চলতি বছরের জানুয়ারিতে নেপালে একটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হওয়ার পেছনে সম্ভাব্য কারণ ছিল পাইলটের ভুল। ওই দুর্ঘটনার তদন্ত দল এ তথ্য জানিয়েছেন।
শুক্রবার (২৯ ডিসেম্বর) এক প্রতিবেদনে ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসি এ তথ্য জানিয়েছে।
তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনে বলা হয়, উড়োজাহাজটির পাইলটরা খুব সম্ভবত ভুল ‘লিভারে’ চাপ দিয়েছিলেন। যার কারণে উড়োজাহাজের ইঞ্জিনে শক্তি উৎপাদন ব্যাহত হয় এবং প্রপেলার ঘোরা বন্ধ হয়ে যায়।
গত ১৫ জানুয়ারি নেপালের বেসরকারি ইয়েতি এয়ারলাইনসের উড়োজাহাজটি রাজধানী কাঠমান্ডু থেকে পোখরা যাওয়ার পথে বিধ্বস্ত হয়। এতে দুই শিশুসহ উড়োজাহাজটির ৭২ আরোহী নিহত হন। গত ৩০ বছরের মধ্যে এটি ছিল নেপালের সবচেয়ে ভয়াবহ উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা।
তদন্ত দলের সদস্য প্রকৌশলী দীপক প্রসাদ বাস্তোলা রয়টার্সকে বলেন, “পাইলটরা ভুল করে উড়োজাহাজের ‘ফ্ল্যাপ লিভারের’ বদলে ‘কন্ডিশন লিভারে’ চাপার কারণে প্রপেলার ঘোরা বন্ধ হয়ে উড়োজাহাজটি গতি হারায়। ওই সময় উড়োজাহাজটির যে গতি ছিল, তাতে সেটি আরও ৪৯ সেকেন্ড আকাশে ভেসে থেকে বিধ্বস্ত হয়। কন্ডিশন লিভার উড়োজাহাজের ইঞ্জিনের শক্তি উৎপাদন নিয়ন্ত্রণ করে।”
তদন্ত প্রতিবেদনে কৌশলগত ও দক্ষতাভিত্তিক প্রশিক্ষণের অভাব, কাজের উচ্চচাপ, অবসাদ ও উড়োজাহাজ পরিচালনায় বেঁধে দেওয়া মান অনুসরণ না করাকেও দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে উড়োজাহাজটি যথাযথভাবে পরিচর্যা করা হতো বলে জানানো হয় প্রতিবেদনে।
দুর্গম জায়গায় রানওয়ে ও হঠাৎ আবহাওয়ার পরিবর্তনের কারণে নেপালে প্রায়ই উড়োজাহাজ দুর্ঘটনা ঘটে। গত মে মাসেই ইয়েতি এয়ারলাইনসের আরেকটি উড়োজাহাজ বিধ্বস্ত হয়ে ২২ আরোহী নিহত হয়েছিলেন।
আপনার মতামত লিখুন :