বর্তমানে শুধু বড়দের নয় শিশুদেরও চোখের সমস্যা দেখা যাচ্ছে। ছোটবেলা থেকেই যদি চোখের সমস্যাতে ভোগে তাহলে বড় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে সে সমস্যাও বাড়তে থাকবে। যদি সঠিকভাবে যত্ন নেওয়া হয় তাহলে বড় ধরণের ঝুঁকি থেকে বাঁচানো যাবে শিশুকে। শিশুর চোখ সুস্থ রাখার জন্য অন্যান্য পুষ্টিকর খাবারের পাশাপাশি চোখের জন্য উপকারী আরও যেসব খাবার দিতে পারেন চলুন জেনে নেওয়া যাক সেগুলো কী-
দুধ
দুধে প্রচুর ভিটামিন এ থাকে। এই ভিটামিন চোখের জন্য খুবই উপকারী। তাই সন্তানকে প্রতিদিন এক গ্লাস দুধ খেতে দেবেন। শিশুর যদি সরাসরি দুধ খেতে সমস্যা হয় বা খেতে অনিহা প্রকাশ করে তাহলে তাকে দই, পনির, ছানা, মাখন করে দিতে পারেন। এ ধরনের খাবারে পুষ্টি পাবে যথেষ্ট পরিমাণে।
ফল ও শাক-সবজি
শিশুকে নিয়মিত ফল ও শাক-সবজি খেতে দিন। এ ধরনের খাবারে থাকে ভিটামিন ও উপকারী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। শিশুর চোখের দৃষ্টি ভালো রাখার জন্য কাজ করে এ জাতীয় খাবার। অনেক শিশু ফল কিংবা শাক-সবজি খেতে চায় না। তাদের একই খাবার প্রতিদিন দেওয়া যাবে না। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দিলে তবেই সে পছন্দ করে খাবে।
আমন্ড
আমন্ড অত্যন্ত উপকারী বাদাম। বাংলায় একে কাঠবাদামও বলা হয়। এই বাদামে থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড যা দৃষ্টিশক্তি বাড়াতে কাজ করে। সেইসঙ্গে এই বাদামে থাকে প্রচুর ভিটামিন ই। এটি চোখের জন্য খুব কার্যকরী। চোখের নানা ধরনের সমস্যা দূর হবে নিয়মিত এই বাদাম খেলে। তাই শিশুকে প্রতিদিন অন্তত ৪-৫টি আমন্ড খেতে দিন।
মাছ
অনেক শিশু মাছ খেতে চায় না। তাদেরও মাছ খাওয়ার প্রতি আগ্রহী করতে হবে। কারণ নিয়মিত মাছ খেলে শরীরের প্রোটিনের ঘাটতি পূরণ হয়। পাশাপাশি মাছে থাকা ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড চোখ ভালো রাখতে দারুণ কার্যকরী। এছাড়া ছোট মাছেও রয়েছে চোখের জন্য উপকারী এমন সব উপাদান। তাই শিশুকে নিয়মিত মাছ খাওয়ান।
ডিম
শিশুর চোখ ভালো রাখার জন্য আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার হলো ডিম। তাকে নিয়মিত ডিম খেতে দেবেন। কারণ ডিমের কুসুমে থাকে প্রচুর লিউটিন। এটি চোখ ভালো রাখার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী। এছাড়া ডিম দিয়ে তৈরি বিভিন্ন খাবারও তাকে খেতে দিন। এতে শিশুর শরীরেও পর্যাপ্ত পুষ্টি পৌঁছাবে।