যুক্তরাষ্ট্রের টেনেসি অঙ্গরাজ্যের একটি স্কুলে সাবেক ছাত্রীর গুলিতে তিন শিশুসহ ছয়জন নিহত হয়েছেন। স্থানীয় সময় সোমবার (২৭ মার্চ) সকালে ন্যাশভিল শহরের দ্য কভেনেন্ট স্কুলে এ ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার বিবিসি এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, হামলাকারী ২৮ বছর বয়সী নারী ওই স্কুলের সাবেক ছাত্রী ছিলেন। পুলিশের গুলিতে তার মৃত্যু হয়। নিহতদের মধ্যে তিনজনের বয়স নয় বছর বা তার কম। বাকিদের মধ্যে- সিনথিয়া পিক (৬১), ক্যাথরিন কুন্স (৬০) ও মাইক হিল (৬১)। সিনথিয়া পিক ওই স্কুলের শিক্ষক, হিল একজন দারোয়ান এবং কুন্স স্কুলের প্রধান বলে স্কুলের ওয়েবসাইট থেকে জানা গেছে।
স্থানীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, স্কুলটি একটি প্রাইভেট খ্রিস্টান স্কুল। যেখানে ষষ্ঠ শ্রেণী পর্যন্ত পড়ানো হয়। স্কুলটিতে ২০০ জনের মতো শিক্ষার্থী রয়েছে, যাদের বয়স ১১ বা ১২ বছরের মধ্যে।
পুলিশ জানিয়েছে, বন্দুকধারী অড্রে হেল একজন ট্রান্সজেন্ডার হিসেবে পরিচিত। তার কাছে দুটি অ্যাসল্ট-টাইপ রাইফেল ও একটি পিস্তল ছিল। সোমবার সকাল ১০টা ১৩ মিনিটে গুলির সংবাদ পায় তারা। পুলিশের গাড়ি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে অড্রে হেল দ্বিতীয় তলা থেকে তাদের উপরও গুলি চালিয়েছেন।
পুলিশ আরও জানিয়েছে, ভাঙা কাঁচের আঘাতে একজন কর্মকর্তা আহত হয়েছেন। কাছাকাছি পার্ক করা একটি গাড়িতে তল্লাশি করে তারা দৃঢ়ভাবে নিশ্চিত হয়েছেন যে হেল ওই স্কুলের সাবেক ছাত্রী ছিলেন।
প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ ঘটনাকে ‘পরিবারের সবচেয়ে খারাপ দুঃস্বপ্ন’ বলে অভিহিত করেছেন। তিনি বলেন, “বন্দুক সহিংসতা বন্ধ করতে আমাদের আরও কিছু করতে হবে।”
বিবিসি বলছে, তিনি স্কুলের দরজা দিয়ে গুলি চালাতে চালাতে ভেতরে প্রবেশ করেন। ভবনের দ্বিতীয় তলায় যাওয়ার আগে নিচতলায় গুলি চালিয়েছেন।
যুক্তরাষ্ট্রে নারীদের এমন গুলি চালানোর ঘটনা বিরল। বন্দুক হামলার ঘটনা ১৪ মিনিট স্থায়ী হয়েছিল।