ইকুয়েডরের একটি কারাগারে সংঘর্ষে কমপক্ষে ১২ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের সবাই করাগারটিতে বন্দী ছিলেন। শুক্রবার কারাগারে দু’টি অপরাধী গোষ্ঠীর মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর এ হতাহতের ঘটনা ঘটে। দক্ষিণ আমেরিকার এই দেশটিতে কারাগারে দাঙ্গা ও প্রাণহানির ঘটনা খুবই সাধারণ।
রোববার (১৬ এপ্রিল) মার্কিন সংবাদমাধ্যম ভয়েস অব আমেরিকা এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে। এতে বলা হয়, দেশটির বন্দর শহর গুয়াকিলের একটি কারাগারে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। দেশটির কারাগারবিষয়ক সংস্থা এসএনএআই এ তথ্য নিশ্চিত করেছে। গত সপ্তাহে কারাগারটির তিনজন নারী রক্ষীকে হত্যা করা হয়েছিল।
মাদক চোরাচালানের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে নিয়মিত সন্ত্রাসীগোষ্ঠীর সদস্যদের গ্রেপ্তার করছে পুলিশ এবং তাদের দ্বন্দ্বের কারণেই ইকুয়েডরের কারাগারগুলো দিন দিন কার্যত যুদ্ধক্ষেত্রে রূপান্তরিত হচ্ছে।
দেশটির প্রসিকিউটর দপ্তর জানিয়েছে, কারাগারের ১২ বন্দীর মৃত্যুর জন্য দায়ী ব্যক্তিদের সনাক্ত করার জন্য একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। মৃতদেহগুলোতে বুলেটের ক্ষত চিহ্ন রয়েছে।
ইকুয়েডরের প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূলীয় প্রধান বন্দর গুয়াকিল সাম্প্রতিক বছরগুলোতে মাদক পাচারের কেন্দ্রস্থলে পরিণত হয়েছে। যা বিশ্বের প্রধান কোকেন উৎপাদনকারী কলম্বিয়া এবং পেরুর মধ্যে অবস্থিত।
২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে, দেশটির কারাগারগুলোতে আটটি গণহত্যার ঘটনা ঘটেছে। আর এসব ঘটনায় ৪০০ জনেরও বেশি বন্দীকে হত্যা করা হয়েছে। তাদের বেশিরভাগকে টুকরো টুকরো করে পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে।
এসএনএআই সাংবাদিকদের জানিয়েছে, প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে ১২ জনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে। প্রসিকিউটর অফিস এবং পুলিশ মৃতদেহ শনাক্ত করার জন্য কারাগারে রয়েছে বলেও জানিয়েছে সংস্থাটি।
অবশ্য ইকুয়েডরের কারাগারে সহিংসতার কারণ হিসেবে অপরাধীদের শাস্তি ব্যবস্থার প্রতি রাষ্ট্রীয় অবহেলাকে গত বছর দায়ী করেছিল জাতিসংঘের একটি প্রতিনিধি দল।
অন্যদিকে ইকুয়েডরে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা মোকাবিলা করতে সংগ্রাম করছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট গুইলারমো লাসসো। অবশ্য পেশায় সাবেক ব্যাংকার রক্ষণশীল এই নেতা দুর্নীতির অভিযোগে অভিশংসনের শুনানির মুখোমুখি হয়েছেন। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি।
                
              
																                  
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    
                                                    





































