• ঢাকা
  • শুক্রবার, ১০ মে, ২০২৪, ২৭ বৈশাখ ১৪৩১, ১ জ্বিলকদ ১৪৪৫

শীতে কানে তালা লাগে কেন


সংবাদ প্রকাশ ডেস্ক
প্রকাশিত: ডিসেম্বর ১০, ২০২৩, ০৩:১৪ পিএম
শীতে কানে তালা লাগে কেন
ঠান্ডা থেকে কানে তালা পড়তে পারে। ছবি : সংগৃহীত

শীতে ঠান্ডা আবহাওয়ায় কান বন্ধভাব বা তালা লেগে যাওয়ার সমস্যার মুখোমুখি হন অনেকেই। এটি হলে কানে ব্যথা, ভোঁ ভোঁ শব্দ হওয়া কিংবা কানে কম শোনার সমস্যা হয়। মূলত ঠান্ডা লাগা থেকেই কানে তালা লাগার বিষয়টি ঘটে। অনেকেই এটিকে সাধারণভাবে নেন। আপাতদৃষ্টিতে সাধারণ মনে হলেও এর থেকে মারাত্মক বিপদ ঘটতে পারে। 
বিশেষজ্ঞদের মতে, অডিটরি টিউব যা নাকের সঙ্গে গলা ও কানের সংযোগ স্থাপন করে। এই টিউব মধ্যকর্ণ ও আবহাওয়ার বায়ুচাপের ভারসাম্য রক্ষা করে। যদি এই টিউব বন্ধ হয়ে যায় বা ঠিকমতো কাজ না করে তখন মধ্যকর্ণে পানি জমে প্রদাহ হতে পারে। 

সাধারণত হাঁচি-কাশি, সর্দি বা ঠান্ডা লাগার কারণে কানের সঙ্গে নাক ও গলার মধ্যে যোগাযোগ রক্ষাকারী টিউবটি আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে সাময়িক বন্ধ থাকে। ফলে মধ্যকর্ণের সঙ্গে বাইরের পরিবেশের যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটে। এটিকেই কানে তালা লেগে যাওয়া বা কান বন্ধ হয়ে যাওয়া বলা হয়।

ঝুঁকি বেশি থাকে যাদের

  • ঘন ঘন সর্দি-কাশি বা নাক বন্ধ হলে
  • অ্যালার্জিজনিত কারণে নাকের প্রদাহ বা অ্যালার্জিক রেনাইটিস হলে
  • ক্রনিক টনসিলের ইনফেকশন
  • শিশুদের ক্ষেত্রে নাকের পেছনে এডিনয়েড নামক লসিকাগ্রন্থি বড় হয়ে যাওয়া
  • নাকের হাড় বাঁকা বা ক্রনিক সাইনোসাইটিসের সমস্যা
  • ভাইরাল ইনফেকশন 
  • নাকের পেছনে ন্যাসোফ্যারিংস নামক স্থানে কোনও টিউমার হলে।

যেসব সমস্যা হতে পারে

  • মধ্যকর্ণে পানি জমা হয়ে প্রদাহ হলে সর্দি-কাশির সঙ্গে হঠাৎ কান বন্ধ হয়ে যায়।
  • হঠাৎ কানে বেশ ব্যথা মনে হয়।
  • কানের মধ্যে ফড়ফড় কিংবা ভোঁ ভোঁ শব্দ হয়।
  • কানে কম শোনা যায়।
  • ইনফেকশন বেশি হলে কান বেয়ে রক্ত মিশ্রিত পানির মতো পড়ে কিংবা পুঁজ পড়ে।

কানের বন্ধভাব দূর করার উপায়

  • লবণ পানিতে গার্গল করলে আপনার নাক ও কানের শ্লেষ্মা কমতে পারে। এজন্য গরম পানিতে লবণ মিশিয়ে গার্গল করুন। দিনে কয়েকবার করলেই কানের সেরে যেতে পারে।
  • হালকা গরম পানি দিয়ে গোসল করলেও এ সমস্যায় স্বস্তি পাওয়ার সম্ভাবনা বেশি। এ ছাড়াও একটি হটব্যাগের সাহায্যে কানে ভাপ দিতে পারেন। এতে কানের অনুনাসিক নালীগুলো খুলে ও কানের শ্লেষ্মা নিষ্কাশন করে।
  • বিভিন্ন খনিজ ও প্রাকৃতিক তেল যেমন- চা গাছের তেল, ইউক্যালিপটাস তেল বা পেপারমিন্ট তেল পানিতে মিশিয়ে ভাপ নিলেও উপকার পাওয়া যাবে। এসব তেলে অ্যান্টিবায়োটিক, অ্যান্টিসেপটিক ও অ্যান্টি-ইনফ্লেমেটরি বৈশিষ্ট্য থাকে।
  • বারবার চুইংগাম চিবালেও কানের তালা খুলবে দ্রুত। চিকিৎসকরাও চুইংগাম চিবানোর পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
  • অলিভ অয়েল বা বেবি অয়েল হালকা গরম করে তারপর ঠান্ডা করে কানে এক বা দুই ফোঁটা ব্যবহার করতে পারেন। এরপর মাথা কাঁত করে রাখুন ১০-১৫ সেকেন্ড।

কানে তালা পড়ার সমস্যা জটিল হওয়ার আগেই নাক-কান-গলা চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া উচিত। এ ধরনের রোগে চিকিৎসক কান পরীক্ষার মাধ্যমে উপযুক্ত চিকিৎসা দিয়ে থাকেন।

Link copied!