• ঢাকা
  • সোমবার, ০৬ মে, ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১, ২৬ শাওয়াল ১৪৪৫

মাত্র ৯ ভোটে বেঁচে রইলেন ম্যাক্রোঁ


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: মার্চ ২১, ২০২৩, ০১:৪০ পিএম
মাত্র ৯ ভোটে বেঁচে রইলেন ম্যাক্রোঁ

ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁর সরকার ‘পেনশন সংস্কার (অবসরের বয়স বাড়ানো) আইন’ প্রণয়নের কারণে সংসদে অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হয়েছিল। যদিও মাত্র ৯ ভোটের কারণে এ যাত্রায় রক্ষা পেয়েছে ম্যাক্রোঁ।

মঙ্গলবার (২১ মার্চ) ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। গতকাল সোমবার দু’টি অনাস্থা ভোটের মুখোমুখি হতে হয় ম্যাক্রোঁকে। ম্যাক্রোঁর সরকারের পতনের জন্য প্রয়োজন ছিল ২৮৭টি ভোট। যদিও ২৭৮ জন এমপি তার প্রতি অনাস্থা জানান। ফলে এ যাত্রায় টিকে রইল ম্যাক্রোঁর সরকার। তার বিরুদ্ধে প্রথম অনাস্থা ভোটটি উত্থাপন করেন মধ্যপন্থী এমপিরা।

যদি অনাস্থা ভোটে হেরে যেতেন তাহলে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁকে নতুন সরকার গঠন করতে হতো অথবা নতুন নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে হতো।

প্রতিবেদনে বলা হয়, মেরিন লঁ পেন্সের উগ্রডানপন্থী ন্যাশনাল র‌্যালি পার্টির উত্থাপিত দ্বিতীয় অনাস্থা ভোটও সফল হয়নি। এখন যেহেতু অনাস্থা ভোট ব্যর্থ হয়েছে, ফলে ম্যাক্রোঁর পেনশন বয়সসীমা বৃদ্ধির বিষয়টি দ্রুত সময়ে আইনে রূপ নেবে। সংসদকে পাশ কাটিয়ে পেনশনের বয়সসীমা বৃদ্ধির কারণে ক্ষিপ্ত হন দেশটির বেশিরভাগ আইনপ্রণেতা। প্রধানমন্ত্রী সংবিধানের ৪৯:৩ ধারার ক্ষমতাবলে কোনো ভোট ছাড়াই এ বয়সসীমা বৃদ্ধি করেন।

সংসদে প্রথম অনাস্থা ভোট উত্থাপনকারী চার্লস দে কার্সন বলেছেন, “বর্তমান সরকারকে উৎখাতের মাধ্যমে চলমান সামাজিক ও রাজনৈতিক সংকট বন্ধ করা সম্ভব।”

অপরদিকে প্রেসিডেন্ট ম্যাক্রোঁ দাবি করেছেন, পূর্বে যে পেনশন ব্যবস্থা ছিল, সেটি ফ্রান্সের বর্তমান বার্ধক্যগ্রস্ত জনগণ অসাধ্য করে দিচ্ছে।

প্রসঙ্গত, সম্প্রতি ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল ম্যাক্রোঁ কোনোরকম ভোটাভুটি ছাড়াই ডিক্রি জারির মাধ্যমে অবসরের বয়স ৬২ থেকে বাড়িয়ে ৬৪ বছর করে। বিতর্কিত এই পেনশন সংস্কার আইন নিষ্পত্তির যে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন এ বিষয়টি নিয়েই বিক্ষোভ করছেন দেশটির হাজার হাজার নাগরিক।

পার্লামেন্টের বিরোধী দলগুলো ও কয়েকটি ট্রেড ইউনিয়নও সরকারের এই প্রস্তাব নিয়ে একমত হতে পারেনি। গত দুই মাস এ নিয়ে পার্লামেন্টে তুমুল তর্কবিতর্ক হয়েছে, একাধিক ধর্মঘটও হয়েছে দেশটিতে।

প্রতিবাদে রাজধানী প্যারিসের কেন্দ্রস্থলে প্রতিবাদ জানিয়েছেন দেশটির নাগরিকরা। এ সময় হাজার হাজার বিক্ষোভকারী আগুন জ্বালিয়ে পুলিশকে উদ্দেশ করে ইটপাটকেল ও আতশবাজি ছোড়ে। পুলিশ তাদের ছত্রভঙ্গ করতে কাঁদানে গ্যাস ব্যবহার করলে সংঘর্ষ বেধে যায়। পার্লামেন্ট ভবনের কাছেই প্লেস ডি লা কনকর্ড এলাকার ওই বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ থেকে কয়েক ডজন বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

নতুন বিলের অধীনে, ২০২৭ থেকে ফরাসি নাগরিকদের সম্পূর্ণ পেনশন পেতে ৪৩ বছর কাজ করতে হবে, যা বর্তমানে ৪২ বছর।

ফ্রান্সের শ্রম মন্ত্রণালয়ের অনুমান অনুসারে, অবসরের বয়স দুই বছর পিছিয়ে দেওয়া এবং পে-ইন পিরিয়ড বাড়ানো বার্ষিক পেনশন অবদানে অতিরিক্ত ১৭ দশমিক ৭ বিলিয়ন ইউরো যোগ করবে। এই সংস্কারটি প্রয়োজনীয় ও ন্যায্য।

Link copied!