দুই মাস এ নিয়ে পার্লামেন্টে তুমুল তর্কবিতর্ক হয়েছে, একাধিক ধর্মঘটও হয়েছে দেশটিতে।

ন্যাশনাল র‌্যালি পার্টির প্রেসিডেন্ট মেরিন লে পেন বৃহস্পতিবার পার্লামেন্ট ভবনে সাংবাদিকদের বলেন, “পার্লামেন্টে ভোটের জন্য বিল না এনে হুট করে কোনো সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করা ফ্রান্সের গণতন্ত্রের ঐতিহ্যের সঙ্গে একেবারেই সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এটা প্রমাণ করছে যে এই সরকার সম্পূর্ণ ব্যর্থ এবং নিজের ক্ষমতা ধরে রাখতে মরিয়া।” ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগও দাবি করেন তিনি।

একজন বিক্ষোভকারী বলেন, “আমরা আশা ছাড়িনি। এখনো আশা করছি সরকার এই সংস্কার প্রত্যাহার করে নেবে।”

নতুন বিলের অধীনে, ২০২৭ থেকে ফরাসি নাগরিকদের সম্পূর্ণ পেনশন পেতে ৪৩ বছর কাজ করতে হবে, যা বর্তমানে ৪২ বছর।

ফ্রান্সের শ্রম মন্ত্রণালয়ের অনুমান অনুসারে, অবসরের বয়স দুই বছর পিছিয়ে দেওয়া এবং পে-ইন পিরিয়ড বাড়ানো বার্ষিক পেনশন অবদানে অতিরিক্ত ১৭ দশমিক ৭ বিলিয়ন ইউরো যোগ করবে। এই সংস্কারটি প্রয়োজনীয় ও ন্যায্য।

Link copied!