ফিলিপাইনের দক্ষিণাঞ্চলে ৬ দশমিক ০ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প মঙ্গলবার (৭ মার্চ) আঘাত হেনেছে। যুক্তরাষ্ট্রের ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।
এএফপি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, ফিলিপাইনের স্থানীয় সময় দুপুর টায় পাহাড়ি খনিসমৃদ্ধ প্রদেশ ডাভাও দে ওরোর মারাগুসান মিউনিসিপ্যালের মিন্দালো দ্বীপের কাছে এ ‘অগভীর’ ভূমিকম্প আঘাত হানে।
ভূমিকম্পের পর ফিলিপাইনের কর্মকর্তারা আফটারশক ও কিছু জায়গায় ক্ষয়ক্ষতির আশঙ্কা করেছেন। তবে মঙ্গলবার ফিলিপাইনে আঘাত হানা ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
মারাগুসান দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অফিসের একজন কর্মী বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ভূমিকম্পের কারণে একটি জাতীয় মহাসড়কে ভূমিধসের ঘটনা ঘটেছে। তবে এর প্রভাবে যান চলাচলে কোনো বাধার সৃষ্টি হয়নি।
তিনি বলেন, “ভূমিকম্পে আমাদের অফিসও কেঁপে ওঠে, কিন্তু কোনো কিছু ক্ষতিগ্রস্ত হয়নি।”
তাগুম পুলিশ স্টেশনের কর্মকর্তা স্টেফেনি ক্লেমেন বলেছেন, ভূমিকম্পটি প্রায় ৩০ সেকেন্ড স্থায়ী ছিল এবং এরপর কয়েকবার আফটারশক সংঘটিত হয়।
স্টেফেনি ক্লেমেন বলেন, “ভূমিকম্পের সময় আমরা আমাদের ডেস্কের নীচে আশ্রয় নিয়েছিলাম। এটি থেমে যাওয়ার পর আমরা সরাসরি বাইরে চলে যাই। আমরা এখনও বাইরে আছি কারণ মাঝে মধ্যে আফটারশক আঘাত হানছে।
এ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, যদিও ভূমিকম্পে কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি। কিন্তু এটি সাধারণ মানুষের মনে ‘প্রচণ্ড ভীতি’ তৈরি করেছিল।
বেসামরিক প্রতিরক্ষা কর্মকর্তা জেসিলিন কাপিনা জানিয়েছেন, কারাগা উপকূলীয় পৌরসভার পাহাড়ের অন্য দিকে ভূমিকম্পটি অনুভূত হয়েছিল। আতঙ্কে লোকজন বাইরে বের হয়ে গিয়েছিল।
দেশটিতে গত অক্টোবরে সর্বশেষ বড় ভূমিকম্পটি হয়েছিল। ৬.৪ মাত্রার ওই ভূমিকম্পটিতে ভবনগুলো বেশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছিল। অধিকাংশ অঞ্চল বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল।
এদিকে প্রশান্ত মহাসাগরের ‘রিং অব ফায়ারের’ কাছে অবস্থিত হওয়ায় ফিলিপাইনে প্রতিদিনই ভূমিকম্প হয়।
আপনার মতামত লিখুন :